নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ নভেম্বর, ২০২৫, 4:52 PM
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউট (বিএফটিআই)। বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে এই বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এবং বিএফটিআই-এর পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সাইফ উদ্দিন আহম্মদ সমঝোতা স্মারকে সই করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সালাম সরদার, উপমহাব্যবস্থাপক মৌসুমী রায় ও মুহাম্মদ মোরশেদ আলম এবং বিএফটিআই-এর যুগ্ম পরিচালক আহসানুল ইসলাম।
সমঝোতার স্মারকের আওতায় সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের বাণিজ্য সহজীকরণ, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রস্তুতি নিয়ে যৌথ গবেষণা পরিচালনা, উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন, নীতি সহায়তা ও সংলাপ পরিচালনায় সহায়তা এবং তথ্য আদান প্রদান করা হবে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, “এই সমঝোতা স্মারকের ফলে সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি ও সহজীকরণে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সবশেষ অর্থনৈতিক সমীক্ষার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ১ কোটি ১৮ লাখের বেশি সিএমএসএমই উদ্যোক্তার শতকরা ৭০ ভাগই ঢাকার বাইরে। তবে এসএমই ফাউন্ডেশনের জনবলের সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি ঢাকার বাইরে কোনও কার্যালয় না থাকায় সরকারি বেসরকারি সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, এসএমই চেম্বার অ্যাসোসিয়েশন ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।’
উল্লেখ্য, এসএমই ফাউন্ডেশনের ক্রেডিট হোলসেলিং কার্যক্রম এবং প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় অংশীদার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশের প্রায় ১১ হাজার উদ্যোক্তার মধ্যে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৫ শতাংশ সুবিধাভোগী নারী-উদ্যোক্তা।
বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ৩০% শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, দেশের প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৯ শতাংশের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই)। শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় শতাংশ সিএমএসএমই খাতে। এই খাতে প্রায় ৩ কোটিরও বেশি জনবল কর্মরত আছে। অধিক জনসংখ্যা এবং সীমিত সম্পদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত সুরক্ষার মাধ্যমে এসএমই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন সরকারের জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ এসএমই নীতিমালা ২০১৯ এবং এসডিজি ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা এসএমই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচির সুবিধাভোগী প্রায় ২০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, যাদের ৬০ শতাংশই নারী-উদ্যোক্তা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ নভেম্বর, ২০২৫, 4:52 PM
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউট (বিএফটিআই)। বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে এই বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এবং বিএফটিআই-এর পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সাইফ উদ্দিন আহম্মদ সমঝোতা স্মারকে সই করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সালাম সরদার, উপমহাব্যবস্থাপক মৌসুমী রায় ও মুহাম্মদ মোরশেদ আলম এবং বিএফটিআই-এর যুগ্ম পরিচালক আহসানুল ইসলাম।
সমঝোতার স্মারকের আওতায় সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের বাণিজ্য সহজীকরণ, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রস্তুতি নিয়ে যৌথ গবেষণা পরিচালনা, উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন, নীতি সহায়তা ও সংলাপ পরিচালনায় সহায়তা এবং তথ্য আদান প্রদান করা হবে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, “এই সমঝোতা স্মারকের ফলে সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি ও সহজীকরণে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সবশেষ অর্থনৈতিক সমীক্ষার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ১ কোটি ১৮ লাখের বেশি সিএমএসএমই উদ্যোক্তার শতকরা ৭০ ভাগই ঢাকার বাইরে। তবে এসএমই ফাউন্ডেশনের জনবলের সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি ঢাকার বাইরে কোনও কার্যালয় না থাকায় সরকারি বেসরকারি সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, এসএমই চেম্বার অ্যাসোসিয়েশন ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।’
উল্লেখ্য, এসএমই ফাউন্ডেশনের ক্রেডিট হোলসেলিং কার্যক্রম এবং প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় অংশীদার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশের প্রায় ১১ হাজার উদ্যোক্তার মধ্যে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৫ শতাংশ সুবিধাভোগী নারী-উদ্যোক্তা।
বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ৩০% শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, দেশের প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৯ শতাংশের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই)। শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় শতাংশ সিএমএসএমই খাতে। এই খাতে প্রায় ৩ কোটিরও বেশি জনবল কর্মরত আছে। অধিক জনসংখ্যা এবং সীমিত সম্পদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত সুরক্ষার মাধ্যমে এসএমই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন সরকারের জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ এসএমই নীতিমালা ২০১৯ এবং এসডিজি ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা এসএমই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচির সুবিধাভোগী প্রায় ২০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, যাদের ৬০ শতাংশই নারী-উদ্যোক্তা।