ইউসুফ আলী বাচ্চু
০৮ নভেম্বর, ২০২৫, 6:43 PM
গণভোটের তারিখ নির্ধারণ নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে তৈরি হওয়া তীব্র মতপার্থক্য মীমাংসাহীনতায় প্রধান উপদেষ্টার দরবারে পৌঁছালেও, উপদেষ্টা পরিষদ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়ে দিয়েছেন, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে, সেই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোকেই আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত নিতে হবে। এরই মধ্যে বিএনপি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে সংবিধানের কোথাও গণভোটের কথা উল্লেখ নেই। এতেকরে গণভোটের আলোচনা আপাতাত ‘ফ্রিজে’ ঢুকে গেলো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে, তারা এই সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছেন। এই সংবিধানে গণভোট নিয়ে কিছু নেই। আগামীতে নির্বাচনে পাস করে সংসদে গিয়ে সংবিধানে গণভোট যুক্ত করে এরপর গণভোটে আসতে পারে।’ এসময় গণভোটের দাবি নিয়ে কথায় কথায় রাস্তায় না নামার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘জনতার ইশতেহার’ শীর্ষক এক ডায়লগে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। আমীর খসরু বলেন, কথায় কথায় আপনি দাবি নিয়ে রাস্তায় যাবেন, সেটা হবে না। আপনাদের দাবি নিয়ে মাঠে যাবেন, এর বিপরীতে যদি দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দল কর্মসূচি দেয় তাহলে সংঘর্ষ বাঁধবে না?
তিনি বলেন,আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কেমন জানি একটা স্বৈরাচারী মনোভাব চলে আসছে। কনসাসের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের ৩১ দফার অনেক কিছুই কনসাসের মধ্যে আসেনি, তাই বলে কি আমি মাঠে নামবো? আমি জনগণের কাছে যাব।
আমীর খসরু বলেন, ঐক্যমতের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। চ্যাপ্টার ক্লোজড। আপনার চিন্তাভাবনা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনি ক্ষমতায় আসেন, এরপরে আপনি পরিবর্তন করুন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে একটা হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি দলের ছাত্র সংগঠনের সাবেক নেতাকর্মীদের অন্তর্কোন্দলের মাধ্যমে ঘটেছে। যারা নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে তারা ঘটিয়েছে কি-না এই ঘটনা সেটা আমাদের সন্দেহ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ায় এবং দলগুলো নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকায়, জামায়াতে ইসলামীর নভেম্বরে গণভোট অনুষ্ঠানের দাবি কার্যত অনাদায়ী থেকে যাওয়ার পথে। সরকারও আর্থিক সাশ্রয় ও প্রস্তুতিজনিত কারণ দেখিয়ে নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের দিকে ঝুঁকছে। গণভোটের তারিখ নিয়ে দুই পক্ষের অবস্থান জুলাই গণভোট নিয়ে কোনো দলের দ্বিমত না থাকলেও, কখন এটি অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে বিরোধ চরমে। দল অবস্থানমূল যুক্তি বিএনপি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হোক। এতে অর্থের সাশ্রয় হবে। আলাদাভাবে গণভোট আয়োজন করলে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির ঘাটতি হতে পারে এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। জামায়াতের দাবি নভেম্বর মাসেই গণভোট করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হলে এর গুরুত্ব ও আমেজ থাকবে না। আগে গণভোটের রায় অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণ করা শ্রেয়। এনসিপি গণভোট নির্বাচনের দিন হলেও সমস্যা নেই। ‘গণভোট নির্বাচনের আগে না পরে হবে, সেটা প্রধান সংকট নয়।’ তারা মনে করে এই বিতর্ক আসন ভাগের দেন দরবারের কৌশল।
বিরক্ত উপদেষ্টা পরিষদ: দায় চাপালেন রাজনীতিবিদদের ওপরবিতর্কের ফয়সালার ভার প্রধান উপদেষ্টার দরবারে পৌঁছালেও, উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভা শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ‘গণভোট কবে হবে এটা রাজনীতিবিদদের থেকে সিদ্ধান্ত আসলেই শ্রেয়। এটা যত দ্রুত সম্ভব রাজনৈতিক দলগুলো বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে যেন জানায়।’ এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে গণভোটের বল আবার পুরোপুরি রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে ঠেলে দেওয়া হলো। প্রশ্ন উঠেছে, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে এই দেনদরবার চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে কি না।
সরকারের গোপন উদ্যোগ: ঐক্যের দিকে ইঙ্গিত সরকার শেষ মুহূর্তে সংকট সমাধানে একটি উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে। শীর্ষ তিন দল (বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি) কে বোঝানোর জন্য তিনজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্র দাবি করছে, এই উপদেষ্টারা প্রায় সফল এবং তারা জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের ব্যাপারে ঐক্যমত হওয়ার স্বীকৃতি আদায় করেছেন। বিএনপি ও এনসিপি আগে থেকেই রাজি থাকায়, এখন বাস্তবতার নিরিখে জামায়াতও ওই সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, দেশে ফিরে আসা জামায়াত ইসলামের আমির ড. শফিকুর রহমান ৪ নভেম্বর সাংবাদিকদের বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য থাকতে পারে, সেটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, তবে মতবিরোধ নয়। তার এই বক্তব্যে আপাতত ঐক্যের একটি ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও গণভোট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এক বছরে দুটি ‘মেগা ইভেন্ট’ আয়োজনে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হওয়া অযৌক্তিক। সরকার যখন আয়ের চেয়ে বেশি ঋণ শোধ করছে, তখন আলাদা গণভোট করে অর্থ তসরুপের বিলাসিতা গ্রহণ করবে না। এই অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিএনপি’র ‘জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট’ প্রস্তাবকে আরও জোরালো করেছে। ফলে, জামায়াতের ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন’ দাবির মতো নভেম্বরে গণভোট অনুষ্ঠানের দাবিও আপাতত ‘ফ্রিজে’ বা অনাদায়ী থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো।
ইউসুফ আলী বাচ্চু
০৮ নভেম্বর, ২০২৫, 6:43 PM
গণভোটের তারিখ নির্ধারণ নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে তৈরি হওয়া তীব্র মতপার্থক্য মীমাংসাহীনতায় প্রধান উপদেষ্টার দরবারে পৌঁছালেও, উপদেষ্টা পরিষদ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়ে দিয়েছেন, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে, সেই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোকেই আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত নিতে হবে। এরই মধ্যে বিএনপি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে সংবিধানের কোথাও গণভোটের কথা উল্লেখ নেই। এতেকরে গণভোটের আলোচনা আপাতাত ‘ফ্রিজে’ ঢুকে গেলো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে, তারা এই সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছেন। এই সংবিধানে গণভোট নিয়ে কিছু নেই। আগামীতে নির্বাচনে পাস করে সংসদে গিয়ে সংবিধানে গণভোট যুক্ত করে এরপর গণভোটে আসতে পারে।’ এসময় গণভোটের দাবি নিয়ে কথায় কথায় রাস্তায় না নামার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘জনতার ইশতেহার’ শীর্ষক এক ডায়লগে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। আমীর খসরু বলেন, কথায় কথায় আপনি দাবি নিয়ে রাস্তায় যাবেন, সেটা হবে না। আপনাদের দাবি নিয়ে মাঠে যাবেন, এর বিপরীতে যদি দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দল কর্মসূচি দেয় তাহলে সংঘর্ষ বাঁধবে না?
তিনি বলেন,আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কেমন জানি একটা স্বৈরাচারী মনোভাব চলে আসছে। কনসাসের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের ৩১ দফার অনেক কিছুই কনসাসের মধ্যে আসেনি, তাই বলে কি আমি মাঠে নামবো? আমি জনগণের কাছে যাব।
আমীর খসরু বলেন, ঐক্যমতের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। চ্যাপ্টার ক্লোজড। আপনার চিন্তাভাবনা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনি ক্ষমতায় আসেন, এরপরে আপনি পরিবর্তন করুন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে একটা হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি দলের ছাত্র সংগঠনের সাবেক নেতাকর্মীদের অন্তর্কোন্দলের মাধ্যমে ঘটেছে। যারা নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে তারা ঘটিয়েছে কি-না এই ঘটনা সেটা আমাদের সন্দেহ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ায় এবং দলগুলো নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকায়, জামায়াতে ইসলামীর নভেম্বরে গণভোট অনুষ্ঠানের দাবি কার্যত অনাদায়ী থেকে যাওয়ার পথে। সরকারও আর্থিক সাশ্রয় ও প্রস্তুতিজনিত কারণ দেখিয়ে নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের দিকে ঝুঁকছে। গণভোটের তারিখ নিয়ে দুই পক্ষের অবস্থান জুলাই গণভোট নিয়ে কোনো দলের দ্বিমত না থাকলেও, কখন এটি অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে বিরোধ চরমে। দল অবস্থানমূল যুক্তি বিএনপি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হোক। এতে অর্থের সাশ্রয় হবে। আলাদাভাবে গণভোট আয়োজন করলে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির ঘাটতি হতে পারে এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। জামায়াতের দাবি নভেম্বর মাসেই গণভোট করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হলে এর গুরুত্ব ও আমেজ থাকবে না। আগে গণভোটের রায় অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণ করা শ্রেয়। এনসিপি গণভোট নির্বাচনের দিন হলেও সমস্যা নেই। ‘গণভোট নির্বাচনের আগে না পরে হবে, সেটা প্রধান সংকট নয়।’ তারা মনে করে এই বিতর্ক আসন ভাগের দেন দরবারের কৌশল।
বিরক্ত উপদেষ্টা পরিষদ: দায় চাপালেন রাজনীতিবিদদের ওপরবিতর্কের ফয়সালার ভার প্রধান উপদেষ্টার দরবারে পৌঁছালেও, উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভা শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ‘গণভোট কবে হবে এটা রাজনীতিবিদদের থেকে সিদ্ধান্ত আসলেই শ্রেয়। এটা যত দ্রুত সম্ভব রাজনৈতিক দলগুলো বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে যেন জানায়।’ এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে গণভোটের বল আবার পুরোপুরি রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে ঠেলে দেওয়া হলো। প্রশ্ন উঠেছে, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে এই দেনদরবার চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে কি না।
সরকারের গোপন উদ্যোগ: ঐক্যের দিকে ইঙ্গিত সরকার শেষ মুহূর্তে সংকট সমাধানে একটি উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে। শীর্ষ তিন দল (বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি) কে বোঝানোর জন্য তিনজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্র দাবি করছে, এই উপদেষ্টারা প্রায় সফল এবং তারা জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের ব্যাপারে ঐক্যমত হওয়ার স্বীকৃতি আদায় করেছেন। বিএনপি ও এনসিপি আগে থেকেই রাজি থাকায়, এখন বাস্তবতার নিরিখে জামায়াতও ওই সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, দেশে ফিরে আসা জামায়াত ইসলামের আমির ড. শফিকুর রহমান ৪ নভেম্বর সাংবাদিকদের বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য থাকতে পারে, সেটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, তবে মতবিরোধ নয়। তার এই বক্তব্যে আপাতত ঐক্যের একটি ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও গণভোট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এক বছরে দুটি ‘মেগা ইভেন্ট’ আয়োজনে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হওয়া অযৌক্তিক। সরকার যখন আয়ের চেয়ে বেশি ঋণ শোধ করছে, তখন আলাদা গণভোট করে অর্থ তসরুপের বিলাসিতা গ্রহণ করবে না। এই অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিএনপি’র ‘জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট’ প্রস্তাবকে আরও জোরালো করেছে। ফলে, জামায়াতের ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন’ দাবির মতো নভেম্বরে গণভোট অনুষ্ঠানের দাবিও আপাতত ‘ফ্রিজে’ বা অনাদায়ী থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো।