রাবি প্রতিনিধি
১৫ নভেম্বর, ২০২৫, 8:29 PM
বিভিন্ন আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে তাঁর স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটসহ আরোও অনেক সংগঠন।
প্রয়াত এই কথাসাহিত্যিক তার দীর্ঘ কর্মজীবনে ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত রাবির দর্শন বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। তাকে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক এবং দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর হাসান আজিজুল হকের চারিত্রিক গুণাবলি ও বিভিন্ন অর্জন নিয়ে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, নাটক পরিবেশন ও লোক সংগীত পরিবেশন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক জোটের সদস্যরা এ আয়োজনে অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন হাসান আজিজুল হকের সুপুত্র ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক ইমতিয়াজ হাসান। বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাবা ছিলেন উদাসীন ও ভাবুক প্রকৃতির। বাবা মানুষের সাথে কথা বলতে ও মানুষকে বিশ্লেষণ করতে পছন্দ করতেন। এটা একটা আশ্চর্য রকমের বিষয় যে একজন মানুষ ব্যক্তিমানুষকে বিচার না করে মানুষকে নিয়ে ভাবতে ভালোবাসেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিম আহমেদ বলেন," বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক জোটগুলো গঠনের পিছনে অন্যতম ভূমিকা রাখেন হাসান স্যার। স্যারের স্মরণে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছি। "
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও তার নিজ বিভাগ দর্শন বিভাগ থেকে কোনো প্রকার আয়োজন করা হয়নি।
এ বিষয়ে দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের আজকে কোনো আয়োজন নেই। কালকে অফিস টাইমে এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব।'
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো আয়োজন না থাকার বিষয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাইন উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। কয়েকটি সংগঠন আয়োজন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো আয়োজন করা হয়নি।
রাবি প্রতিনিধি
১৫ নভেম্বর, ২০২৫, 8:29 PM
বিভিন্ন আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে তাঁর স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটসহ আরোও অনেক সংগঠন।
প্রয়াত এই কথাসাহিত্যিক তার দীর্ঘ কর্মজীবনে ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত রাবির দর্শন বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। তাকে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক এবং দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর হাসান আজিজুল হকের চারিত্রিক গুণাবলি ও বিভিন্ন অর্জন নিয়ে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, নাটক পরিবেশন ও লোক সংগীত পরিবেশন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক জোটের সদস্যরা এ আয়োজনে অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন হাসান আজিজুল হকের সুপুত্র ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক ইমতিয়াজ হাসান। বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাবা ছিলেন উদাসীন ও ভাবুক প্রকৃতির। বাবা মানুষের সাথে কথা বলতে ও মানুষকে বিশ্লেষণ করতে পছন্দ করতেন। এটা একটা আশ্চর্য রকমের বিষয় যে একজন মানুষ ব্যক্তিমানুষকে বিচার না করে মানুষকে নিয়ে ভাবতে ভালোবাসেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিম আহমেদ বলেন," বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক জোটগুলো গঠনের পিছনে অন্যতম ভূমিকা রাখেন হাসান স্যার। স্যারের স্মরণে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছি। "
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও তার নিজ বিভাগ দর্শন বিভাগ থেকে কোনো প্রকার আয়োজন করা হয়নি।
এ বিষয়ে দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের আজকে কোনো আয়োজন নেই। কালকে অফিস টাইমে এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব।'
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো আয়োজন না থাকার বিষয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাইন উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। কয়েকটি সংগঠন আয়োজন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো আয়োজন করা হয়নি।