নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ অক্টোবর, ২০২৫, 6:03 PM
রাজধানীর মিরপুর মাজার রোডে দিনের বেলায় বাসায় ঢুকে ১০৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩২ লাখ টাকার বেশি লুটের ঘটনায় মূলহোতা বিল্লাল হোসেনসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় লুট হওয়া স্বর্ণের একটি অংশ, নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ১৯ অক্টোবর সকালে গাবতলীর একটি মার্কেটে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান ভুক্তভোগী মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি বাসায় না থাকা অবস্থায় মুখোশধারী চারজন ডাকাত বাসায় প্রবেশ করেন। তার স্ত্রী দরজা খুলতেই অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করা হয়, হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর করা হয় এবং আলমারির লকার ভেঙে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করা হয়।
ভিকটিম বাসায় ফিরে দেখেন লকার ভাঙা, পাশাপাশি স্ত্রীর বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন। এসময় তার বাসা থেকে ১০৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩১ লাখ ৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল লুট করা হয়।
পরে এ ঘটনায় দারুস সালাম থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের হয় ভুক্তভোগী মোহাম্মদ উল্লাহ। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
র্যাব জানায়, মামলা হওয়ার পর র্যাব-৪ ছায়া তদন্ত শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে পরিকল্পনাকারী বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার তথ্য অনুযায়ী র্যাব-৪ ও র্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে ভোলার ভেদুরিয়া এলাকা থেকে আরও তিনজনকে আটক করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো, মূলহোতা মো. বিল্লাল হোসেন, মো. হোসেন ওরফে সোহান (৩৩), বকুল বিবি (৫০) ও কুলসুম বিবি (৫০)।
এসময় তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ১ ভরি ১০ আনা, সিটি গোল্ড অলংকার ৮ ভরি ২ আনা, নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ডাকাতরা আগে থেকেই বাসার আর্থিক অবস্থা, স্বর্ণালংকারে পরিমাণ এবং বাসায় কবে কে থাকে—সব তথ্য সংগ্রহ করেছিল। এটি একটি পরিকল্পিত ও পেশাদার ডাকাত চক্র। তিনি জানান, চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ঘটনাটি দিনের বেলায় এবং আবাসিক এলাকায় সংঘটিত হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা শহরে নগদ অর্থ ও মূল্যবান সম্পদ বাসায় রাখার প্রবণতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে এসব ঘটনা বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকাগুলোর পাশাপাশি আবাসিক এলাকা, বিশেষ করে ফ্ল্যাট-বাড়িতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।’
র্যাব জানিয়েছে, মামলার পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ অক্টোবর, ২০২৫, 6:03 PM
রাজধানীর মিরপুর মাজার রোডে দিনের বেলায় বাসায় ঢুকে ১০৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩২ লাখ টাকার বেশি লুটের ঘটনায় মূলহোতা বিল্লাল হোসেনসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় লুট হওয়া স্বর্ণের একটি অংশ, নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ১৯ অক্টোবর সকালে গাবতলীর একটি মার্কেটে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান ভুক্তভোগী মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি বাসায় না থাকা অবস্থায় মুখোশধারী চারজন ডাকাত বাসায় প্রবেশ করেন। তার স্ত্রী দরজা খুলতেই অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করা হয়, হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর করা হয় এবং আলমারির লকার ভেঙে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করা হয়।
ভিকটিম বাসায় ফিরে দেখেন লকার ভাঙা, পাশাপাশি স্ত্রীর বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন। এসময় তার বাসা থেকে ১০৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩১ লাখ ৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল লুট করা হয়।
পরে এ ঘটনায় দারুস সালাম থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের হয় ভুক্তভোগী মোহাম্মদ উল্লাহ। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
র্যাব জানায়, মামলা হওয়ার পর র্যাব-৪ ছায়া তদন্ত শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে পরিকল্পনাকারী বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার তথ্য অনুযায়ী র্যাব-৪ ও র্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে ভোলার ভেদুরিয়া এলাকা থেকে আরও তিনজনকে আটক করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো, মূলহোতা মো. বিল্লাল হোসেন, মো. হোসেন ওরফে সোহান (৩৩), বকুল বিবি (৫০) ও কুলসুম বিবি (৫০)।
এসময় তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ১ ভরি ১০ আনা, সিটি গোল্ড অলংকার ৮ ভরি ২ আনা, নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ডাকাতরা আগে থেকেই বাসার আর্থিক অবস্থা, স্বর্ণালংকারে পরিমাণ এবং বাসায় কবে কে থাকে—সব তথ্য সংগ্রহ করেছিল। এটি একটি পরিকল্পিত ও পেশাদার ডাকাত চক্র। তিনি জানান, চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ঘটনাটি দিনের বেলায় এবং আবাসিক এলাকায় সংঘটিত হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা শহরে নগদ অর্থ ও মূল্যবান সম্পদ বাসায় রাখার প্রবণতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে এসব ঘটনা বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকাগুলোর পাশাপাশি আবাসিক এলাকা, বিশেষ করে ফ্ল্যাট-বাড়িতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।’
র্যাব জানিয়েছে, মামলার পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।