CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২১ নভেম্বর, ২০২৫

বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে সরকারের দাবি বিভ্রান্তিকর: ডিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি

#
news image

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি রিজওয়ান-উর-রহমান বলেছেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ নিয়ে সরকারের দাবি বিভ্রান্তিকর। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো সম্ভব নয়।’ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড (ডিএফএটি) আয়োজিত ‘মান্থলি ম্যাক্রোইকোনমিক ইনসাইটস (এমএমআই)’ সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।


রিজওয়ান-উর-রহমান বলেন, ‘সাম্প্রতিক রেমিট্যান্স প্রবাহের ঊর্ধ্বগতি মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রবাসীদের আস্থার প্রতিফলন। রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ সরকার হিসেবে তারা এই প্রশাসনকে দেখছেন। তবে এটিকে কাঠামোগত নীতি-সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা বিভ্রান্তিকর। প্রবাসীরা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। তাই রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন বেশি। কিন্তু সরকার বিষয়টি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি এখনও দুর্বল। সহিংসতা, লাগামহীন অর্থপাচার ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত করে তুলেছে।’ ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনীতি খারাপ অবস্থায় ছিল, এবং এখনও তাতে তেমন উন্নতি হয়নি’, যোগ করেন তিনি।

পাঁচ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাবিত উদ্যোগের সমালোচনা করে সাবেক ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ করদাতাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।’ একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাগজে-কলমে স্বাধীনতা থাকলেও সততা ও নেতৃত্বের অভাবে সেই স্বাধীনতা কার্যকর হয় না।’

পুঁজিবাজার প্রসঙ্গে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে পুঁজিবাজার মূলধন সংগ্রহে কোনও ভূমিকা রাখছে না।’ এ ব্যর্থতার জন্য তিনি অতীত ও বর্তমান উভয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেই দায়ী করেন।

রিজওয়ান-উর-রহমান মনে করেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দরকার বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্ব ও সুশাসন। অন্যথায় বিদেশি বিনিয়োগ টেকসইভাবে বাড়বে না।’

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫,  3:37 PM

news image

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি রিজওয়ান-উর-রহমান বলেছেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ নিয়ে সরকারের দাবি বিভ্রান্তিকর। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো সম্ভব নয়।’ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড (ডিএফএটি) আয়োজিত ‘মান্থলি ম্যাক্রোইকোনমিক ইনসাইটস (এমএমআই)’ সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।


রিজওয়ান-উর-রহমান বলেন, ‘সাম্প্রতিক রেমিট্যান্স প্রবাহের ঊর্ধ্বগতি মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রবাসীদের আস্থার প্রতিফলন। রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ সরকার হিসেবে তারা এই প্রশাসনকে দেখছেন। তবে এটিকে কাঠামোগত নীতি-সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা বিভ্রান্তিকর। প্রবাসীরা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। তাই রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন বেশি। কিন্তু সরকার বিষয়টি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি এখনও দুর্বল। সহিংসতা, লাগামহীন অর্থপাচার ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত করে তুলেছে।’ ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনীতি খারাপ অবস্থায় ছিল, এবং এখনও তাতে তেমন উন্নতি হয়নি’, যোগ করেন তিনি।

পাঁচ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাবিত উদ্যোগের সমালোচনা করে সাবেক ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ করদাতাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।’ একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাগজে-কলমে স্বাধীনতা থাকলেও সততা ও নেতৃত্বের অভাবে সেই স্বাধীনতা কার্যকর হয় না।’

পুঁজিবাজার প্রসঙ্গে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে পুঁজিবাজার মূলধন সংগ্রহে কোনও ভূমিকা রাখছে না।’ এ ব্যর্থতার জন্য তিনি অতীত ও বর্তমান উভয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেই দায়ী করেন।

রিজওয়ান-উর-রহমান মনে করেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দরকার বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্ব ও সুশাসন। অন্যথায় বিদেশি বিনিয়োগ টেকসইভাবে বাড়বে না।’