CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২০ নভেম্বর, ২০২৫

মনোহরদীর ইউএনওকে কথিত সাংবাদিক শাকিলের প্রকাশ্যে বদলীর হুমকী

#
news image

২০ আগস্ট নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার ইউএনওর বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় কাজী শরীফুল ইসলাম নামক এক কথিত সাংবাদিক। তার অন্যায় আবদার না রাখায় আগের ইউএনওর বিরুদ্ধেও এই জনৈক শাকিল লিখিতভাবে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছিলো। 
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই শাকিল মনোহরদীতে এক ঘৃনিত নাম। মনোহরদীর স্থানীয় অন্যান্য সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানা যায় এই কাজী শরীফুল শাকিল মূলত পতিত সরকারের সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরূল মজিদ হুমায়ুন ও তার ছেলে সাদীর প্রত্যক্ষ ছত্রছায়ায় নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলো। সরকার পতনের পর শাকিল ভোল পাল্টে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে সখ্যতা তৈরি করার চেষ্টা করে। আশানুরুপ সাড়া না পেয়ে শাকিল নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে সর্বমহলে খবরদারী করা শুরু করে। মনোহরদীর ইউএনও, ওসি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সরকারী কর্মকর্তাদের উপর অন্যায় আবদার ও চাঁদা দাবি করে আসছে। নিজের ফেসবুকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নজনকে  আক্রমন করে স্ট্যাটাস দিয়ে অর্থ আদায় করে। তার সাথে কারো মতের মিল হলে ফেসবুকে এলাকার শ্রেষ্ঠ মানুষ বলে স্টেটাস দেয়, আবার কিছুদিন পর তার চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারলে ফেসবুকেই বিভিন্ন কুৎসা রটনা করা হলো শাকিল এর প্রধান অপকৌশল।
সম্প্রতি মনোহরদীতে  দালাল-প্রতারক ও আওয়ামী লীগের দোসর কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিলকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও অসন্তোষ রূপ নেয় গণপ্রতিরোধে, যেখানে ছাত্র ও সাধারণ জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগে প্রতিহত করা হয় এই ইয়াবা ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও ছদ্মবেশী সাংবাদিক পরিচয়ধারী এই শরিফুল ইসলাম শাকিলকে। গত ১১ জুন দুপুরে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
এঘটনার পর এলাকাছাড়া শাকিল ঢাকায় থেকে বিভন্ন সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার হুমকী দিয়ে নিজের সুবিধা আদায় করছে। অপর সূত্রে জানা যায় মনোহরদী কারীগরী কলেজের কমিটিতে থাকতে চেয়েছিলেন এই শাকিল। ব্যর্থ হয়ে ক্ষুব্দ শাকিল কলেজের অধ্যক্ষ ও সভাপতি ইউএনওর উপর চড়াও হয়। সেই থেকে ইউএনও ও অধক্ষকে দেখে নেবে বলে চ্যলেঞ্জ ছুড়ে দেয় শাকিল। এমনিভাবে সকল ক্ষেত্রে শাকিল আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাকেঁ মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের হুমকী ও ফেসবুকে নামে বেনামে আইডি খুলে অপপ্রচার চালিয়ে সামাজিকভাবে অপদস্ত করে থাকে।
এই শাকিল মাধবদীতে জুলাই অন্দোলনের সময়ে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কিন্তু সে মামলার পরও তার চাঁদাবাজি অব্যাহত রাখে। ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে এর আগে শাকিল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। পরে সাবেক শিল্পমন্ত্রী হস্তক্ষেপে ছাড়িয়ে নেয়া হয়। দান করার কথা বলেও টাকা হাতিয়ে নিতো প্রবাসী লোকজনের কাছ থেকে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল আওয়ামী লীগের শাসনামলে নিজেকে আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিত। আওয়ামী লীগের বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন কে সে চাচা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অফিস আদালত চষে বেড়াতো। এসব অফিসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার পাশাপাশি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো। বিভিন্ন সময়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রীর ভাতিজা হিসেবে এই মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতর থেকে বিভিন্ন লোকজনকে শিল্প কারখানাসহ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন করিয়ে দেয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিতো লাখ লাখ টাকা। এছাড়াও সাবেক শিল্পমন্ত্রীর ছেলে সাদীর ডান হাত নামেও পরিচয় ছিলো এই শাকিলের। বিতর্কিত সাদীকে যেখানে মনোহরদী-বেলাবর মানুষ প্রতিহত করার চেষ্টা করতো কিন্তু সেই সময় এই শাকিলই সাদীকে মানবতার ভাইজান হিসেবে প্রচার প্রচারনা চালাতো।
স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি এবং প্রতারণা করে আসছিল। সাধারণ মানুষ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের প্রথমে মোটা অংকের টাকা দাবি করে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ আগস্ট, ২০২৫,  4:24 PM

news image

২০ আগস্ট নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার ইউএনওর বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় কাজী শরীফুল ইসলাম নামক এক কথিত সাংবাদিক। তার অন্যায় আবদার না রাখায় আগের ইউএনওর বিরুদ্ধেও এই জনৈক শাকিল লিখিতভাবে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছিলো। 
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই শাকিল মনোহরদীতে এক ঘৃনিত নাম। মনোহরদীর স্থানীয় অন্যান্য সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানা যায় এই কাজী শরীফুল শাকিল মূলত পতিত সরকারের সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরূল মজিদ হুমায়ুন ও তার ছেলে সাদীর প্রত্যক্ষ ছত্রছায়ায় নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলো। সরকার পতনের পর শাকিল ভোল পাল্টে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে সখ্যতা তৈরি করার চেষ্টা করে। আশানুরুপ সাড়া না পেয়ে শাকিল নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে সর্বমহলে খবরদারী করা শুরু করে। মনোহরদীর ইউএনও, ওসি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সরকারী কর্মকর্তাদের উপর অন্যায় আবদার ও চাঁদা দাবি করে আসছে। নিজের ফেসবুকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নজনকে  আক্রমন করে স্ট্যাটাস দিয়ে অর্থ আদায় করে। তার সাথে কারো মতের মিল হলে ফেসবুকে এলাকার শ্রেষ্ঠ মানুষ বলে স্টেটাস দেয়, আবার কিছুদিন পর তার চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারলে ফেসবুকেই বিভিন্ন কুৎসা রটনা করা হলো শাকিল এর প্রধান অপকৌশল।
সম্প্রতি মনোহরদীতে  দালাল-প্রতারক ও আওয়ামী লীগের দোসর কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিলকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও অসন্তোষ রূপ নেয় গণপ্রতিরোধে, যেখানে ছাত্র ও সাধারণ জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগে প্রতিহত করা হয় এই ইয়াবা ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও ছদ্মবেশী সাংবাদিক পরিচয়ধারী এই শরিফুল ইসলাম শাকিলকে। গত ১১ জুন দুপুরে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
এঘটনার পর এলাকাছাড়া শাকিল ঢাকায় থেকে বিভন্ন সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার হুমকী দিয়ে নিজের সুবিধা আদায় করছে। অপর সূত্রে জানা যায় মনোহরদী কারীগরী কলেজের কমিটিতে থাকতে চেয়েছিলেন এই শাকিল। ব্যর্থ হয়ে ক্ষুব্দ শাকিল কলেজের অধ্যক্ষ ও সভাপতি ইউএনওর উপর চড়াও হয়। সেই থেকে ইউএনও ও অধক্ষকে দেখে নেবে বলে চ্যলেঞ্জ ছুড়ে দেয় শাকিল। এমনিভাবে সকল ক্ষেত্রে শাকিল আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাকেঁ মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের হুমকী ও ফেসবুকে নামে বেনামে আইডি খুলে অপপ্রচার চালিয়ে সামাজিকভাবে অপদস্ত করে থাকে।
এই শাকিল মাধবদীতে জুলাই অন্দোলনের সময়ে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কিন্তু সে মামলার পরও তার চাঁদাবাজি অব্যাহত রাখে। ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে এর আগে শাকিল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। পরে সাবেক শিল্পমন্ত্রী হস্তক্ষেপে ছাড়িয়ে নেয়া হয়। দান করার কথা বলেও টাকা হাতিয়ে নিতো প্রবাসী লোকজনের কাছ থেকে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল আওয়ামী লীগের শাসনামলে নিজেকে আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিত। আওয়ামী লীগের বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন কে সে চাচা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অফিস আদালত চষে বেড়াতো। এসব অফিসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার পাশাপাশি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো। বিভিন্ন সময়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রীর ভাতিজা হিসেবে এই মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতর থেকে বিভিন্ন লোকজনকে শিল্প কারখানাসহ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন করিয়ে দেয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিতো লাখ লাখ টাকা। এছাড়াও সাবেক শিল্পমন্ত্রীর ছেলে সাদীর ডান হাত নামেও পরিচয় ছিলো এই শাকিলের। বিতর্কিত সাদীকে যেখানে মনোহরদী-বেলাবর মানুষ প্রতিহত করার চেষ্টা করতো কিন্তু সেই সময় এই শাকিলই সাদীকে মানবতার ভাইজান হিসেবে প্রচার প্রচারনা চালাতো।
স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি এবং প্রতারণা করে আসছিল। সাধারণ মানুষ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের প্রথমে মোটা অংকের টাকা দাবি করে।