CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২১ নভেম্বর, ২০২৫

খাবার নিয়ে সন্তানকে আড়ালে যেতে দেবেন না

#
news image

খাবার শুধু শরীরের জন্য নয়, এটি পরিবারের সম্পর্কের বন্ধনও। তাই সন্তানকে ঘরে একা খাবার না খেতে দিয়ে, পরিবারের সবাই মিলে টেবিলে খাওয়ার অভ্যাস করুন। একসাথে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার গভীর শিক্ষামূলক ও মানসিক কারণ আছে। যখন সবাই একসাথে টেবিলে খায়, তখন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আলাপ, হাসি-আনন্দ ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ে। এতে সন্তান মনে করে, সে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। খাবার টেবিলের শিক্ষার মধ্য দিয়ে সন্তান জীবনের মূল্যবোধ শেখে—

মানসিক ও আচরণগত উন্নতি হয়
যখন আপনি পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসাথে খাবেন, তখন আপনার সন্তান অনেক ছোট ছোট বিষয় শিখে যায়— এগুলো জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক দক্ষতা।
ঘরে একা খেলে শিশুরা অনেক সময় টিভি দেখে বা ফোনে মন দেয়, ফলে বেশি বা কম খেয়ে ফেলে। খাবারের টেস্ট বিষয়ে আলাদা করে বুঝতে পারে না। বিভিন্ন ধরনের খাবার মিলিয়ে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয় না। কিন্তু পরিবারের সাথে খেলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস হয় এবং অপ্রয়োজনীয় জাঙ্ক ফুড কমে।

একসাথে খাবার সময় হলো দিনের এমন একটা সময়, যখন সবাই নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে— স্কুলের ঘটনা, কাজের কথা, আনন্দ বা কষ্ট। এতে সন্তান মনে করে, তার কথা গুরুত্বপূর্ণ এবং সে ভালোভাবে খোলামেলা হতে শেখে।

সন্তানকে টেবিলে খাবার দিতে সহায়তা করতে শেখানো মানে শুধু কাজ শেখানো নয়— বরং দায়িত্ববোধ, শ্রদ্ধা ও পারিবারিক সহযোগিতার মূল্যবোধ শেখানো। যখন শিশুকে বলা হয় ‘চলো, টেবিলে খাবার সাজাতে সাহায্য করো’, তখন সে বুঝতে শেখে যে পরিবারের কাজে তারও দায়িত্ব আছে। এর মধ্য দিয়ে সে সহযোগিতা ও দলগত মানসিকতা শেখে। পরিবার একসাথে কাজ করলে শিশু বুঝতে পারে এটা কেবল তার মায়ের কাজ না। এটাতে তার বাবা ও তার সমান দায়িত্ব আছে।

যখন শিশু দেখে যে খাবার প্রস্তুত করতে কষ্ট হয়, তখন সে খাবার ও রাঁধুনিকে (সাধারণত মা বা বাবা) বেশি সম্মান করতে শেখে। বয়স অনুযায়ী কাজ দিন। টেবিল সাজানো, চামচ-কাঁটা রাখা, পানি দেওয়া— এসব ছোট কাজ শিশুর মধ্যে শৃঙ্খলা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সংগঠনের অভ্যাস তৈরি করবে।

লাইফস্টাইল ডেস্ক

২৯ অক্টোবর, ২০২৫,  6:45 PM

news image

খাবার শুধু শরীরের জন্য নয়, এটি পরিবারের সম্পর্কের বন্ধনও। তাই সন্তানকে ঘরে একা খাবার না খেতে দিয়ে, পরিবারের সবাই মিলে টেবিলে খাওয়ার অভ্যাস করুন। একসাথে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার গভীর শিক্ষামূলক ও মানসিক কারণ আছে। যখন সবাই একসাথে টেবিলে খায়, তখন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আলাপ, হাসি-আনন্দ ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ে। এতে সন্তান মনে করে, সে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। খাবার টেবিলের শিক্ষার মধ্য দিয়ে সন্তান জীবনের মূল্যবোধ শেখে—

মানসিক ও আচরণগত উন্নতি হয়
যখন আপনি পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসাথে খাবেন, তখন আপনার সন্তান অনেক ছোট ছোট বিষয় শিখে যায়— এগুলো জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক দক্ষতা।
ঘরে একা খেলে শিশুরা অনেক সময় টিভি দেখে বা ফোনে মন দেয়, ফলে বেশি বা কম খেয়ে ফেলে। খাবারের টেস্ট বিষয়ে আলাদা করে বুঝতে পারে না। বিভিন্ন ধরনের খাবার মিলিয়ে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয় না। কিন্তু পরিবারের সাথে খেলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস হয় এবং অপ্রয়োজনীয় জাঙ্ক ফুড কমে।

একসাথে খাবার সময় হলো দিনের এমন একটা সময়, যখন সবাই নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে— স্কুলের ঘটনা, কাজের কথা, আনন্দ বা কষ্ট। এতে সন্তান মনে করে, তার কথা গুরুত্বপূর্ণ এবং সে ভালোভাবে খোলামেলা হতে শেখে।

সন্তানকে টেবিলে খাবার দিতে সহায়তা করতে শেখানো মানে শুধু কাজ শেখানো নয়— বরং দায়িত্ববোধ, শ্রদ্ধা ও পারিবারিক সহযোগিতার মূল্যবোধ শেখানো। যখন শিশুকে বলা হয় ‘চলো, টেবিলে খাবার সাজাতে সাহায্য করো’, তখন সে বুঝতে শেখে যে পরিবারের কাজে তারও দায়িত্ব আছে। এর মধ্য দিয়ে সে সহযোগিতা ও দলগত মানসিকতা শেখে। পরিবার একসাথে কাজ করলে শিশু বুঝতে পারে এটা কেবল তার মায়ের কাজ না। এটাতে তার বাবা ও তার সমান দায়িত্ব আছে।

যখন শিশু দেখে যে খাবার প্রস্তুত করতে কষ্ট হয়, তখন সে খাবার ও রাঁধুনিকে (সাধারণত মা বা বাবা) বেশি সম্মান করতে শেখে। বয়স অনুযায়ী কাজ দিন। টেবিল সাজানো, চামচ-কাঁটা রাখা, পানি দেওয়া— এসব ছোট কাজ শিশুর মধ্যে শৃঙ্খলা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সংগঠনের অভ্যাস তৈরি করবে।