CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২০ নভেম্বর, ২০২৫

শিশু হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি: অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হক

#
news image

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল এন্ড ইনিস্টিটিউডের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হক বলেছেন, শিশু হাসপাতালে কোন ধরনের দালালের দৌরত্ব এখন আর নেই। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর কঠোর হস্তে দালাল প্রতিহত করতে পেরেছে। তিনি বলেন, সরকারি হসপিটালে দালালের উপদ্রব সব যায়গায় কমবেশি থাকেব। এখানেও ছিল, এটা সরকারি হসপিটালে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, আমি এখানে যোগদানের পর থেকেই চেষ্টা করছি এদের উপদ্রব কমানোর জন্য। পাশাপাশি আনসারদের সতর্ক করা হয়েছে, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি, স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলছেন আমরাও দেখছি। এই সমস্যাগুলো সধারণত পর্যাপ্ত সিট না থাকার কারণে হচ্ছে। রোগীরা সিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে এবং দালালদের খপ্পরে পড়ছেন।
পরিটালক বলেন, আমাদের এখান থেকে কোন প্রাইভেট হসপিটালে রোগী সরাসরি যেতে পারেনা বা যায় না। আমাদের স্টাফরা যদি এর সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা  হবে। আমরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা করছি সমস্যার সমাধানের কিন্তু এটা খুব কঠিন কাজ যখনই সিট না পায় তখনই দালালরা এই সুযোগ ব্যবহার করে। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলো এই সরকারি হাসপাতালে রোগীদের টানার জন্য প্রচুর পয়সা খরচ করেন। এতে হাসপাতাল জড়িত থাকতে পারে। আমরা দালালদের দৌরত্ব প্রতিহত করতে আলাদা হেল্পডেক্স স্থাপন করেছি যাতে রোগী রোগী হেল্পডেক্স  ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে কথা বলতে না পারেন। সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল এন্ড ইনিস্টিটিউডে পরিচালকে কার্যালয় একান্ত সক্ষাৎকারে তিনি এসব বিষয়গুলো তুলে ধারেন। 
পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হক বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়েছি গত বছর অক্টোবর মাসে। দায়িত্ব নেয়ার পর অনেকগুলো কাজ করার চেষ্টা করেছি, আমাদের এখানে নতুন নতুন কিছু মেশিনারিজ সংযোজন করেছি, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবের জন্য কিছু মেশিন আনা হয়েছে। যেখানে রেয়ার ডিজেজ চিহ্নিত করণে গবেষণার কাজ চলবে। অলরেডি মেশিনপত্রগুলো কেনা হয়েছে আশা করছি খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি অনেকগুলো উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়েছে এই হাসপাতালে। আমাদের এখানে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন মাত্র একটা, আরেকটার জন্য আমরা চেষ্টা করতেছি। রোটারি ক্লাব আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এছাড়া বেশ কিছু দামি মেশিন আমাদেরকে তারা দিচ্ছেন। আমাদের সার্ভিস, আগে ওই জায়গাটা বন্ধ ছিল এখন চালু হয়েছে। 
এ ব্যপারে আলজেরিয়ার অ্যাম্বাসেডরের সাথে কথা হয়েছে, তিনি  এসেছিলেন এবং শিশুদের উপহার সামগ্রী দিয়েছেন, উনার সাথে আমরা পরামর্শ করেছি। তিনি যাতে আমাদের মেশিনারিজ সাপোর্ট  দেয়। যার মাধ্যমে জটিল সার্জারিগুলো করা যায়। 
এছাড়া প্রতিবছর ডেঙ্গু সেল করা হল হয়, এবারও করা হয়েছে। এভাবেই  আমাদের কার্যক্রম চলছে। আগামী দিনে আমাদের টার্গেট হবে বেট সংখ্যা বৃদ্ধি করা, এ বিষয়ে সরকারও আন্তরিক আছে, আমাদের যে সি ব্লক আছে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তার চেষ্টা করছি, যাতে  এটা চালু করতে পারি।তাহলে বেড সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। 
শিশু চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিশু  চিকিৎসায় বাংলাদেশ ভালো করতেছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ধরনের রোগী যাতে বাহির না যায় সেজন্য সরকারের কাছে চাওয়া, জটিল রোগীরা সাধারণত দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যান কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা। তারা সাধারণত কোন জটিল রোগে আক্রান্ত হয় না। তাছাড়া আমাদের দেশের সেবা ভালো। তবে অনেক জটিল রোগী আছে তারা বাহিরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে যদি ভালো মানের সার্জারি এবং রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয় তাহলে তারা আর দেশের বাইরে যাবেনা। এটা ডাক্তারদের পাশাপাশি সরকারেরও স্বদিচ্ছা  দরকার।
জটিল ডিজিজ সৃষ্টি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে বলে রাখা ভালো এই যে জটিল রোগ গুলোর সৃষ্টি হচ্ছে কিছুটা মায়েদের ভুলের কারণে। আবার আবহাওয়ার কারণে হচ্ছে। কিডনি রোগও একটি জটিল রোগ, এটা সৃষ্টি হয় ওষুধ খেয়ে। শিশুদের ঠান্ডা সর্দি শ্বাসকষ্ট হয় আবার কারণে। আমাদের ঢাকা শহরে বাতাসের দূষণের হার সর্বোচ্চ, এটা শীতকালে বেশি বৃদ্ধি পায় আবার বর্ষার সময় কিছুটা কমে। 

ইউসুফ আলী বাচ্চু

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫,  6:26 PM

news image

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল এন্ড ইনিস্টিটিউডের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হক বলেছেন, শিশু হাসপাতালে কোন ধরনের দালালের দৌরত্ব এখন আর নেই। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর কঠোর হস্তে দালাল প্রতিহত করতে পেরেছে। তিনি বলেন, সরকারি হসপিটালে দালালের উপদ্রব সব যায়গায় কমবেশি থাকেব। এখানেও ছিল, এটা সরকারি হসপিটালে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, আমি এখানে যোগদানের পর থেকেই চেষ্টা করছি এদের উপদ্রব কমানোর জন্য। পাশাপাশি আনসারদের সতর্ক করা হয়েছে, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি, স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলছেন আমরাও দেখছি। এই সমস্যাগুলো সধারণত পর্যাপ্ত সিট না থাকার কারণে হচ্ছে। রোগীরা সিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে এবং দালালদের খপ্পরে পড়ছেন।
পরিটালক বলেন, আমাদের এখান থেকে কোন প্রাইভেট হসপিটালে রোগী সরাসরি যেতে পারেনা বা যায় না। আমাদের স্টাফরা যদি এর সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা  হবে। আমরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা করছি সমস্যার সমাধানের কিন্তু এটা খুব কঠিন কাজ যখনই সিট না পায় তখনই দালালরা এই সুযোগ ব্যবহার করে। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলো এই সরকারি হাসপাতালে রোগীদের টানার জন্য প্রচুর পয়সা খরচ করেন। এতে হাসপাতাল জড়িত থাকতে পারে। আমরা দালালদের দৌরত্ব প্রতিহত করতে আলাদা হেল্পডেক্স স্থাপন করেছি যাতে রোগী রোগী হেল্পডেক্স  ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে কথা বলতে না পারেন। সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল এন্ড ইনিস্টিটিউডে পরিচালকে কার্যালয় একান্ত সক্ষাৎকারে তিনি এসব বিষয়গুলো তুলে ধারেন। 
পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হক বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়েছি গত বছর অক্টোবর মাসে। দায়িত্ব নেয়ার পর অনেকগুলো কাজ করার চেষ্টা করেছি, আমাদের এখানে নতুন নতুন কিছু মেশিনারিজ সংযোজন করেছি, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবের জন্য কিছু মেশিন আনা হয়েছে। যেখানে রেয়ার ডিজেজ চিহ্নিত করণে গবেষণার কাজ চলবে। অলরেডি মেশিনপত্রগুলো কেনা হয়েছে আশা করছি খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি অনেকগুলো উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়েছে এই হাসপাতালে। আমাদের এখানে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন মাত্র একটা, আরেকটার জন্য আমরা চেষ্টা করতেছি। রোটারি ক্লাব আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এছাড়া বেশ কিছু দামি মেশিন আমাদেরকে তারা দিচ্ছেন। আমাদের সার্ভিস, আগে ওই জায়গাটা বন্ধ ছিল এখন চালু হয়েছে। 
এ ব্যপারে আলজেরিয়ার অ্যাম্বাসেডরের সাথে কথা হয়েছে, তিনি  এসেছিলেন এবং শিশুদের উপহার সামগ্রী দিয়েছেন, উনার সাথে আমরা পরামর্শ করেছি। তিনি যাতে আমাদের মেশিনারিজ সাপোর্ট  দেয়। যার মাধ্যমে জটিল সার্জারিগুলো করা যায়। 
এছাড়া প্রতিবছর ডেঙ্গু সেল করা হল হয়, এবারও করা হয়েছে। এভাবেই  আমাদের কার্যক্রম চলছে। আগামী দিনে আমাদের টার্গেট হবে বেট সংখ্যা বৃদ্ধি করা, এ বিষয়ে সরকারও আন্তরিক আছে, আমাদের যে সি ব্লক আছে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তার চেষ্টা করছি, যাতে  এটা চালু করতে পারি।তাহলে বেড সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। 
শিশু চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিশু  চিকিৎসায় বাংলাদেশ ভালো করতেছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ধরনের রোগী যাতে বাহির না যায় সেজন্য সরকারের কাছে চাওয়া, জটিল রোগীরা সাধারণত দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যান কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা। তারা সাধারণত কোন জটিল রোগে আক্রান্ত হয় না। তাছাড়া আমাদের দেশের সেবা ভালো। তবে অনেক জটিল রোগী আছে তারা বাহিরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে যদি ভালো মানের সার্জারি এবং রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয় তাহলে তারা আর দেশের বাইরে যাবেনা। এটা ডাক্তারদের পাশাপাশি সরকারেরও স্বদিচ্ছা  দরকার।
জটিল ডিজিজ সৃষ্টি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে বলে রাখা ভালো এই যে জটিল রোগ গুলোর সৃষ্টি হচ্ছে কিছুটা মায়েদের ভুলের কারণে। আবার আবহাওয়ার কারণে হচ্ছে। কিডনি রোগও একটি জটিল রোগ, এটা সৃষ্টি হয় ওষুধ খেয়ে। শিশুদের ঠান্ডা সর্দি শ্বাসকষ্ট হয় আবার কারণে। আমাদের ঢাকা শহরে বাতাসের দূষণের হার সর্বোচ্চ, এটা শীতকালে বেশি বৃদ্ধি পায় আবার বর্ষার সময় কিছুটা কমে।