CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২১ নভেম্বর, ২০২৫

শীতকাল হোক পিঠার সুবাসে মৌ মৌ

#
news image

বাংলার শীত মানেই পিঠার মৌসুম। গ্রাম হোক বা শহর—সবখানেই শীতে গরম ভাপা পিঠা, মিষ্টি পাটিসাপটা আর দুধ-পিঠার গন্ধে মৌ মৌ করে চারপাশ। চলুন দেখে নেওয়া যাক ঘরে বসেই কীভাবে তৈরি করবেন ঐতিহ্যবাহী শীতের পিঠাগুলো। কারণ, শীত কড়া নাড়ছে...

ভাপা পিঠা: ৮–১০টি (৪–৫ জন)


উপকরণ


চালের গুঁড়া ২ কাপ, নারকেল কোরানো ১ কাপ, খেজুর গুড় আধা কাপ, লবণ সামান্য।

প্রস্তুত প্রণালী


চালের গুঁড়া ও লবণ মিশিয়ে গরম পানিতে ঝুরঝুরে মণ্ড তৈরি করুন। আলাদা করে নারকেল ও গুড়ের পুর বানিয়ে রাখুন।

ভাপার ছাঁচে প্রথমে এক স্তর মণ্ড, তারপর পুর, এরপর আবার মণ্ড দিন।

ফুটন্ত পানির ওপর ঢেকে ১০–১২ মিনিট ভাপে রাখুন। নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন—খেজুরের গুড়ের গন্ধে মন ভরে যাবে।

পাটিসাপটা: ৬–৮টি (৩–৪ জন)

উপকরণ

চালের গুঁড়া ১ কাপ, ময়দা আধা কাপ, দুধ দেড় কাপ, নারকেল ১ কাপ, গুড় আধা কাপ।

প্রস্তুত প্রণালী

চালের গুঁড়া, ময়দা ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে পাতলা ব্যাটার তৈরি করুন। নারকেল ও গুড় দিয়ে পুর তৈরি করুন।
ফ্রাইপ্যানে সামান্য তেল গরম করে ব্যাটার ঢেলে এক দিক সেঁকে নিন। মাঝখানে পুর দিয়ে রোল করে পরিবেশন করুন। 

চা বা দুধের সঙ্গে এটি শীতের সন্ধ্যার নিখুঁত সঙ্গী।

চিতই পিঠা: ৮–১০টি (৪–৫ জন)

উপকরণ

চালের গুঁড়া ২ কাপ, গরম পানি প্রয়োজনমতো, লবণ সামান্য।

প্রস্তুত প্রণালী

চালের গুঁড়ায় গরম পানি দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। চামচে কেটে চিতই পিঠার তাওয়ায় ঢেলে ঢেকে রাখুন পরিমাণ মতো। উপরে ফেনা উঠলে বুঝবেন তৈরি।

গুড় বা নারকেলের দুধ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

দুধ পিঠা: ৪–৫ বাটি (৪ জন)

উপকরণ

চালের গুঁড়া ১ কাপ, দুধ ২ কাপ, গুড় আধা কাপ, নারকেল কুচি আধা কাপ।

প্রস্তুত প্রণালী

চালের গুঁড়া দিয়ে ছোট বল তৈরি করুন। ফুটন্ত দুধে ফেলে দিন। গুড় ও নারকেল যোগ করে দুধ ঘন হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।

গরম বা ঠাণ্ডা—দুইভাবেই পরিবেশনযোগ্য।

বলা দরকার

শীতের পিঠা কেবল এক টুকরো খাবার নয়, এটি বাংলার সংস্কৃতি, পারিবারিক উষ্ণতা আর ঐতিহ্যের প্রতীক। শীতের সকালে ভাপা পিঠার ধোঁয়া, বিকেলে চিতই অথবা পাটিসাপটার গন্ধ আর রাতে দুধ-পিঠার মিষ্টি স্বাদ—এই সব মিলেই যেন এক উৎসবের ঋতু।

লাইফস্টাইল ডেস্ক

২৬ অক্টোবর, ২০২৫,  4:29 PM

news image

বাংলার শীত মানেই পিঠার মৌসুম। গ্রাম হোক বা শহর—সবখানেই শীতে গরম ভাপা পিঠা, মিষ্টি পাটিসাপটা আর দুধ-পিঠার গন্ধে মৌ মৌ করে চারপাশ। চলুন দেখে নেওয়া যাক ঘরে বসেই কীভাবে তৈরি করবেন ঐতিহ্যবাহী শীতের পিঠাগুলো। কারণ, শীত কড়া নাড়ছে...

ভাপা পিঠা: ৮–১০টি (৪–৫ জন)


উপকরণ


চালের গুঁড়া ২ কাপ, নারকেল কোরানো ১ কাপ, খেজুর গুড় আধা কাপ, লবণ সামান্য।

প্রস্তুত প্রণালী


চালের গুঁড়া ও লবণ মিশিয়ে গরম পানিতে ঝুরঝুরে মণ্ড তৈরি করুন। আলাদা করে নারকেল ও গুড়ের পুর বানিয়ে রাখুন।

ভাপার ছাঁচে প্রথমে এক স্তর মণ্ড, তারপর পুর, এরপর আবার মণ্ড দিন।

ফুটন্ত পানির ওপর ঢেকে ১০–১২ মিনিট ভাপে রাখুন। নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন—খেজুরের গুড়ের গন্ধে মন ভরে যাবে।

পাটিসাপটা: ৬–৮টি (৩–৪ জন)

উপকরণ

চালের গুঁড়া ১ কাপ, ময়দা আধা কাপ, দুধ দেড় কাপ, নারকেল ১ কাপ, গুড় আধা কাপ।

প্রস্তুত প্রণালী

চালের গুঁড়া, ময়দা ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে পাতলা ব্যাটার তৈরি করুন। নারকেল ও গুড় দিয়ে পুর তৈরি করুন।
ফ্রাইপ্যানে সামান্য তেল গরম করে ব্যাটার ঢেলে এক দিক সেঁকে নিন। মাঝখানে পুর দিয়ে রোল করে পরিবেশন করুন। 

চা বা দুধের সঙ্গে এটি শীতের সন্ধ্যার নিখুঁত সঙ্গী।

চিতই পিঠা: ৮–১০টি (৪–৫ জন)

উপকরণ

চালের গুঁড়া ২ কাপ, গরম পানি প্রয়োজনমতো, লবণ সামান্য।

প্রস্তুত প্রণালী

চালের গুঁড়ায় গরম পানি দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। চামচে কেটে চিতই পিঠার তাওয়ায় ঢেলে ঢেকে রাখুন পরিমাণ মতো। উপরে ফেনা উঠলে বুঝবেন তৈরি।

গুড় বা নারকেলের দুধ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

দুধ পিঠা: ৪–৫ বাটি (৪ জন)

উপকরণ

চালের গুঁড়া ১ কাপ, দুধ ২ কাপ, গুড় আধা কাপ, নারকেল কুচি আধা কাপ।

প্রস্তুত প্রণালী

চালের গুঁড়া দিয়ে ছোট বল তৈরি করুন। ফুটন্ত দুধে ফেলে দিন। গুড় ও নারকেল যোগ করে দুধ ঘন হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।

গরম বা ঠাণ্ডা—দুইভাবেই পরিবেশনযোগ্য।

বলা দরকার

শীতের পিঠা কেবল এক টুকরো খাবার নয়, এটি বাংলার সংস্কৃতি, পারিবারিক উষ্ণতা আর ঐতিহ্যের প্রতীক। শীতের সকালে ভাপা পিঠার ধোঁয়া, বিকেলে চিতই অথবা পাটিসাপটার গন্ধ আর রাতে দুধ-পিঠার মিষ্টি স্বাদ—এই সব মিলেই যেন এক উৎসবের ঋতু।