রাবি প্রতিনিধি
২৩ অক্টোবর, ২০২৫, 6:42 PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের ফটক ঘেরাও করে এ কর্মসূচি পালন শুরু করেন তারা।
প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ চলাকালে বিকেলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলতে আসেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁর কথা না শুনে ‘ভুয়া, ভুয়া’, ‘অবাঞ্ছিত, বহিরাগত’, ‘দফা এক, দাবি এক,
বহিরাগতের পদত্যাগ ', ' বহিরাগত চেয়ারম্যান মানিনা মানব না ' ,প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন নেমেছিলেন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি মেনে না নেওয়ায় এবং নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগের সভাপতির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আজ বিক্ষোভ করছেন। তাঁদের বিভাগের শিক্ষকদের মধ্য থেকে সভাপতি নিয়োগ দেওয়ার পর ওই তিন দাবিতে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
বিভাগের জান্নাত জামান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিভাগের সভাপতি তিনি আমাদের দাবি মানেননি, উল্টো মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে মিডিয়াতে বলেছেন, এখানে কেউ উস্কানি দিচ্ছে। তিনি বিভাগের আসার পর উন্নয়ন ফি বৃদ্ধি, কারিকুলাম ফি নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে খেলাধুলা ও শিক্ষাসফরের অর্থ বরাদ্দ বন্ধ হয়ে গেছে। স্পেশালাইজড ও দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষকদের বাদ দিয়ে তিনি নিজ বিভাগের বিভাগের শিক্ষার্থীদের অতিথি শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছেন। এই ধরনের স্বজনপ্রীতি আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমাদের দাবি আদায় নাহলে আমার শাটডাউন চলতে থাকবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এনামুল হককে গত জুলাইয়ে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২৩ সালের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শুধুমাত্র চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান নিয়োগ পাবার পর নতুন বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর নিজ বিভাগ মনোবিজ্ঞানকেও সংযুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
গত মঙ্গলবার বৈষম্যমূলক শিক্ষক নিয়োগ সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি মেনে না নেওয়ায় গত বুধবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন তাঁরা। এর অংশ হিসেবে তাঁরা গতকাল রক্ত ব্যানার লেখা, সংবাদ সম্মেলন, মানবন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা তিন দফা দাবি থেকে সরে এসে বিভাগের সভাপতির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন।
পদত্যাগের দাবির বিষয়ে অধ্যাপক এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটা অন্যায় আবদার হয়ে গেছে। তাঁদের যে তিন দফা দাবি, এটা মেনে নেওয়া হয়েছে, সেটা গতকাল ও আজকেও বলেছি। তাঁদের দাবির বিষয়ে আমরাও একমত। বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানকে টেকনিক্যাল ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি মন্ত্রনালয়ের বিষয়। এটি আমি কেন, উপাচার্য নিজেও সুরাহা করতে পারবেন না।’
রাবি প্রতিনিধি
২৩ অক্টোবর, ২০২৫, 6:42 PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের ফটক ঘেরাও করে এ কর্মসূচি পালন শুরু করেন তারা।
প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ চলাকালে বিকেলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলতে আসেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁর কথা না শুনে ‘ভুয়া, ভুয়া’, ‘অবাঞ্ছিত, বহিরাগত’, ‘দফা এক, দাবি এক,
বহিরাগতের পদত্যাগ ', ' বহিরাগত চেয়ারম্যান মানিনা মানব না ' ,প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন নেমেছিলেন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি মেনে না নেওয়ায় এবং নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগের সভাপতির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আজ বিক্ষোভ করছেন। তাঁদের বিভাগের শিক্ষকদের মধ্য থেকে সভাপতি নিয়োগ দেওয়ার পর ওই তিন দাবিতে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
বিভাগের জান্নাত জামান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিভাগের সভাপতি তিনি আমাদের দাবি মানেননি, উল্টো মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে মিডিয়াতে বলেছেন, এখানে কেউ উস্কানি দিচ্ছে। তিনি বিভাগের আসার পর উন্নয়ন ফি বৃদ্ধি, কারিকুলাম ফি নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে খেলাধুলা ও শিক্ষাসফরের অর্থ বরাদ্দ বন্ধ হয়ে গেছে। স্পেশালাইজড ও দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষকদের বাদ দিয়ে তিনি নিজ বিভাগের বিভাগের শিক্ষার্থীদের অতিথি শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছেন। এই ধরনের স্বজনপ্রীতি আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমাদের দাবি আদায় নাহলে আমার শাটডাউন চলতে থাকবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এনামুল হককে গত জুলাইয়ে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২৩ সালের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শুধুমাত্র চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান নিয়োগ পাবার পর নতুন বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর নিজ বিভাগ মনোবিজ্ঞানকেও সংযুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
গত মঙ্গলবার বৈষম্যমূলক শিক্ষক নিয়োগ সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি মেনে না নেওয়ায় গত বুধবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন তাঁরা। এর অংশ হিসেবে তাঁরা গতকাল রক্ত ব্যানার লেখা, সংবাদ সম্মেলন, মানবন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা তিন দফা দাবি থেকে সরে এসে বিভাগের সভাপতির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন।
পদত্যাগের দাবির বিষয়ে অধ্যাপক এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটা অন্যায় আবদার হয়ে গেছে। তাঁদের যে তিন দফা দাবি, এটা মেনে নেওয়া হয়েছে, সেটা গতকাল ও আজকেও বলেছি। তাঁদের দাবির বিষয়ে আমরাও একমত। বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানকে টেকনিক্যাল ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি মন্ত্রনালয়ের বিষয়। এটি আমি কেন, উপাচার্য নিজেও সুরাহা করতে পারবেন না।’