নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ নভেম্বর, ২০২৫, 4:59 PM
রাজধানীর কলাবাগানের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে নারী চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকাকে হত্যার দায়ে তার স্বামী রেজাউল করিম রেজাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এ রায় দেন। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকার সঙ্গে পরিচয় হয় রেজার। এরপর প্রেমের সম্পর্ক। ২০২০ সালে অক্টোবরে বিয়ে করেন তারা। পরিবারের অগোচরে বিয়ে হওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করতেন।
২০২২ সালের ১২ অগাস্ট ঘটা করে জন্মদিন পালনের কথা বলে ১০ অগাস্ট জান্নাতুল নাঈমকে পান্থপথের একটি আবাসিক হোটেলে নেয় রেজা। সেখানে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে ছুরিকাঘাত ও গলাকেটে জান্নাতুল নাঈমের মৃত্যু নিশ্চিত করে রেজা। এরপর গোসল করে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে চট্টগ্রামে যায়।
এ ঘটনায় ১১ অগাস্ট জান্নাতুলের বাবা শফিকুল আলম বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ মাহফুজুল কবির রেজাকে অভিযুক্ত করে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২৪ সালের ৭ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। গত ৯ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ১৩ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়। আজ আদালত থেকে আসামির ফাঁসির রায় এলো।
উল্লেখ্য, জান্নাতুল এমবিবিএস পাস করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্ত্রী ও গাইনি বিষয়ে একটি কোর্সে অধ্যয়নরত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ নভেম্বর, ২০২৫, 4:59 PM
রাজধানীর কলাবাগানের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে নারী চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকাকে হত্যার দায়ে তার স্বামী রেজাউল করিম রেজাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এ রায় দেন। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকার সঙ্গে পরিচয় হয় রেজার। এরপর প্রেমের সম্পর্ক। ২০২০ সালে অক্টোবরে বিয়ে করেন তারা। পরিবারের অগোচরে বিয়ে হওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করতেন।
২০২২ সালের ১২ অগাস্ট ঘটা করে জন্মদিন পালনের কথা বলে ১০ অগাস্ট জান্নাতুল নাঈমকে পান্থপথের একটি আবাসিক হোটেলে নেয় রেজা। সেখানে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে ছুরিকাঘাত ও গলাকেটে জান্নাতুল নাঈমের মৃত্যু নিশ্চিত করে রেজা। এরপর গোসল করে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে চট্টগ্রামে যায়।
এ ঘটনায় ১১ অগাস্ট জান্নাতুলের বাবা শফিকুল আলম বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ মাহফুজুল কবির রেজাকে অভিযুক্ত করে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২৪ সালের ৭ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। গত ৯ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ১৩ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়। আজ আদালত থেকে আসামির ফাঁসির রায় এলো।
উল্লেখ্য, জান্নাতুল এমবিবিএস পাস করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্ত্রী ও গাইনি বিষয়ে একটি কোর্সে অধ্যয়নরত ছিলেন।