সৈয়দ বোরহান কবির
২৬ জুলাই, ২০২৫, 5:10 PM
একটি রাষ্ট্রের তিনটি ভাগের মধ্যে বিচার বিভাগ একটি । তিন বিভাগ, অর্থাৎ আইন, শাসন ও বিচার বিভাগ স্বাতন্ত্র্য । একটি বিভাগ যেন আরেকটি বিভাগের উপর কর্তৃত্ব না করে, সেটাই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য ।
বিচার বিভাগের কোন রায় আইন বা শাসন বিভাগের পছন্দ নাও হতে পারে । কিন্তু সেজন্য বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ গনতন্ত্রের পরিপন্থী ।
গত বৃহস্পতিবার সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তাকে গ্রেপ্তারের পর,,অনেকই বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে তিনি মহা অন্যায় করেছেন । তিনিই নাকি গনতন্ত্র ধ্বংসের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ।
আসলে কি তাই?
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় কি খায়রুল হক একা দিয়েছেন?
ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে ২০১১ সালের ওই রায় দেয়ার সময় প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে ছিলেন খায়রুল হক। রায় প্রদানকারী বাকি ছয় বিচারপতির মধ্যে তিনজন তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগ।
বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের লেখা রায়ের ৩৪২ পৃষ্ঠার মূল অংশটি তিনি বাংলায় লিখেছেন। তার সঙ্গে একমত হয়েছেন বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, বিচারপতি এস কে সিনহা ও বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
এই রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা। তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা।
তবে বিচারপতি মো. ইমান আলী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে মত না দিয়ে বিষয়টি জাতীয় সংসদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি একশ ৫০ পৃষ্ঠার অভিমত লিখেছেন।
তাহলে এই রায়ের একক দায় কোন ভাবেই শুধু খায়রুল হকের ওপর বর্তায় না ।
অন্যদের কে কি একই ভাবে হেনস্থা করা হবে?
খায়রুল হকের গ্রেপ্তার আমাদের আরেকটি প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়-
বিগত দিনে যেসব বিচারপতি বিএনপি- জামায়াতের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের বিচারে যারা বিচারক ছিলেন তাদেরও কি কিশোর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হবে?
এই গ্রেপ্তার তো তারই পূর্বাভাস ।
এই যে একটা ভয়ংকর কালচার শুরু হলো, তাতে আজ যারা বিচারকের আসনে বসে বিভিন্ন বিষয়ে রায় দিচ্ছেন, তারা কতটা নিরাপদ? ভবিষ্যতের চিন্তায় তারা কি একটুও বিচলিত হবেন না?
কারণ, এই দেশটা তো জোয়ার -ভাটার!
সৈয়দ বোরহান কবির
২৬ জুলাই, ২০২৫, 5:10 PM
একটি রাষ্ট্রের তিনটি ভাগের মধ্যে বিচার বিভাগ একটি । তিন বিভাগ, অর্থাৎ আইন, শাসন ও বিচার বিভাগ স্বাতন্ত্র্য । একটি বিভাগ যেন আরেকটি বিভাগের উপর কর্তৃত্ব না করে, সেটাই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য ।
বিচার বিভাগের কোন রায় আইন বা শাসন বিভাগের পছন্দ নাও হতে পারে । কিন্তু সেজন্য বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ গনতন্ত্রের পরিপন্থী ।
গত বৃহস্পতিবার সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তাকে গ্রেপ্তারের পর,,অনেকই বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে তিনি মহা অন্যায় করেছেন । তিনিই নাকি গনতন্ত্র ধ্বংসের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ।
আসলে কি তাই?
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় কি খায়রুল হক একা দিয়েছেন?
ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে ২০১১ সালের ওই রায় দেয়ার সময় প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে ছিলেন খায়রুল হক। রায় প্রদানকারী বাকি ছয় বিচারপতির মধ্যে তিনজন তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগ।
বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের লেখা রায়ের ৩৪২ পৃষ্ঠার মূল অংশটি তিনি বাংলায় লিখেছেন। তার সঙ্গে একমত হয়েছেন বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, বিচারপতি এস কে সিনহা ও বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
এই রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা। তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা।
তবে বিচারপতি মো. ইমান আলী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে মত না দিয়ে বিষয়টি জাতীয় সংসদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি একশ ৫০ পৃষ্ঠার অভিমত লিখেছেন।
তাহলে এই রায়ের একক দায় কোন ভাবেই শুধু খায়রুল হকের ওপর বর্তায় না ।
অন্যদের কে কি একই ভাবে হেনস্থা করা হবে?
খায়রুল হকের গ্রেপ্তার আমাদের আরেকটি প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়-
বিগত দিনে যেসব বিচারপতি বিএনপি- জামায়াতের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের বিচারে যারা বিচারক ছিলেন তাদেরও কি কিশোর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হবে?
এই গ্রেপ্তার তো তারই পূর্বাভাস ।
এই যে একটা ভয়ংকর কালচার শুরু হলো, তাতে আজ যারা বিচারকের আসনে বসে বিভিন্ন বিষয়ে রায় দিচ্ছেন, তারা কতটা নিরাপদ? ভবিষ্যতের চিন্তায় তারা কি একটুও বিচলিত হবেন না?
কারণ, এই দেশটা তো জোয়ার -ভাটার!