CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২১ নভেম্বর, ২০২৫

কপ-৩০ সামনে রেখে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি

#
news image

ব্রাজিলের বেলেমে আগামী ১১-২১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের ৩০তম বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন (কপ-৩০) কে সামনে রেখে বাংলাদেশের শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নগুলো তাদের দাবি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর জাস্ট ট্রানজিশন বাংলাদেশ-এর ব্যানারে আজ (৯ নভেম্বর, রবিবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ১০ দফা দাবি পেশ করেছে তারা।বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিস (বিলস) এবং বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) এর উদ্যোগে মন্ডিয়াল এফএনভির সহায়তায় আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার ও ন্যায্য রূপান্তর (Just Transition) নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) নেতা শাকিল আখতার চৌধুরী শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মূল ১০ দফা দাবিগুলো তুলে ধরেন।

শ্রমিকদের ১০ দফা দাবির মূল বিষয়বস্তুশ্রমিকদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিগুলোর প্রধান লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের নীতি এবং বাস্তবায়নের কেন্দ্রে শ্রমিকদের সুরক্ষা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো হলো:ক্রমদাবির মূল বিষয়বস্তু১.শ্রমিক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তি: জলবায়ু সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ধাপে (নীতি নির্ধারণ, বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ) শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিশ্চিত করা।২.ন্যায্য অন্তর্ভুক্তিকরণ: জলবায়ু অর্থায়নে শ্রমিকদের কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে ন্যায্য অন্তর্ভুক্তিকরণ।৩.কাজের নিরাপত্তা ও রূপান্তর: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকিতে কাজের নিরাপত্তা এবং ন্যায্য রূপান্তর নিশ্চিত করা।৪.মৌলিক অধিকার: জলবায়ু নীতিমালায় শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করা।৫.ন্যায্য রূপান্তর ধারা: সকল ধরনের জলবায়ু চুক্তিতে ন্যায্য রূপান্তর ধারা অন্তর্ভুক্ত করা।৬.জেন্ডার-সমতা: জেন্ডার-সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রূপান্তর নিশ্চিত করা।৭.পর্যবেক্ষণ কর্তৃপক্ষ: স্বাধীন “পর্যবেক্ষণ কর্তৃপক্ষ” গঠন করা।৮.বৈশ্বিক সংহতি: বৈশ্বিক সংহতি ও ন্যায্য দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা।৯.কপ-৩০ ঘোষণা: কপ-৩০-কে “ন্যায্য রূপান্তর বাস্তবায়ন কপ” হিসেবে ঘোষণা করা।১০.প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন: জলবায়ু সংক্রান্ত পূর্ববর্তী সকল প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান এবং জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)-এর যুগ্ম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের হাওলাদার, বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ, ন্যাশনাল কোর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশন (এনসিসিডব্লিউই) এর মেম্বার সেক্রেটারি নইমুল আহসান জুয়েল এবং ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি)-এর সিনিয়র নেতা আমিরুল হক আমিন।বক্তারা জোর দেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা শ্রমিকদের স্বার্থ নিশ্চিত না করে কোনো কার্যকর জলবায়ু নীতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ নভেম্বর, ২০২৫,  6:21 PM

news image

ব্রাজিলের বেলেমে আগামী ১১-২১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের ৩০তম বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন (কপ-৩০) কে সামনে রেখে বাংলাদেশের শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নগুলো তাদের দাবি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর জাস্ট ট্রানজিশন বাংলাদেশ-এর ব্যানারে আজ (৯ নভেম্বর, রবিবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ১০ দফা দাবি পেশ করেছে তারা।বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিস (বিলস) এবং বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) এর উদ্যোগে মন্ডিয়াল এফএনভির সহায়তায় আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার ও ন্যায্য রূপান্তর (Just Transition) নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) নেতা শাকিল আখতার চৌধুরী শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মূল ১০ দফা দাবিগুলো তুলে ধরেন।

শ্রমিকদের ১০ দফা দাবির মূল বিষয়বস্তুশ্রমিকদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিগুলোর প্রধান লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের নীতি এবং বাস্তবায়নের কেন্দ্রে শ্রমিকদের সুরক্ষা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো হলো:ক্রমদাবির মূল বিষয়বস্তু১.শ্রমিক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তি: জলবায়ু সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ধাপে (নীতি নির্ধারণ, বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ) শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিশ্চিত করা।২.ন্যায্য অন্তর্ভুক্তিকরণ: জলবায়ু অর্থায়নে শ্রমিকদের কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে ন্যায্য অন্তর্ভুক্তিকরণ।৩.কাজের নিরাপত্তা ও রূপান্তর: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকিতে কাজের নিরাপত্তা এবং ন্যায্য রূপান্তর নিশ্চিত করা।৪.মৌলিক অধিকার: জলবায়ু নীতিমালায় শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করা।৫.ন্যায্য রূপান্তর ধারা: সকল ধরনের জলবায়ু চুক্তিতে ন্যায্য রূপান্তর ধারা অন্তর্ভুক্ত করা।৬.জেন্ডার-সমতা: জেন্ডার-সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রূপান্তর নিশ্চিত করা।৭.পর্যবেক্ষণ কর্তৃপক্ষ: স্বাধীন “পর্যবেক্ষণ কর্তৃপক্ষ” গঠন করা।৮.বৈশ্বিক সংহতি: বৈশ্বিক সংহতি ও ন্যায্য দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা।৯.কপ-৩০ ঘোষণা: কপ-৩০-কে “ন্যায্য রূপান্তর বাস্তবায়ন কপ” হিসেবে ঘোষণা করা।১০.প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন: জলবায়ু সংক্রান্ত পূর্ববর্তী সকল প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান এবং জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)-এর যুগ্ম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের হাওলাদার, বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ, ন্যাশনাল কোর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশন (এনসিসিডব্লিউই) এর মেম্বার সেক্রেটারি নইমুল আহসান জুয়েল এবং ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি)-এর সিনিয়র নেতা আমিরুল হক আমিন।বক্তারা জোর দেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা শ্রমিকদের স্বার্থ নিশ্চিত না করে কোনো কার্যকর জলবায়ু নীতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।