ধর্ম ডেস্ক
১৮ নভেম্বর, ২০২৫, 4:58 PM
পবিত্র বায়তুল্লাহ জিয়ারত ও ওমরাহ পালন অসামান্য পুণ্যের কাজ। ওমরাহ পালনকারীদের ‘আল্লাহর মেহমান’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বায়তুল্লাহ তওয়াফকারীদের দোয়া কবুল করে থাকেন।
হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর পথে যুদ্ধে বিজয়ী ও হজ-ওমরাহ পালনকারী আল্লাহর মেহমান। আল্লাহ তাদের আহ্বান করেছেন, তারা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আর তারা তাঁর কাছে যা চেয়েছেন এবং তিনি তাদের তা দিয়েছেন’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হজ-ওমরাহ পালনকারীরা আল্লাহর মেহমান বা প্রতিনিধি। তারা আল্লাহকে ডাকলে তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন। তারা তাঁর কাছে মাগফিরাত কামনা করলে তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯২)।
অপর এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হজ-ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে রওনাকারীরা আল্লাহর আহ্বানকৃত অভিযাত্রী। তাদের দোয়া তিনি কবুল করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা মঞ্জুর করেন।’ (মেশকাত, হাদিস : ২৪২১)
হজ-ওমরাহ পালনকারীরা বায়তুল্লাহর মুসাফির। আল্লাহ তায়ালা মুসাফিরের দোয়া কবুল করে থাকেন। মক্কা-মদিনায় দোয়া কবুলের বিশেষ বিশেষ কতগুলো জায়গা রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ওই সব স্থানে দোয়া করলে কবুল করে নেন।
কাবা শরিফের তওয়াফের জায়গা, কাবা শরিফের দরজায়, মুলতাজাম অংশে, হাজরে আসওয়াদ পাথরে চুমু দেওয়া অবস্থায়, রুকনে ইয়ামিনে স্থানে স্পর্শ করা সময়ে, কাবা শরিফের গিলাফ স্পর্শ করা অবস্থায়, সাফা-মারওয়া সাঈ করার সময়, সাফা পাহাড়ে, জমজমের পানি পানের সময়, হাতিমে কাবায় দুই রাকাত নামাজ পড়া অবস্থায়, মাকামে ইব্রাহিমে, মিনা-আরাফা-মুজদালিফায় অবস্থানের সময়, হেরেম শরিফে প্রবেশের পর, জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপের সময়, মসজিদে নববীতে, মসজিদে গামামা ইত্যাদি।
এ ছাড়া ইহরাম পরিধান অবস্থায় দোয়া করলে দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করেছে এবং তাতে কোনোরূপ অশ্লীল কথা ও কাজ বলেনি এবং করেনি। সে ব্যক্তি হজ হতে প্রত্যাবর্তন করবে বেগুনাহ অবস্থায়। সে দিনের ন্যায় যে দিন তার মাতা তাকে জন্মদান করেছিল।’ (মেশকাত, হাদিস : ২৩৯৩)
কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই পুরো মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম যে ঘরটি বানিয়ে রাখা হয়েছিল তা ছিল বাক্কায় (তথা বর্তমান মক্কায়), এ ঘরকে কল্যাণ ও মঙ্গলময় এবং পথ প্রদর্শক বানানো হয়েছিল। এখানে রয়েছে সুস্পষ্ট নিদর্শনগুলো, রয়েছে ইব্রাহিমের দাঁড়ানোর স্থান, যে এখানে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ। দ্বিতীয় মর্যাদা হচ্ছে মানবজাতির ওপর আল্লাহর জন্য এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যে, এ ঘরে পৌঁছা পর্যন্ত যার সামর্থ্য থাকবে, সে যেন এ ঘরে হজ আদায় করে’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৬-৯৭)।
কাবা শরিফ তওয়াফকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করাও সওয়াবের কাজ। হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো হাজির সঙ্গে তোমার সাক্ষাৎ হলে তাকে সালাম করবে, করমর্দন করবে এবং তাকে তোমার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ জানাবে তার গৃহে প্রবেশের আগে। কেননা হাজি হলেন গুনাহ ক্ষমাকৃত পবিত্র ব্যক্তি’ (মেশকাত, হাদিস : ২৪২৩)। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে তাঁর মেহমান হওয়ার তওফিক দান করুন।
ধর্ম ডেস্ক
১৮ নভেম্বর, ২০২৫, 4:58 PM
পবিত্র বায়তুল্লাহ জিয়ারত ও ওমরাহ পালন অসামান্য পুণ্যের কাজ। ওমরাহ পালনকারীদের ‘আল্লাহর মেহমান’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বায়তুল্লাহ তওয়াফকারীদের দোয়া কবুল করে থাকেন।
হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর পথে যুদ্ধে বিজয়ী ও হজ-ওমরাহ পালনকারী আল্লাহর মেহমান। আল্লাহ তাদের আহ্বান করেছেন, তারা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আর তারা তাঁর কাছে যা চেয়েছেন এবং তিনি তাদের তা দিয়েছেন’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হজ-ওমরাহ পালনকারীরা আল্লাহর মেহমান বা প্রতিনিধি। তারা আল্লাহকে ডাকলে তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন। তারা তাঁর কাছে মাগফিরাত কামনা করলে তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯২)।
অপর এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হজ-ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে রওনাকারীরা আল্লাহর আহ্বানকৃত অভিযাত্রী। তাদের দোয়া তিনি কবুল করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা মঞ্জুর করেন।’ (মেশকাত, হাদিস : ২৪২১)
হজ-ওমরাহ পালনকারীরা বায়তুল্লাহর মুসাফির। আল্লাহ তায়ালা মুসাফিরের দোয়া কবুল করে থাকেন। মক্কা-মদিনায় দোয়া কবুলের বিশেষ বিশেষ কতগুলো জায়গা রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ওই সব স্থানে দোয়া করলে কবুল করে নেন।
কাবা শরিফের তওয়াফের জায়গা, কাবা শরিফের দরজায়, মুলতাজাম অংশে, হাজরে আসওয়াদ পাথরে চুমু দেওয়া অবস্থায়, রুকনে ইয়ামিনে স্থানে স্পর্শ করা সময়ে, কাবা শরিফের গিলাফ স্পর্শ করা অবস্থায়, সাফা-মারওয়া সাঈ করার সময়, সাফা পাহাড়ে, জমজমের পানি পানের সময়, হাতিমে কাবায় দুই রাকাত নামাজ পড়া অবস্থায়, মাকামে ইব্রাহিমে, মিনা-আরাফা-মুজদালিফায় অবস্থানের সময়, হেরেম শরিফে প্রবেশের পর, জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপের সময়, মসজিদে নববীতে, মসজিদে গামামা ইত্যাদি।
এ ছাড়া ইহরাম পরিধান অবস্থায় দোয়া করলে দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করেছে এবং তাতে কোনোরূপ অশ্লীল কথা ও কাজ বলেনি এবং করেনি। সে ব্যক্তি হজ হতে প্রত্যাবর্তন করবে বেগুনাহ অবস্থায়। সে দিনের ন্যায় যে দিন তার মাতা তাকে জন্মদান করেছিল।’ (মেশকাত, হাদিস : ২৩৯৩)
কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই পুরো মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম যে ঘরটি বানিয়ে রাখা হয়েছিল তা ছিল বাক্কায় (তথা বর্তমান মক্কায়), এ ঘরকে কল্যাণ ও মঙ্গলময় এবং পথ প্রদর্শক বানানো হয়েছিল। এখানে রয়েছে সুস্পষ্ট নিদর্শনগুলো, রয়েছে ইব্রাহিমের দাঁড়ানোর স্থান, যে এখানে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ। দ্বিতীয় মর্যাদা হচ্ছে মানবজাতির ওপর আল্লাহর জন্য এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যে, এ ঘরে পৌঁছা পর্যন্ত যার সামর্থ্য থাকবে, সে যেন এ ঘরে হজ আদায় করে’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৬-৯৭)।
কাবা শরিফ তওয়াফকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করাও সওয়াবের কাজ। হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো হাজির সঙ্গে তোমার সাক্ষাৎ হলে তাকে সালাম করবে, করমর্দন করবে এবং তাকে তোমার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ জানাবে তার গৃহে প্রবেশের আগে। কেননা হাজি হলেন গুনাহ ক্ষমাকৃত পবিত্র ব্যক্তি’ (মেশকাত, হাদিস : ২৪২৩)। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে তাঁর মেহমান হওয়ার তওফিক দান করুন।