লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৯ নভেম্বর, ২০২৫, 4:59 PM
আমরা অনেকেই রোজ সকালে নাস্তায় কর্নফ্লেক্স খেয়ে থাকি। কিন্তু এই খাবারের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হওয়া ঠিক নয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, বেশিরভাগ কর্নফ্লেক্সে চিনি বেশি থাকে। যদিও এটি দেখতে ‘হালকা’, কিন্তু এর বেশিরভাগ ব্র্যান্ডে চিনি মেশানো থাকলেও খালি চোখে ধরা পড়ে না। ফলে রক্তে শর্করার ওঠানামা দ্রুত হয় ও অল্প সময়ের মধ্যেই আবারও ক্ষুধা লাগে।
প্রত্যেকের শরীরে প্রোটিন দরকার। কিন্তু কর্নফ্লেক্সে প্রোটিনের পরিমাণ খুব কম থাকে। প্রোটিন যুক্ত খাবার না খেলে নাস্তায় পেট ভরে না। তাতে শক্তিও কম সঞ্চার হয়। ফলে দুপুরের আগেই ফের ক্ষুধা লেগে যায়। তখন অতিরিক্ত স্ন্যাক্স খেয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা দেয়।
কর্নফ্লেক্সের মতো খাবার হজমে স্থায়ী সমস্যা তৈরি করে। কারণ এতে ফাইবার কম। তাই হজম ঠিকমতো হয় না। ফাইবার কম থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ফুলাভাব ইত্যাদি শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিদিন প্রসেসড খাবার খেলে পুষ্টির ঘাটতি, মিনারেল ভাঙন, এমনকি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়। মনে রাখবেন, শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ প্রয়োজন। শুধু কর্নফ্লেক্স খেলে শরীরে সেই বৈচিত্র্য আসে না।
সব বিবেচনা করে পুষ্টিবিদরা বলছেন, সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন কর্নফ্লেক্স খাওয়া যেতে পারে। এর বেশি নয়। বাকি দিনগুলোতে ওটস, ডিম-রুটি, ফল, দই, চিঁড়া, সবজি উপমা, সেমাই, স্মুদি ইত্যাদির মতো বিকল্প খাবার বেছে নিলে ভালো। কর্নফ্লেক্স খেলে দুধের সঙ্গে ফল, বাদাম অথবা বীজ যোগ করলে পুষ্টি বাড়তে পারে।
কেমন হতে পারে স্বাস্থ্যকর নাস্তা
নিচে স্বাস্থ্যকর নাস্তার ৭ দিনের সহজ পরিকল্পনা দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে কর্নফ্লেক্সের ওপর নির্ভরশীলতা কমতে পারে:
রুটি কিংবা পরোটার বাইরে কিছু খেতে চাইলে একদিন ওটস, দুধ ও ফল বেছে নিন।
একদিন রুটি/পাউরুটির সঙ্গে ১-২টি সেদ্ধ ডিম/অমলেট ও সঙ্গে শসা/টমেটো সালাদ খেতে পারেন। কোনও কোনও দিন দই, ফল, চিঁড়া/মুড়ির মতো দ্রুত প্রস্তুত করে ফেলা যায় এমন হালকা ও পুষ্টিকর খাবার রাখা যেতে পারে।
ছুটির দিনে সবজি খিচুড়ি (গাজর, ক্যাপসিকাম, মটর মিশ্রণ) খেতে পারেন। এতে পুষ্টি বাড়ে। চিকেন এগ স্যান্ডউইচের সঙ্গে স্মুদি বোল খাওয়া যায়। এজন্য দুধ/দই, কলা, ওটস, বাদাম ব্লেন্ড করে নিন। এসবের ওপরে কিছু ফল দিন।
লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৯ নভেম্বর, ২০২৫, 4:59 PM
আমরা অনেকেই রোজ সকালে নাস্তায় কর্নফ্লেক্স খেয়ে থাকি। কিন্তু এই খাবারের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হওয়া ঠিক নয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, বেশিরভাগ কর্নফ্লেক্সে চিনি বেশি থাকে। যদিও এটি দেখতে ‘হালকা’, কিন্তু এর বেশিরভাগ ব্র্যান্ডে চিনি মেশানো থাকলেও খালি চোখে ধরা পড়ে না। ফলে রক্তে শর্করার ওঠানামা দ্রুত হয় ও অল্প সময়ের মধ্যেই আবারও ক্ষুধা লাগে।
প্রত্যেকের শরীরে প্রোটিন দরকার। কিন্তু কর্নফ্লেক্সে প্রোটিনের পরিমাণ খুব কম থাকে। প্রোটিন যুক্ত খাবার না খেলে নাস্তায় পেট ভরে না। তাতে শক্তিও কম সঞ্চার হয়। ফলে দুপুরের আগেই ফের ক্ষুধা লেগে যায়। তখন অতিরিক্ত স্ন্যাক্স খেয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা দেয়।
কর্নফ্লেক্সের মতো খাবার হজমে স্থায়ী সমস্যা তৈরি করে। কারণ এতে ফাইবার কম। তাই হজম ঠিকমতো হয় না। ফাইবার কম থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ফুলাভাব ইত্যাদি শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিদিন প্রসেসড খাবার খেলে পুষ্টির ঘাটতি, মিনারেল ভাঙন, এমনকি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়। মনে রাখবেন, শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ প্রয়োজন। শুধু কর্নফ্লেক্স খেলে শরীরে সেই বৈচিত্র্য আসে না।
সব বিবেচনা করে পুষ্টিবিদরা বলছেন, সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন কর্নফ্লেক্স খাওয়া যেতে পারে। এর বেশি নয়। বাকি দিনগুলোতে ওটস, ডিম-রুটি, ফল, দই, চিঁড়া, সবজি উপমা, সেমাই, স্মুদি ইত্যাদির মতো বিকল্প খাবার বেছে নিলে ভালো। কর্নফ্লেক্স খেলে দুধের সঙ্গে ফল, বাদাম অথবা বীজ যোগ করলে পুষ্টি বাড়তে পারে।
কেমন হতে পারে স্বাস্থ্যকর নাস্তা
নিচে স্বাস্থ্যকর নাস্তার ৭ দিনের সহজ পরিকল্পনা দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে কর্নফ্লেক্সের ওপর নির্ভরশীলতা কমতে পারে:
রুটি কিংবা পরোটার বাইরে কিছু খেতে চাইলে একদিন ওটস, দুধ ও ফল বেছে নিন।
একদিন রুটি/পাউরুটির সঙ্গে ১-২টি সেদ্ধ ডিম/অমলেট ও সঙ্গে শসা/টমেটো সালাদ খেতে পারেন। কোনও কোনও দিন দই, ফল, চিঁড়া/মুড়ির মতো দ্রুত প্রস্তুত করে ফেলা যায় এমন হালকা ও পুষ্টিকর খাবার রাখা যেতে পারে।
ছুটির দিনে সবজি খিচুড়ি (গাজর, ক্যাপসিকাম, মটর মিশ্রণ) খেতে পারেন। এতে পুষ্টি বাড়ে। চিকেন এগ স্যান্ডউইচের সঙ্গে স্মুদি বোল খাওয়া যায়। এজন্য দুধ/দই, কলা, ওটস, বাদাম ব্লেন্ড করে নিন। এসবের ওপরে কিছু ফল দিন।