CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২০ নভেম্বর, ২০২৫

১০ লাখ টাকার বিনিময়ে ছাত্রদলে যুবদলে অনুপ্রবেশ!

#
news image

ঢাকার সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দায়ের হওয়া একটি হত্যা চেষ্টার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার এক ছাত্রলীগ ও এক যুবলীগ নেতাকে ছাত্রদল ও যুবদলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে প্রত্যয়ন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সোহেল আহমেদ নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে সাভার মডেল থানায় ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১৫০/২০০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাটুরিয়ার ছাত্রলীগ নেতা মো. রায়হান ও যুবলীগ কর্মী আল মাহমুদ সবুজের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, দোসররা ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে ছাত্রদলে যুবদলে অনুপ্রবেশ করেছেন। একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, মামলার পর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মো. সাদ্দাম হোসেন এবং উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ আমীর হামজা পৃথক দু’টি প্রত্যয়নপত্রে তাদেরকে ছাত্রদল ও যুবদলের সক্রিয় কর্মী বলে উল্লেখ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মো. রায়হান পূর্বে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের একটি কমিটিতে তার নামও ছিল। তবে সাদ্দাম হোসেন একটি প্রত্যয়নপত্রে রায়হানকে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও ত্যাগী কর্মী বলে দাবি করেন। কিন্তু জেলা ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি রেজাউল ইসলাম খান সজীব জানান, তার দেয়া কমিটিতে রায়হানের নাম ছিল না; বরং সাধন সরকারের নাম এডিট করে প্রতারণার মাধ্যমে রায়হানের নাম বসানো হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মো. সাদ্দাম হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে, সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সক্রিয় কর্মী আল মাহমুদ সবুজকে যুবদলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মী হিসেবে প্রত্যয়ন দেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ আমীর হামজা। প্রত্যয়নপত্রে দাবি করা হয়, তিনি সাটুরিয়া সদর ইউনিয়ন যুবদলের সহ ক্রীড়া সম্পাদক। তবে যাচাই করে দেখা যায়, ওই দায়িত্বে রয়েছেন মো. আব্দুল আলীম নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগ উঠেছে, তার নাম এডিট করে আল মাহমুদ সবুজকে ওই পদে দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আমীর হামজা বলেন, “মোবাইলে কিছু বলবো না, সামনাসামনি এলে বিষয়টি ব্যাখ্যা করবো।”

এ প্রসঙ্গে জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোশতাক হোসেন দীপু বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই, এখনই আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তদন্ত করে সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার উপপরিদর্শক চম্পক বড়ুয়া জানান, “তদন্ত চলমান রয়েছে। ঘটনার সময় আসামিরা জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫,  8:07 PM

news image

ঢাকার সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দায়ের হওয়া একটি হত্যা চেষ্টার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার এক ছাত্রলীগ ও এক যুবলীগ নেতাকে ছাত্রদল ও যুবদলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে প্রত্যয়ন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সোহেল আহমেদ নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে সাভার মডেল থানায় ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১৫০/২০০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাটুরিয়ার ছাত্রলীগ নেতা মো. রায়হান ও যুবলীগ কর্মী আল মাহমুদ সবুজের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, দোসররা ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে ছাত্রদলে যুবদলে অনুপ্রবেশ করেছেন। একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, মামলার পর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মো. সাদ্দাম হোসেন এবং উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ আমীর হামজা পৃথক দু’টি প্রত্যয়নপত্রে তাদেরকে ছাত্রদল ও যুবদলের সক্রিয় কর্মী বলে উল্লেখ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মো. রায়হান পূর্বে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের একটি কমিটিতে তার নামও ছিল। তবে সাদ্দাম হোসেন একটি প্রত্যয়নপত্রে রায়হানকে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও ত্যাগী কর্মী বলে দাবি করেন। কিন্তু জেলা ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি রেজাউল ইসলাম খান সজীব জানান, তার দেয়া কমিটিতে রায়হানের নাম ছিল না; বরং সাধন সরকারের নাম এডিট করে প্রতারণার মাধ্যমে রায়হানের নাম বসানো হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মো. সাদ্দাম হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে, সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সক্রিয় কর্মী আল মাহমুদ সবুজকে যুবদলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মী হিসেবে প্রত্যয়ন দেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ আমীর হামজা। প্রত্যয়নপত্রে দাবি করা হয়, তিনি সাটুরিয়া সদর ইউনিয়ন যুবদলের সহ ক্রীড়া সম্পাদক। তবে যাচাই করে দেখা যায়, ওই দায়িত্বে রয়েছেন মো. আব্দুল আলীম নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগ উঠেছে, তার নাম এডিট করে আল মাহমুদ সবুজকে ওই পদে দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আমীর হামজা বলেন, “মোবাইলে কিছু বলবো না, সামনাসামনি এলে বিষয়টি ব্যাখ্যা করবো।”

এ প্রসঙ্গে জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোশতাক হোসেন দীপু বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই, এখনই আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তদন্ত করে সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার উপপরিদর্শক চম্পক বড়ুয়া জানান, “তদন্ত চলমান রয়েছে। ঘটনার সময় আসামিরা জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”