নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ নভেম্বর, ২০২৫, 6:23 PM
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান দেশের সকল সরকারি ভবনকে বাধ্যতামূলকভাবে 'গ্রিন বিল্ডিং' হিসেবে নির্মাণ করার জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের (পিডব্লিউডি) কর্মকর্তাদের প্রতি কঠোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এই বিষয়ে অবিলম্বে সুস্পষ্ট নির্দেশনা জারি এবং এক মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ গ্রিন বিল্ডিং ম্যানুয়াল প্রণয়নের নির্দেশ দেন। আজ রাজধানীর গণপূর্ত ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত 'এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, গ্রিন প্রকিউরমেন্ট এবং গ্রিন বিল্ডিং' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই নির্দেশ দেন।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কোনো মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর গ্রিন বিল্ডিংয়ের বাইরে গেলে চলবে না। বাধ্যতামূলক নীতি থাকলে কম পানি ব্যবহার, পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো এবং আধুনিক পরিবেশবান্ধব নির্মাণশৈলী নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
অবৈধ ইটভাটা ও নির্মাণ শিল্পে সংস্কার
ইটভাটা ও দেশের নির্মাণশিল্প আধুনিকায়নের বিষয়ে উপদেষ্টা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন:
টেকসই সমাধান ব্লক: তিনি বলেন, ধানিজমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ ইটভাটার আগুন ও ধোঁয়া দেশের সবুজায়ন নষ্ট করছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ইটভাটা ভেঙে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও, ইটভাটা ভাঙা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।
বাধ্যবাধকতা আরোপ: সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য ব্লক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা আরোপ করাই একমাত্র পথ। এজন্য তিনি রাজউককে ভবন নির্মাণে নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্লক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার আহ্বান জানান।
সরকারের ভূমিকা: তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, সরকারই ইটের সবচেয়ে বড় ক্রেতা—সুতরাং বিকল্প উপকরণকে প্রচার ও ব্যবহারে সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রকৃতি রক্ষা ও জলাশয় পুনরুদ্ধার
উপদেষ্টা বলেন, দেশের নির্মাণশিল্পকে আধুনিকায়ন করতে হলে সরকারি নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, "লেকগুলো ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য নয়, এগুলো মানুষের জন্য—সুতরাং প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়নের নামে বাণিজ্যিক কার্যক্রম করা চলবে না।"
অন্যান্য উপদেষ্টার মন্তব্য
অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান সরকারি ভবনগুলোর মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতাল, কারাগার, আদালত ও এতিমখানার ভবনের বর্তমান অবস্থা ভালো নয় এবং সেগুলোকে পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক কাঠামোয় সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করতে হবে। তিনি শহরের জলাশয়গুলো পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
সেমিনারে "কনস্ট্রাকশন সাইট এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান, ধানমন্ডি লেক ওয়াটার কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট, পিপিআর-২০২৫, গ্রীন প্রকিউরমেন্ট এবং গ্রীন বিল্ডিং" বিষয়ক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম, প্রধান স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া এবং নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলী।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ নভেম্বর, ২০২৫, 6:23 PM
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান দেশের সকল সরকারি ভবনকে বাধ্যতামূলকভাবে 'গ্রিন বিল্ডিং' হিসেবে নির্মাণ করার জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের (পিডব্লিউডি) কর্মকর্তাদের প্রতি কঠোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এই বিষয়ে অবিলম্বে সুস্পষ্ট নির্দেশনা জারি এবং এক মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ গ্রিন বিল্ডিং ম্যানুয়াল প্রণয়নের নির্দেশ দেন। আজ রাজধানীর গণপূর্ত ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত 'এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, গ্রিন প্রকিউরমেন্ট এবং গ্রিন বিল্ডিং' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই নির্দেশ দেন।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কোনো মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর গ্রিন বিল্ডিংয়ের বাইরে গেলে চলবে না। বাধ্যতামূলক নীতি থাকলে কম পানি ব্যবহার, পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো এবং আধুনিক পরিবেশবান্ধব নির্মাণশৈলী নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
অবৈধ ইটভাটা ও নির্মাণ শিল্পে সংস্কার
ইটভাটা ও দেশের নির্মাণশিল্প আধুনিকায়নের বিষয়ে উপদেষ্টা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন:
টেকসই সমাধান ব্লক: তিনি বলেন, ধানিজমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ ইটভাটার আগুন ও ধোঁয়া দেশের সবুজায়ন নষ্ট করছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ইটভাটা ভেঙে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও, ইটভাটা ভাঙা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।
বাধ্যবাধকতা আরোপ: সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য ব্লক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা আরোপ করাই একমাত্র পথ। এজন্য তিনি রাজউককে ভবন নির্মাণে নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্লক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার আহ্বান জানান।
সরকারের ভূমিকা: তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, সরকারই ইটের সবচেয়ে বড় ক্রেতা—সুতরাং বিকল্প উপকরণকে প্রচার ও ব্যবহারে সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রকৃতি রক্ষা ও জলাশয় পুনরুদ্ধার
উপদেষ্টা বলেন, দেশের নির্মাণশিল্পকে আধুনিকায়ন করতে হলে সরকারি নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, "লেকগুলো ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য নয়, এগুলো মানুষের জন্য—সুতরাং প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়নের নামে বাণিজ্যিক কার্যক্রম করা চলবে না।"
অন্যান্য উপদেষ্টার মন্তব্য
অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান সরকারি ভবনগুলোর মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতাল, কারাগার, আদালত ও এতিমখানার ভবনের বর্তমান অবস্থা ভালো নয় এবং সেগুলোকে পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক কাঠামোয় সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করতে হবে। তিনি শহরের জলাশয়গুলো পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
সেমিনারে "কনস্ট্রাকশন সাইট এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান, ধানমন্ডি লেক ওয়াটার কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট, পিপিআর-২০২৫, গ্রীন প্রকিউরমেন্ট এবং গ্রীন বিল্ডিং" বিষয়ক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম, প্রধান স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া এবং নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলী।