CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২১ নভেম্বর, ২০২৫

অবশেষে পেঁয়াজ আমদানির ‘হুমকি’

#
news image

অবশেষে সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না নামলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। রবিবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের করনীয় নির্ধারণী এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বৈঠক শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমরা বাজারের ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছি। চলতি সপ্তাহের মধ্যে যদি পেঁয়াজের দাম প্রয়োজন অনুযায়ী না কমে, আমরা আমদানি অনুমোদন ইস্যু করে দেবো। দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে আমরা পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবো না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি অনেকেই পেঁয়াজ আমদানির জন্য আবেদন করেছেন। আমাদের কাছে বর্তমানে ২ হাজার ৮০০’র মতো পেঁয়াজ আমদানির আবেদন আছে।’

দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা গত এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন ধরে দেখছি পেঁয়াজের মূল্যের একটা ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা মনে করি পেঁয়াজের কোনও সংকট নেই। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজ সংরক্ষণকে সুবিধাজনক করতে ১০ হাজার হাই ফ্লো মেশিন বিতরণ করেছে। ফলে পেঁয়াজের সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে যে পেঁয়াজ আমদানির আবেদন আছে, এর ১০ শতাংশ যদি আমরা ছেড়ে দেই, তাহলে পেঁয়াজের স্বাভাবিকভাবে বাজারে ধস নামবে। আমরা ধস নামাতে চাই না। আমরা চাই একটা স্বাভাবিক মূল্য পরিস্থিতি বিরাজ করুক। এতে আমরা আমাদের নিজস্ব 
কৃষি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারবো। কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। একইভাবে ভোক্তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’

শেখ বশির বলেন, ‘স্থলবন্দরের ওপাশে অনেক পেঁয়াজ মজুত করা হয়েছে।’

এই মুহূর্তে কৃষকের কাছে পেঁয়াজ নেই এবং এ বাড়তি মূল্যের টাকা কৃষকের পকেটে যায়নি বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।

বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘কৃষি সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে সাড়ে তিন লাখ টনের মতো পেঁয়াজ মজুদ আছে। আমাদের পেঁয়াজের কোনও সংকট নেই।’

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ নভেম্বর, ২০২৫,  5:16 PM

news image

অবশেষে সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না নামলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। রবিবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের করনীয় নির্ধারণী এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বৈঠক শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমরা বাজারের ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছি। চলতি সপ্তাহের মধ্যে যদি পেঁয়াজের দাম প্রয়োজন অনুযায়ী না কমে, আমরা আমদানি অনুমোদন ইস্যু করে দেবো। দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে আমরা পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবো না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি অনেকেই পেঁয়াজ আমদানির জন্য আবেদন করেছেন। আমাদের কাছে বর্তমানে ২ হাজার ৮০০’র মতো পেঁয়াজ আমদানির আবেদন আছে।’

দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা গত এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন ধরে দেখছি পেঁয়াজের মূল্যের একটা ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা মনে করি পেঁয়াজের কোনও সংকট নেই। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজ সংরক্ষণকে সুবিধাজনক করতে ১০ হাজার হাই ফ্লো মেশিন বিতরণ করেছে। ফলে পেঁয়াজের সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে যে পেঁয়াজ আমদানির আবেদন আছে, এর ১০ শতাংশ যদি আমরা ছেড়ে দেই, তাহলে পেঁয়াজের স্বাভাবিকভাবে বাজারে ধস নামবে। আমরা ধস নামাতে চাই না। আমরা চাই একটা স্বাভাবিক মূল্য পরিস্থিতি বিরাজ করুক। এতে আমরা আমাদের নিজস্ব 
কৃষি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারবো। কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। একইভাবে ভোক্তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’

শেখ বশির বলেন, ‘স্থলবন্দরের ওপাশে অনেক পেঁয়াজ মজুত করা হয়েছে।’

এই মুহূর্তে কৃষকের কাছে পেঁয়াজ নেই এবং এ বাড়তি মূল্যের টাকা কৃষকের পকেটে যায়নি বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।

বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘কৃষি সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে সাড়ে তিন লাখ টনের মতো পেঁয়াজ মজুদ আছে। আমাদের পেঁয়াজের কোনও সংকট নেই।’