নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ নভেম্বর, ২০২৫, 5:48 PM
হযরত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এডিসি কাজ করিয়ে পাওনা পরিশোধ না করায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানায় তিন কর্মকর্তাকে খুঁজছে পুলিশ। গত বছর দায়ের করা এই মামলায় চলতি বছরের ১১ আগস্ট আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এডিসির ওই কর্মকর্তারা হলেন, কিউংজু কাং, ইয়ংকওয়ান চোই ও জুয়োক ইয়াং। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর থেকে তারা জামিন না নিয়ে পলাতক রয়েছেন মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এই মামলায় আরও দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তারা হলেন— হিসোক কিম ও বাংলাদেশি নাগরিক মো. সায়েম চৌধুরী। তবে হিসোক কিম ও সায়েম চৌধুরী আপস মীমাংসার শর্তে আদালত থেকে জামিন পান বলে জানা গেছে।
প্লিয়াডিস কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কনসাল্টিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জুবায়ের আখতার চৌধুরী ঢাকা মহানগর আদালতে এই মামলা করেন। এক বছর আগে করা মামলায় জুবায়েরের দাবি— তাদের প্রতিষ্ঠানকে এডিসি সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করালেও চুক্তিমতো অর্থ পরিশোধ করেনি। দীর্ঘদিন ধরে অর্থ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি মামলা করেন।
মামলাটির তদন্ত দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সৌরভ দে সরকারের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে পাওনার বিষয়টির সত্যতা মেলে। পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার পর প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১১ আগস্ট আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
সৌরভ দে সরকার বলেন, এই মামলায় পরোয়ানাভুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার তিন কর্মকর্তা এখনও জামিন নেননি। আমরা গ্রেফতারের জন্য খুঁজছি। তারা আত্নগোপনে রয়েছেন।
পিবিআই জানায়, চুক্তি অনুযায়ী কাজ করিয়ে এডিসি পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি। প্লিয়াডিসের দাবি অনুযায়ী, সম্পাদিত কাজের বিপরীতে তাদের পাওনা ৯০ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে— পাওনা অর্থ আটকে রেখে বিদেশি কর্মকর্তারা দেশ-বিদেশে প্রকল্প সংক্রান্ত বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জুবায়ের আখতার চৌধুরী বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে বলা হয়, আদালতের পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও পরোয়ানাভুক্ত কর্মকর্তারা আইন লঙ্ঘন করে দেশে প্রবেশ করে বিভিন্ন মাধ্যমে বৈঠক করেছেন। জুবায়ের আক্তার চৌধুরী বলেন, তার সঙ্গে চুক্তির বরখেলাপ করা হয়েছে।
চুক্তির বাইরেও অতিরিক্ত কাজ করানো হয়েছে। এসব কাজ বাবদ প্রায় ৯০ কোটি টাকার পাওনা অপরিশোধিত রয়েছে। যার মধ্যে মূল কাজের পাওনা এবং অতিরিক্ত সময় কাজ করানোর খরচ অন্তর্ভুক্ত। এ বকেয়া দিতে টালবাহানা করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
বকেয়া বিল আদায়ের জন্য সিএমএম কোর্টে দুটি মামলা করেন বলে জানান তিনি। আদালত পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
জুবায়ের আরও জানান, সবকিছু জানিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি চিঠি দিয়েছেন এবং এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ নভেম্বর, ২০২৫, 5:48 PM
হযরত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এডিসি কাজ করিয়ে পাওনা পরিশোধ না করায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানায় তিন কর্মকর্তাকে খুঁজছে পুলিশ। গত বছর দায়ের করা এই মামলায় চলতি বছরের ১১ আগস্ট আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এডিসির ওই কর্মকর্তারা হলেন, কিউংজু কাং, ইয়ংকওয়ান চোই ও জুয়োক ইয়াং। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর থেকে তারা জামিন না নিয়ে পলাতক রয়েছেন মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এই মামলায় আরও দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তারা হলেন— হিসোক কিম ও বাংলাদেশি নাগরিক মো. সায়েম চৌধুরী। তবে হিসোক কিম ও সায়েম চৌধুরী আপস মীমাংসার শর্তে আদালত থেকে জামিন পান বলে জানা গেছে।
প্লিয়াডিস কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কনসাল্টিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জুবায়ের আখতার চৌধুরী ঢাকা মহানগর আদালতে এই মামলা করেন। এক বছর আগে করা মামলায় জুবায়েরের দাবি— তাদের প্রতিষ্ঠানকে এডিসি সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করালেও চুক্তিমতো অর্থ পরিশোধ করেনি। দীর্ঘদিন ধরে অর্থ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি মামলা করেন।
মামলাটির তদন্ত দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সৌরভ দে সরকারের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে পাওনার বিষয়টির সত্যতা মেলে। পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার পর প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১১ আগস্ট আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
সৌরভ দে সরকার বলেন, এই মামলায় পরোয়ানাভুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার তিন কর্মকর্তা এখনও জামিন নেননি। আমরা গ্রেফতারের জন্য খুঁজছি। তারা আত্নগোপনে রয়েছেন।
পিবিআই জানায়, চুক্তি অনুযায়ী কাজ করিয়ে এডিসি পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি। প্লিয়াডিসের দাবি অনুযায়ী, সম্পাদিত কাজের বিপরীতে তাদের পাওনা ৯০ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে— পাওনা অর্থ আটকে রেখে বিদেশি কর্মকর্তারা দেশ-বিদেশে প্রকল্প সংক্রান্ত বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জুবায়ের আখতার চৌধুরী বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে বলা হয়, আদালতের পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও পরোয়ানাভুক্ত কর্মকর্তারা আইন লঙ্ঘন করে দেশে প্রবেশ করে বিভিন্ন মাধ্যমে বৈঠক করেছেন। জুবায়ের আক্তার চৌধুরী বলেন, তার সঙ্গে চুক্তির বরখেলাপ করা হয়েছে।
চুক্তির বাইরেও অতিরিক্ত কাজ করানো হয়েছে। এসব কাজ বাবদ প্রায় ৯০ কোটি টাকার পাওনা অপরিশোধিত রয়েছে। যার মধ্যে মূল কাজের পাওনা এবং অতিরিক্ত সময় কাজ করানোর খরচ অন্তর্ভুক্ত। এ বকেয়া দিতে টালবাহানা করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
বকেয়া বিল আদায়ের জন্য সিএমএম কোর্টে দুটি মামলা করেন বলে জানান তিনি। আদালত পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
জুবায়ের আরও জানান, সবকিছু জানিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি চিঠি দিয়েছেন এবং এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।