CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২০ নভেম্বর, ২০২৫

শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের প্রতিক্রিয়া

#
news image

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর এক আবেগঘন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের পরিবার। তাঁরা এই রায়ে খুশি হলেও, রায় দ্রুত কার্যকর করা এবং হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত পুলিশ সদস্যদেরও বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

শহীদ সাঈদের পিতার দাবি: "আমি বিচার দেখতে চাই"
শহীদ আবু সাঈদের পিতা মো. মকবুল হোসেন বলেন, "আমি রায়ে খুশি কিন্তু বিচার দেখতে চাই। আমার ছেলে শহীদ হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ আমার ছেলেকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করেছে। আমি হুকুমদাতাসহ পুলিশের বিচার চাই। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।"

তিনি আরও বলেন, হত্যা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলেই তাঁর ছেলের মতো হাজার হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে বাংলার মাটিতে নিয়ে এসে রায় কার্যকর করা হোক।

মা ও ভাইয়ের আকুতি
আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম এই রায়ের পর তাঁর সন্তান হারানোর কষ্টের কথা তুলে ধরে বলেন, "আমরা সবার বিচার চাই। যারা হুকুম দিয়েছে, যারা গুলি করেছে—সবাইকে ফাঁসি দিতে হবে। আমি মা, আজ বুঝতে পেরেছি ছেলে হারানোর কষ্ট।" তিনি আন্দোলনে নিহত অন্যান্য শহীদদের পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্তদেরও বিচার দাবি করেন।

আবু সাঈদের বড়ভাই আবু হোসেন রায় কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, "শুধু রায় ঘোষণা করলে হবে না, বিচার কার্যকর করতে হবে।"

মামলার বাদী ও গ্রামবাসীর প্রতিক্রিয়া
আবু সাঈদ হত্যা মামলার বাদী ও তাঁর বড়ভাই রমজান আলী বলেন, "আবু সাঈদকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো বিশ্ব দেখেছে। এটা তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।"

আবু সাঈদের গ্রামবাসীও এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, "আমরা রায়ে খুশি, কিন্তু তা যদি কার্যকর না হয় তাহলে সবকিছুই বৃথা যাবে।" তাঁরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

মোস্তাফিজার বাবলু, রংপুর অফিস:

১৭ নভেম্বর, ২০২৫,  6:05 PM

news image

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর এক আবেগঘন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের পরিবার। তাঁরা এই রায়ে খুশি হলেও, রায় দ্রুত কার্যকর করা এবং হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত পুলিশ সদস্যদেরও বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

শহীদ সাঈদের পিতার দাবি: "আমি বিচার দেখতে চাই"
শহীদ আবু সাঈদের পিতা মো. মকবুল হোসেন বলেন, "আমি রায়ে খুশি কিন্তু বিচার দেখতে চাই। আমার ছেলে শহীদ হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ আমার ছেলেকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করেছে। আমি হুকুমদাতাসহ পুলিশের বিচার চাই। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।"

তিনি আরও বলেন, হত্যা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলেই তাঁর ছেলের মতো হাজার হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে বাংলার মাটিতে নিয়ে এসে রায় কার্যকর করা হোক।

মা ও ভাইয়ের আকুতি
আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম এই রায়ের পর তাঁর সন্তান হারানোর কষ্টের কথা তুলে ধরে বলেন, "আমরা সবার বিচার চাই। যারা হুকুম দিয়েছে, যারা গুলি করেছে—সবাইকে ফাঁসি দিতে হবে। আমি মা, আজ বুঝতে পেরেছি ছেলে হারানোর কষ্ট।" তিনি আন্দোলনে নিহত অন্যান্য শহীদদের পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্তদেরও বিচার দাবি করেন।

আবু সাঈদের বড়ভাই আবু হোসেন রায় কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, "শুধু রায় ঘোষণা করলে হবে না, বিচার কার্যকর করতে হবে।"

মামলার বাদী ও গ্রামবাসীর প্রতিক্রিয়া
আবু সাঈদ হত্যা মামলার বাদী ও তাঁর বড়ভাই রমজান আলী বলেন, "আবু সাঈদকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো বিশ্ব দেখেছে। এটা তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।"

আবু সাঈদের গ্রামবাসীও এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, "আমরা রায়ে খুশি, কিন্তু তা যদি কার্যকর না হয় তাহলে সবকিছুই বৃথা যাবে।" তাঁরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।