CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২০ নভেম্বর, ২০২৫

কর্মক্ষেত্রে ত্রিমুখী চাপে ডায়াবেটিস বাড়ছে?

#
news image

ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম স্থানে রয়েছে, যা গুরুতর জনস্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ইনসুলিন-নির্ভর এই দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী দ্রুত বাড়ছে, ফলে বিশ্বের স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। আর এর প্রধান কারণ হিসেবে কর্মক্ষেত্র ত্রিমুখী চাপকে শনাক্ত করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘসময় কাজ, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব ভয়াবহভাবে বেড়ে যাচ্ছে।
আইডিএফ-এর মতে, ডায়াবেটিস এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করে না অথবা ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ করে না। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। একবার শনাক্ত হলে আজীবন এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী লাখো মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে, যা ডায়াবেটিসকে একটি বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করেছে।
সাম্প্রতিক আইডিএফ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ ডায়াবেটিস আক্রান্ত দেশ পাকিস্তান (৩১.৪ শতাংশ)। এরপর রয়েছে বাংলাদেশ, যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের ১৩.২ শতাংশ ডায়াবেটিস বা প্রি-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। অন্যান্য দেশের মধ্যে রয়েছে- আফগানিস্তান (১১.৭ শতাংশ), ভারত (১০.৫ শতাংশ), শ্রীলঙ্কা (১০.২ শতাংশ), মালদ্বীপ (৯.৫ শতাংশ) এবং নেপাল (৭.৭ শতাংশ)।
পরিসংখ্যান বলছে, অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব দ্রুত বাড়ছে। নগরায়ণ, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, প্রক্রিয়াজাত খাবারের ব্যবহার বৃদ্ধি, শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়া এবং মানসিক চাপই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে দ্রুত পরিবর্তন ভবিষ্যতে ঝুঁকি আরও বাড়াতে পারে।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রই হলো যেখানে প্রাপ্তবয়স্করা জীবনের একটি বড় অংশ কাটান। কর্মীরা প্রায়ই চাপযুক্ত অফিস পরিবেশে দীর্ঘ সময় কাজ করেন। উচ্চ মানসিক চাপ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।’


তিনি আরও বলেন, ‘ডায়াবেটিস শুধু ব্যক্তির শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপরই নয়, কর্মক্ষমতার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে উৎপাদনশীলতা কমে যায়।’

বাংলাদেশে কী পরিস্থিতি?
বাংলাদেশে গত দুই দশকে ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ২০০০ সালে রোগীর সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ, যা ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪ লাখ এবং ২০২৪ সালে তা প্রায় ১ কোটি ৩৯ লাখে পৌঁছেছে। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ১৬ থেকে ১৮ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ৮ থেকে ১০ শতাংশ।

শহরাঞ্চলে আক্রান্তদের মধ্যে দীর্ঘ সময় বসে থাকা, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, স্থূলতা, ব্যায়ামের অভাব ও চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণই মূল কারণ। ডায়াবেটিস রোগীদের অর্ধেকের বেশি জানেন না যে তারা এই রোগে আক্রান্ত। ফলে হঠাৎ জটিলতা দেখা দিয়ে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি বিকল, অন্ধত্ব বা অঙ্গচ্ছেদের মতো জীবনঘাতী পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

শঙ্কার বিষয় হলো, নারীদের মধ্যেও ডায়াবেটিস দ্রুত বাড়ছে। বাংলাদেশ অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটির তথ্যমতে, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের হার এক দশক আগে ১০ শতাংশ থাকলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২৪ শতাংশে পৌঁছেছে।

বাংলাদেশে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি নারী নতুনভাবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন, যাদের অনেকেই গর্ভবতী। গর্ভবতী মায়ের টাইপ–২ ডায়াবেটিস ভবিষ্যতে সন্তানের ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ায়।

জীবন যাপনের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে

বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্যগ্রহণ, উচ্চ-ক্যালোরি ও চিনিসমৃদ্ধ খাবার পরিহার, মানসিক চাপ কমানো, দুপুরে ঘুম এড়িয়ে চলা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলাকেই ডায়াবেটিস প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি নিয়মিত রক্তে শর্করা পরীক্ষা করাও জরুরি।

ডায়াবেটিক রোগীর নিয়মিত পথ্য ও ওষুধ গ্রহণ করতে হয়। আক্রান্তরা বলছেন, প্রতিমাসে এর জন্য অন্তত ৩০ শতাংশ ব্যয় বেড়ে গেছে। গত তিন বছর ধরে এই রোগে আক্রান্ত একটি পরিবারের দুই সদস্য। তারা বলেন, নিয়মিত ওষুধ, খাওয়ার ধরন বদলে যাওয়ার কারণে এবং পরিবারের একাধিক ব্যক্তি রোগী হওয়ায় তাদের দ্বিগুণ খরচ। এটা কেউ আন্দাজ করতে পারবে না।

চিকিত্‌সকরা বলছেন, প্রি-ডায়াবেটিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা, চিকিৎসকের ফি, ওষুধ এবং যাতায়াতে যদি মোট চিকিৎসা খরচের প্রায় ৩০ শতাংশ ব্যয় হয় তাহলে রোগ জটিল পর্যায়ে পৌঁছালে এই ব্যয় ৮০ শতাংশে পৌঁছাবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

সরকারি হিসাব বলছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় ১ হাজার টাকার ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হলেও দেশে ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার হার মাত্র ১৩ শতাংশ। যেখানে বিনামূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা রয়েছে, সেখানে ব্যবস্থাপনার হার ৬০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে শারীরিক অন্যান্য জটিলতা বাড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৫-২৬ ডায়াবেটিসের লক্ষ্য ঠিক করেছে- ‘ডায়াবেটিস ও ভালো থাকা’। পরবর্তীতে ২০২৫ এ এসে তারা কর্মক্ষেত্র ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা বলছে। কাজের জায়গায় যদি সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকে তাহলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে। কারণ দিনের বড় অংশ আমরা কর্মক্ষেত্রে থাকি। আধুনিক জীবনে মানসিক চাপটা কর্মক্ষেত্রর সঙ্গে জড়িত এবং এই চাপ ব্যবস্থাপনার অফিসকে যুক্ত হতে হবে। কাজের পরিবেশ ও কাজের ধরন যদি মানসিকভাবে কর্মীকে স্বস্তি না দেয় তাহলে সর্বোচ্চ কাজটা আদায় করা সম্ভব না। ফলে অফিস প্রশাসনকে অবশ্যই কর্মীর জন্য ইতিবাচক কর্মপরিবেশ দিতে হবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ নভেম্বর, ২০২৫,  6:59 PM

news image

ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম স্থানে রয়েছে, যা গুরুতর জনস্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ইনসুলিন-নির্ভর এই দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী দ্রুত বাড়ছে, ফলে বিশ্বের স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। আর এর প্রধান কারণ হিসেবে কর্মক্ষেত্র ত্রিমুখী চাপকে শনাক্ত করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘসময় কাজ, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব ভয়াবহভাবে বেড়ে যাচ্ছে।
আইডিএফ-এর মতে, ডায়াবেটিস এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করে না অথবা ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ করে না। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। একবার শনাক্ত হলে আজীবন এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী লাখো মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে, যা ডায়াবেটিসকে একটি বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করেছে।
সাম্প্রতিক আইডিএফ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ ডায়াবেটিস আক্রান্ত দেশ পাকিস্তান (৩১.৪ শতাংশ)। এরপর রয়েছে বাংলাদেশ, যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের ১৩.২ শতাংশ ডায়াবেটিস বা প্রি-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। অন্যান্য দেশের মধ্যে রয়েছে- আফগানিস্তান (১১.৭ শতাংশ), ভারত (১০.৫ শতাংশ), শ্রীলঙ্কা (১০.২ শতাংশ), মালদ্বীপ (৯.৫ শতাংশ) এবং নেপাল (৭.৭ শতাংশ)।
পরিসংখ্যান বলছে, অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব দ্রুত বাড়ছে। নগরায়ণ, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, প্রক্রিয়াজাত খাবারের ব্যবহার বৃদ্ধি, শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়া এবং মানসিক চাপই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে দ্রুত পরিবর্তন ভবিষ্যতে ঝুঁকি আরও বাড়াতে পারে।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রই হলো যেখানে প্রাপ্তবয়স্করা জীবনের একটি বড় অংশ কাটান। কর্মীরা প্রায়ই চাপযুক্ত অফিস পরিবেশে দীর্ঘ সময় কাজ করেন। উচ্চ মানসিক চাপ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।’


তিনি আরও বলেন, ‘ডায়াবেটিস শুধু ব্যক্তির শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপরই নয়, কর্মক্ষমতার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে উৎপাদনশীলতা কমে যায়।’

বাংলাদেশে কী পরিস্থিতি?
বাংলাদেশে গত দুই দশকে ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ২০০০ সালে রোগীর সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ, যা ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪ লাখ এবং ২০২৪ সালে তা প্রায় ১ কোটি ৩৯ লাখে পৌঁছেছে। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ১৬ থেকে ১৮ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ৮ থেকে ১০ শতাংশ।

শহরাঞ্চলে আক্রান্তদের মধ্যে দীর্ঘ সময় বসে থাকা, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, স্থূলতা, ব্যায়ামের অভাব ও চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণই মূল কারণ। ডায়াবেটিস রোগীদের অর্ধেকের বেশি জানেন না যে তারা এই রোগে আক্রান্ত। ফলে হঠাৎ জটিলতা দেখা দিয়ে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি বিকল, অন্ধত্ব বা অঙ্গচ্ছেদের মতো জীবনঘাতী পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

শঙ্কার বিষয় হলো, নারীদের মধ্যেও ডায়াবেটিস দ্রুত বাড়ছে। বাংলাদেশ অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটির তথ্যমতে, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের হার এক দশক আগে ১০ শতাংশ থাকলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২৪ শতাংশে পৌঁছেছে।

বাংলাদেশে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি নারী নতুনভাবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন, যাদের অনেকেই গর্ভবতী। গর্ভবতী মায়ের টাইপ–২ ডায়াবেটিস ভবিষ্যতে সন্তানের ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ায়।

জীবন যাপনের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে

বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্যগ্রহণ, উচ্চ-ক্যালোরি ও চিনিসমৃদ্ধ খাবার পরিহার, মানসিক চাপ কমানো, দুপুরে ঘুম এড়িয়ে চলা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলাকেই ডায়াবেটিস প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি নিয়মিত রক্তে শর্করা পরীক্ষা করাও জরুরি।

ডায়াবেটিক রোগীর নিয়মিত পথ্য ও ওষুধ গ্রহণ করতে হয়। আক্রান্তরা বলছেন, প্রতিমাসে এর জন্য অন্তত ৩০ শতাংশ ব্যয় বেড়ে গেছে। গত তিন বছর ধরে এই রোগে আক্রান্ত একটি পরিবারের দুই সদস্য। তারা বলেন, নিয়মিত ওষুধ, খাওয়ার ধরন বদলে যাওয়ার কারণে এবং পরিবারের একাধিক ব্যক্তি রোগী হওয়ায় তাদের দ্বিগুণ খরচ। এটা কেউ আন্দাজ করতে পারবে না।

চিকিত্‌সকরা বলছেন, প্রি-ডায়াবেটিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা, চিকিৎসকের ফি, ওষুধ এবং যাতায়াতে যদি মোট চিকিৎসা খরচের প্রায় ৩০ শতাংশ ব্যয় হয় তাহলে রোগ জটিল পর্যায়ে পৌঁছালে এই ব্যয় ৮০ শতাংশে পৌঁছাবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

সরকারি হিসাব বলছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় ১ হাজার টাকার ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হলেও দেশে ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার হার মাত্র ১৩ শতাংশ। যেখানে বিনামূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা রয়েছে, সেখানে ব্যবস্থাপনার হার ৬০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে শারীরিক অন্যান্য জটিলতা বাড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৫-২৬ ডায়াবেটিসের লক্ষ্য ঠিক করেছে- ‘ডায়াবেটিস ও ভালো থাকা’। পরবর্তীতে ২০২৫ এ এসে তারা কর্মক্ষেত্র ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা বলছে। কাজের জায়গায় যদি সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকে তাহলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে। কারণ দিনের বড় অংশ আমরা কর্মক্ষেত্রে থাকি। আধুনিক জীবনে মানসিক চাপটা কর্মক্ষেত্রর সঙ্গে জড়িত এবং এই চাপ ব্যবস্থাপনার অফিসকে যুক্ত হতে হবে। কাজের পরিবেশ ও কাজের ধরন যদি মানসিকভাবে কর্মীকে স্বস্তি না দেয় তাহলে সর্বোচ্চ কাজটা আদায় করা সম্ভব না। ফলে অফিস প্রশাসনকে অবশ্যই কর্মীর জন্য ইতিবাচক কর্মপরিবেশ দিতে হবে।’