CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২১ নভেম্বর, ২০২৫

জলবায়ু অর্থায়নে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করা জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

#
news image

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু অর্থায়নে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। উন্নত দেশগুলো যদি নিজেদের জলবায়ু রোধে অবদান বাড়াতে না পারে, তাহলে আমাদের মতো জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বাঁচার পথ রুদ্ধ হবে। জলবায়ু ন্যায্যতার প্রশ্নে বাংলাদেশকে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘রোড টু বেলেম COP30: পিপল লেড পলিসি—বাংলাদেশ পজিশন @COP30’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কেবল টাকায় পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। অর্থ দিয়ে নদীভাঙন, জীববৈচিত্র্য হ্রাস কিংবা মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনা যায় না। এজন্য উন্নয়ন পরিকল্পনায় পরিবেশ ও জলবায়ু ঝুঁকিকে কেন্দ্রীয়ভাবে বিবেচনায় নেওয়ার ওপর তিনি জোর দেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি এখনই আমাদের উন্নয়ন দর্শন ও সিদ্ধান্তে জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে না পারি, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তখন আর মানবিক বা টেকসই থাকবে না।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমাদের উচিত শুধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়া নয়, বরং মাঠপর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। বালু উত্তোলন বন্ধ করা, নদী রক্ষা করা, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে পরিবেশের পক্ষে কাজ করা—এসব ক্ষেত্রেই প্রকৃত জলবায়ু নেতৃত্বের প্রমাণ দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, ন্যাচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ড. এস. এম. মঞ্জুরুল হান্নান খান, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহরাব আলী, পরিচালক মির্জা শওকত আলী এবং সি৩ইআরের সহকারী পরিচালক রউফা খানম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ অক্টোবর, ২০২৫,  5:14 PM

news image

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু অর্থায়নে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। উন্নত দেশগুলো যদি নিজেদের জলবায়ু রোধে অবদান বাড়াতে না পারে, তাহলে আমাদের মতো জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বাঁচার পথ রুদ্ধ হবে। জলবায়ু ন্যায্যতার প্রশ্নে বাংলাদেশকে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘রোড টু বেলেম COP30: পিপল লেড পলিসি—বাংলাদেশ পজিশন @COP30’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কেবল টাকায় পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। অর্থ দিয়ে নদীভাঙন, জীববৈচিত্র্য হ্রাস কিংবা মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনা যায় না। এজন্য উন্নয়ন পরিকল্পনায় পরিবেশ ও জলবায়ু ঝুঁকিকে কেন্দ্রীয়ভাবে বিবেচনায় নেওয়ার ওপর তিনি জোর দেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি এখনই আমাদের উন্নয়ন দর্শন ও সিদ্ধান্তে জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে না পারি, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তখন আর মানবিক বা টেকসই থাকবে না।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমাদের উচিত শুধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়া নয়, বরং মাঠপর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। বালু উত্তোলন বন্ধ করা, নদী রক্ষা করা, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে পরিবেশের পক্ষে কাজ করা—এসব ক্ষেত্রেই প্রকৃত জলবায়ু নেতৃত্বের প্রমাণ দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, ন্যাচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ড. এস. এম. মঞ্জুরুল হান্নান খান, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহরাব আলী, পরিচালক মির্জা শওকত আলী এবং সি৩ইআরের সহকারী পরিচালক রউফা খানম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।