CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২০ নভেম্বর, ২০২৫

তিন দাবিতে রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে 'কমপ্লিট শাটডাউন' ঘোষণা

#
news image

ইন্টার্নশিপ ভাতা চালুসহ তিন দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সকল কার্যক্রম স্থগিত করে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এর আগে দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। 

তাদের বাকি দুইটি দাবি হলো - বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনকরণ এবং বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগকে টেকনিক্যাল ক্যাডারে অর্ন্তভুক্তি।

দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ও কমপ্লিট শাটডাউনের ব্যানার ঝুলিয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’,  ‘সাইকোলজির আধিপত্য, মানি না মানব না’, ‘ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর, বৈমষ্য নো মোর’, ‘সাইকোলজির আধিপত্য, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।


শিক্ষক নিয়োগের বৈষম্যের অভিযোগ তুলে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমন আলী বলেন, বিভাগে যখন দ্বিতীয়বার শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার প্রকাশিত হয়, তখন সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, শুধুমাত্র চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন। তবে বিভিন্ন কারণে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। 

তিনি অভিযোগ করেন, বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক এনামুল হক মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। তিনি চেয়ারম্যান পদে আসার পর বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক পরিবর্তন এনেছেন। 

একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফারহানা জেবিন লিজা বলেন, ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের জন্য আমাদের ঢাকায় অবস্থান করতে হয়। আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য ঢাকায় গিয়ে নিজেদের খরচ চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে যদি ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু থাকে তবে আমাদের অনেকটাই কষ্ট লাঘব হয়। বিভাগ প্রতিষ্ঠার দশ বছর হয়ে গেলেও এখনো এসব নিয়ে কোনো দৃষ্টিগোচর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী কামরুল হাসান সৈকত বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যেখানে আমরা কাজ করি সেখানে আমাদের নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা চিন্তিত। এমন এক বিভাগে পড়ি, যেখানে ১০ বছরেও কোন সরকারি চাকুরি, বিসিএস টেকনিক্যাল ক্যাডার, NTRC এর নিবন্ধন সহ আরও অনেক কিছু থেকে আমরা বঞ্চিত। আমরা এর সুরাহা চাই।


অভিযোগের ব্যাপারে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হককে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

রাবি প্রতিনিধি

২১ অক্টোবর, ২০২৫,  4:20 PM

news image

ইন্টার্নশিপ ভাতা চালুসহ তিন দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সকল কার্যক্রম স্থগিত করে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এর আগে দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। 

তাদের বাকি দুইটি দাবি হলো - বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনকরণ এবং বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগকে টেকনিক্যাল ক্যাডারে অর্ন্তভুক্তি।

দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ও কমপ্লিট শাটডাউনের ব্যানার ঝুলিয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’,  ‘সাইকোলজির আধিপত্য, মানি না মানব না’, ‘ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর, বৈমষ্য নো মোর’, ‘সাইকোলজির আধিপত্য, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।


শিক্ষক নিয়োগের বৈষম্যের অভিযোগ তুলে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমন আলী বলেন, বিভাগে যখন দ্বিতীয়বার শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার প্রকাশিত হয়, তখন সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, শুধুমাত্র চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন। তবে বিভিন্ন কারণে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। 

তিনি অভিযোগ করেন, বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক এনামুল হক মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। তিনি চেয়ারম্যান পদে আসার পর বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক পরিবর্তন এনেছেন। 

একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফারহানা জেবিন লিজা বলেন, ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের জন্য আমাদের ঢাকায় অবস্থান করতে হয়। আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য ঢাকায় গিয়ে নিজেদের খরচ চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে যদি ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু থাকে তবে আমাদের অনেকটাই কষ্ট লাঘব হয়। বিভাগ প্রতিষ্ঠার দশ বছর হয়ে গেলেও এখনো এসব নিয়ে কোনো দৃষ্টিগোচর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী কামরুল হাসান সৈকত বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যেখানে আমরা কাজ করি সেখানে আমাদের নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা চিন্তিত। এমন এক বিভাগে পড়ি, যেখানে ১০ বছরেও কোন সরকারি চাকুরি, বিসিএস টেকনিক্যাল ক্যাডার, NTRC এর নিবন্ধন সহ আরও অনেক কিছু থেকে আমরা বঞ্চিত। আমরা এর সুরাহা চাই।


অভিযোগের ব্যাপারে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হককে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।