ইউসুফ আলী বাচ্চু
১১ নভেম্বর, ২০২৫, 6:10 PM
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের বেঁধে দেওয়া সাত দিনের সময়সীমা শেষ হয়েছে, কিন্তু কোনো সমঝোতা হয়নি। গত ৪ নভেম্বর দলগুলোকে এই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর মতো প্রধান দলগুলো গণভোটের সময় নিয়ে তাদের পূর্বের অবস্থানেই অনড় থাকায় কোনো সমন্বয় সম্ভব হয়নি। দলগুলো সিদ্ধান্তে আসতে না পারায় এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর বর্তেছে। তবে আগামী ১৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে দেশটাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা চলছে। গ্রাস করার চেষ্টা চলছে। ধর্মীয় অনুভূতিকে বিক্রি করে তারা এ কাজ করছে। এজন্য আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অম্লান রাখতে হবে। তারা দেশটাকে হিন্দু-মুসলমানে ভাগ করতে চায়। কিন্তু এটা করতে দেওয়া যাবে না। ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশকে স্বাধীন করেছে।’ গতকাল সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কথা স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে চেষ্টা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার। তাদের মনোভাব, ৭১ যেন হয়নি, এই দেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা কোনও অবদান রাখেননি। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে তারা সবকিছু করেছে তারা এমন ধারণা দিচ্ছে।
‘দেশটা আমাদের, এই মাটি আমাদের। এই মানুষগুলোকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে হবে। ১৯৭১ সালে খালেদা জিয়া তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে নিয়ে পাকবাহিনীর হাতে কারাভোগ করেছেন। তাই মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বুকের ভেতর আছে, যা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘৭১-এ আমাদের হাজার হাজার নিরপরাধ ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। তাদের অত্যাচারে অনেকেই দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে লুকিয়ে ছিল। আমাদের মা-বোনদের অন্যায়ভাবে অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই দিনগুলোকে ভুলিয়ে দিতে চাইলে কি আর ভুলে যাওয়া সম্ভব! সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীদের যোগসাজশে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল।’
নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি মহল নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া মানে আমাদের সর্বনাশ করা, এই দেশের সর্বনাশ করা। এখন একটি নির্বাচিত সরকারের খুব দরকার।’ এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
অপরদিকে সরকারের একাধিক সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে যে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের গণভোট দুটোই একই দিনে আয়োজনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আর্থিক সাশ্রয় এবং প্রস্তুতিজনিত জটিলতা এড়াতে সরকার এই সমাধানকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এছাড়া চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারি করতে পারেন। গণভোট করার জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন।
সরকার প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। যদিও বিএনপি উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছে, তবুও সরকার আশা করছে যে এটি চূড়ান্ত প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত হবে।
জামায়াত ও এনসিপি: এই দলগুলো নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজনের দাবিতে অনড় ছিল, তবে এনসিপি এখন সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে নমনীয় হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দলগুলোর মধ্যে অনাস্থা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার সংস্কৃতিই এই অচলাবস্থার মূল কারণ। রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতার সুযোগ হাতছাড়া করায় এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে আসতে চলেছে, যা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন গতি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখনো পুরোপুরি অনিশ্চিত নয়, তবে এর প্রক্রিয়া এবং দিনক্ষণ ঘিরে তীব্র অনিশ্চয়তা ও জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই অচলাবস্থা নিরসনে সরকার নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে। আগামী ১৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের দিকে ঝুঁকবে। এই সিদ্ধান্ত যদি কোনো বড় দল মেনে না নেয় এবং নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেয়, তবে অনিশ্চয়তা বাড়বে।
সনদের আইনি ভিত্তি: সংসদ ছাড়া শুধুমাত্র নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া নিয়ে আইনি বিতর্ক রয়েছে। সরকার আদেশ-অধ্যাদেশ জারি করলেও, তা নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ বা রাজনৈতিক বিরোধিতা সৃষ্টি হতে পারে।
এনসিপি-এর মতো দলগুলো জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরই নির্বাচনে যাওয়ার শর্ত দিয়েছে। সংস্কার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সামান্য ত্রুটি এলেই এই দলগুলো নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকার বারবার বলেছে যে তারা দ্রুত একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। তারা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ভোটের তফসিল ঘোষণার লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানা গেছে। নির্বাচন অনিশ্চিত হওয়ার চেয়ে বরং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং গণভোটের তারিখ নিয়েই অনিশ্চয়তা সবচেয়ে বেশি।
যদি সরকার ১৩ নভেম্বরের বৈঠকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয় যা বিএনপি বা জামায়াত মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়, তবেই নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। তবে এখন পর্যন্ত সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়ায়নি।
ইউসুফ আলী বাচ্চু
১১ নভেম্বর, ২০২৫, 6:10 PM
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের বেঁধে দেওয়া সাত দিনের সময়সীমা শেষ হয়েছে, কিন্তু কোনো সমঝোতা হয়নি। গত ৪ নভেম্বর দলগুলোকে এই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর মতো প্রধান দলগুলো গণভোটের সময় নিয়ে তাদের পূর্বের অবস্থানেই অনড় থাকায় কোনো সমন্বয় সম্ভব হয়নি। দলগুলো সিদ্ধান্তে আসতে না পারায় এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর বর্তেছে। তবে আগামী ১৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে দেশটাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা চলছে। গ্রাস করার চেষ্টা চলছে। ধর্মীয় অনুভূতিকে বিক্রি করে তারা এ কাজ করছে। এজন্য আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অম্লান রাখতে হবে। তারা দেশটাকে হিন্দু-মুসলমানে ভাগ করতে চায়। কিন্তু এটা করতে দেওয়া যাবে না। ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশকে স্বাধীন করেছে।’ গতকাল সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কথা স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে চেষ্টা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার। তাদের মনোভাব, ৭১ যেন হয়নি, এই দেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা কোনও অবদান রাখেননি। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে তারা সবকিছু করেছে তারা এমন ধারণা দিচ্ছে।
‘দেশটা আমাদের, এই মাটি আমাদের। এই মানুষগুলোকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে হবে। ১৯৭১ সালে খালেদা জিয়া তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে নিয়ে পাকবাহিনীর হাতে কারাভোগ করেছেন। তাই মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বুকের ভেতর আছে, যা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘৭১-এ আমাদের হাজার হাজার নিরপরাধ ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। তাদের অত্যাচারে অনেকেই দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে লুকিয়ে ছিল। আমাদের মা-বোনদের অন্যায়ভাবে অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই দিনগুলোকে ভুলিয়ে দিতে চাইলে কি আর ভুলে যাওয়া সম্ভব! সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীদের যোগসাজশে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল।’
নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি মহল নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া মানে আমাদের সর্বনাশ করা, এই দেশের সর্বনাশ করা। এখন একটি নির্বাচিত সরকারের খুব দরকার।’ এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
অপরদিকে সরকারের একাধিক সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে যে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের গণভোট দুটোই একই দিনে আয়োজনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আর্থিক সাশ্রয় এবং প্রস্তুতিজনিত জটিলতা এড়াতে সরকার এই সমাধানকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এছাড়া চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারি করতে পারেন। গণভোট করার জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন।
সরকার প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। যদিও বিএনপি উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছে, তবুও সরকার আশা করছে যে এটি চূড়ান্ত প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত হবে।
জামায়াত ও এনসিপি: এই দলগুলো নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজনের দাবিতে অনড় ছিল, তবে এনসিপি এখন সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে নমনীয় হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দলগুলোর মধ্যে অনাস্থা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার সংস্কৃতিই এই অচলাবস্থার মূল কারণ। রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতার সুযোগ হাতছাড়া করায় এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে আসতে চলেছে, যা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন গতি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখনো পুরোপুরি অনিশ্চিত নয়, তবে এর প্রক্রিয়া এবং দিনক্ষণ ঘিরে তীব্র অনিশ্চয়তা ও জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই অচলাবস্থা নিরসনে সরকার নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে। আগামী ১৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের দিকে ঝুঁকবে। এই সিদ্ধান্ত যদি কোনো বড় দল মেনে না নেয় এবং নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেয়, তবে অনিশ্চয়তা বাড়বে।
সনদের আইনি ভিত্তি: সংসদ ছাড়া শুধুমাত্র নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া নিয়ে আইনি বিতর্ক রয়েছে। সরকার আদেশ-অধ্যাদেশ জারি করলেও, তা নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ বা রাজনৈতিক বিরোধিতা সৃষ্টি হতে পারে।
এনসিপি-এর মতো দলগুলো জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরই নির্বাচনে যাওয়ার শর্ত দিয়েছে। সংস্কার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সামান্য ত্রুটি এলেই এই দলগুলো নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকার বারবার বলেছে যে তারা দ্রুত একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। তারা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ভোটের তফসিল ঘোষণার লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানা গেছে। নির্বাচন অনিশ্চিত হওয়ার চেয়ে বরং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং গণভোটের তারিখ নিয়েই অনিশ্চয়তা সবচেয়ে বেশি।
যদি সরকার ১৩ নভেম্বরের বৈঠকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয় যা বিএনপি বা জামায়াত মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়, তবেই নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। তবে এখন পর্যন্ত সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়ায়নি।