CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২১ নভেম্বর, ২০২৫

আল-হেরা মডার্ণ একাডেমি পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব মাকসুদুর রহমান

#
news image

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে অবস্থিত নন্দিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-হেরা মডার্ণ একাডেমি শুক্রবার বিকেলে পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব (অব.) ও সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ মাকসুদুর রহমান। এসময় তিনি স্কুলটির প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাবেক চারবারের সংসদ সদস্য মরহুম অধ্যাপক মো. ইউনূস, মরহুম ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মরহুম মো. শাহ আলম ও সাবেক কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান মরহুম মোখলেছুর রহমান লিল মিয়া সর্দারসহ এলাকার শিক্ষানুরাগী মুরব্বীদের সাথে তার বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন।

স্কুলটির অফিসে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মো. সাঈদের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মুহাম্মাদ মাকসুদুর রহমান বলেন, প্রাথমিক বৃত্তি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও ইউনেস্কোর রচনা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন অঙ্গনে আল-হেরা মডার্ণ একাডেমির সাফল্য দেখে ২০০৩ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. ইউনূস স্যারের পরামর্শে স্কুলটির জন্য ১০ শতাংশ জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিলাম। তিনি স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের রূপকার ও দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ তখন বলেছিলেন, তিনি নোবেল পুরস্কার পেলে সেই টাকা দিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করবেন। তার স্বপ্নটি ছিল অনেক বড়। আলহামদুলিল্লাহ এখান থেকে বেশ কয়েকজন বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন, সেনাবাহিনীর মেজর, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারসহ মাস্টারর্স করেছেন অন্ততঃ ত্রিশজন। এটি একটি বড় অর্জন। আমরা এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর সাফল্যের জন্য দোয়া করি। সাবেক এমপি অধ্যাপক মো. ইউনূসসহ শিক্ষানুরাগী সকল মুরব্বীর জন্য দোয়া করি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রোগ্রামার মো. তোফায়েল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বুড়িচং উপজেলার সাবেক আমীর অধ্যাপক আবদুল আউয়াল, স্কুলের পরিচালক মো. ইউসুফ আহম, সাবেক পরিচালক গাজী মো. এনামুল হক, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আবদুল মজিদ, অভিভাবক প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা, স্থানীয় আহলেহাদীস মসজিদের ইমাম আবু সুফিয়ান প্রমুখ। তখন মাকসুদুর রহমানের হাতে স্কুলের দুই যুগ পূর্তি উৎসবের স্মরণিকা তুলে দেন স্কুলটির পরিচালক ইউসুফ আহম। আলোচনার এসময়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মাওলানা মো. ছফিউল্লাহ, সহ সভাপতি মো. আজহারুল ইসলাম, সাবেক অধ্যক্ষ মিয়া আনোয়ার মোর্শেদ, সাবেক শিক্ষক উইং কমান্ডার (বিমান বাহিনী) গাজী মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের কথা ওঠে আসে।

এর আগে তিনি সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও স্কুলটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলমের কবর জিয়ারত করেন। আজ শনিবার সকালে তিনি এলাকার বনেদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফজলুর রহমান কলেজ অব টেকনোলজির সাবেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। সেই অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও থাকবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব ড. সানোয়ার জাহান ভুঁইয়া, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বুড়িচংয়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া বিসিএস অষ্টম ব্যাচের চৌকস কর্মকর্তা মুহাম্মাদ মাকসুদুর রহমান ২০০২-২০০৪ সালে বুড়িচংয়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছিলেন। তারপর তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা জেলা প্রশাসন, কাতার এম্বাসী, সউদি আরবে হজ কাউন্সিলর ও সর্বশেষ অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার থাকাকালে তিনি উদ্যোগ নিয়ে বুড়িচংয়ে একটি সুরম্য জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ নভেম্বর, ২০২৫,  5:34 PM

news image

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে অবস্থিত নন্দিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-হেরা মডার্ণ একাডেমি শুক্রবার বিকেলে পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব (অব.) ও সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ মাকসুদুর রহমান। এসময় তিনি স্কুলটির প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাবেক চারবারের সংসদ সদস্য মরহুম অধ্যাপক মো. ইউনূস, মরহুম ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মরহুম মো. শাহ আলম ও সাবেক কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান মরহুম মোখলেছুর রহমান লিল মিয়া সর্দারসহ এলাকার শিক্ষানুরাগী মুরব্বীদের সাথে তার বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন।

স্কুলটির অফিসে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মো. সাঈদের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মুহাম্মাদ মাকসুদুর রহমান বলেন, প্রাথমিক বৃত্তি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও ইউনেস্কোর রচনা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন অঙ্গনে আল-হেরা মডার্ণ একাডেমির সাফল্য দেখে ২০০৩ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. ইউনূস স্যারের পরামর্শে স্কুলটির জন্য ১০ শতাংশ জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিলাম। তিনি স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের রূপকার ও দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ তখন বলেছিলেন, তিনি নোবেল পুরস্কার পেলে সেই টাকা দিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করবেন। তার স্বপ্নটি ছিল অনেক বড়। আলহামদুলিল্লাহ এখান থেকে বেশ কয়েকজন বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন, সেনাবাহিনীর মেজর, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারসহ মাস্টারর্স করেছেন অন্ততঃ ত্রিশজন। এটি একটি বড় অর্জন। আমরা এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর সাফল্যের জন্য দোয়া করি। সাবেক এমপি অধ্যাপক মো. ইউনূসসহ শিক্ষানুরাগী সকল মুরব্বীর জন্য দোয়া করি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রোগ্রামার মো. তোফায়েল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বুড়িচং উপজেলার সাবেক আমীর অধ্যাপক আবদুল আউয়াল, স্কুলের পরিচালক মো. ইউসুফ আহম, সাবেক পরিচালক গাজী মো. এনামুল হক, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আবদুল মজিদ, অভিভাবক প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা, স্থানীয় আহলেহাদীস মসজিদের ইমাম আবু সুফিয়ান প্রমুখ। তখন মাকসুদুর রহমানের হাতে স্কুলের দুই যুগ পূর্তি উৎসবের স্মরণিকা তুলে দেন স্কুলটির পরিচালক ইউসুফ আহম। আলোচনার এসময়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মাওলানা মো. ছফিউল্লাহ, সহ সভাপতি মো. আজহারুল ইসলাম, সাবেক অধ্যক্ষ মিয়া আনোয়ার মোর্শেদ, সাবেক শিক্ষক উইং কমান্ডার (বিমান বাহিনী) গাজী মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের কথা ওঠে আসে।

এর আগে তিনি সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও স্কুলটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলমের কবর জিয়ারত করেন। আজ শনিবার সকালে তিনি এলাকার বনেদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফজলুর রহমান কলেজ অব টেকনোলজির সাবেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। সেই অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও থাকবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব ড. সানোয়ার জাহান ভুঁইয়া, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বুড়িচংয়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া বিসিএস অষ্টম ব্যাচের চৌকস কর্মকর্তা মুহাম্মাদ মাকসুদুর রহমান ২০০২-২০০৪ সালে বুড়িচংয়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছিলেন। তারপর তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা জেলা প্রশাসন, কাতার এম্বাসী, সউদি আরবে হজ কাউন্সিলর ও সর্বশেষ অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার থাকাকালে তিনি উদ্যোগ নিয়ে বুড়িচংয়ে একটি সুরম্য জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন।