ঐশ্বর্য বিশ্বাস, রাবি
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 12:40 PM
ঘন বর্ষার অবসান ঘটিয়ে আকাশ এখন নীল। নাটাইবিহীন ঘুড়ির মতোই আকাশে উড়ছে তুলা সদৃশ সাদা মেঘ। মাঠের পাশে দেখা মিলছে সাদা কাশফুলের। পথের ধারের দুর্বাঘাসগুলোও শিশিরে ভিজতে শুরু করেছে। আকাশে বাতসে যেন মাতৃস্নেহের সরল স্নিগ্ধতা। শিউলি ফুলের সুবাস বার্তা দিচ্ছে, পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে সূচনা হয়েছে মাতৃপক্ষের। ঠিক এ সময়েই মর্তে আসেন দেবী দূর্গা। শুরু হয় সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপূজার। উৎসবকে সামনে রেখে পরিবারের কাছে ফিরেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গেই তারা কাটাতে চান আনন্দমুখর সময়টুকু।
মহালয়া থেকে সময় গুনতে গুনতে আজ পঞ্চমী। ঘটেছে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান সবার। আগামীকাল ষষ্ঠী দিয়ে শুরু হচ্ছে দেবীর আরাধনা। তোরজোর চলছে উৎসবের, প্যান্ডেলে-প্যান্ডেলে চলছে শেষ মূহুর্তের সাজসজ্জা। মন্ডপগুলোতে বইছে আলোকবাতির ঝর্ণা। কেউ মেতেছে নতুন পোশাক কেনায় কেউবা পুষ্পাঞ্জলী দেবার অপেক্ষায়। ধুপের গন্ধ, ঢাকের তাল, পুরোহিতের মন্ত্র ও শাস্ত্রের ছন্দ মিলিয়ে নাঁচে গানে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পাঁচ দিন ধরে চলবে দেবী আরাধনা। বাবা-মা, পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে দিনগুলোতে চলবে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে গিয়ে ঠাকুর দেখা। পাড়ার প্যান্ডেলগুলো যেন এই সময়ে হয়ে ওঠে মিলনমেলা। যেখানে ভাগভাগি হয় উৎসবের আনন্দ।
বছর ঘূরে ফিরে আসা এই উৎসবে পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে কাটানোর আকাঙ্ক্ষা যেন পরিবার ছেড়ে দূরে থাকা সকল প্রাণের। তাই-তো কেউ পরীক্ষার প্রস্তুতির বইয়ের পাতা ভাজ দিয়ে, কেউ এসাইনমেন্টের খাতা অপ্রস্তত রেখে, কেউ চায়ের দোকানের আড্ডা ফেলে,আবার কেউ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তুমুল উত্তাপকে ক্যাম্পাসে পরিমন্ডলে রেখেই উৎসবের আমেজে বাড়িতে ফিরেছেন। কেউ গিয়েছেন ইট-পাথরের শহরের গলির মাঝে তার ছোট্ট পরিবারের কাছে আবার কেউ ছুটে গিয়েছেন গ্রামে তার যৌথ পরিবার ও পাড়ার বন্ধুদের কাছে। জায়গার ভিন্নতা হলেও উদ্দেশ্যের কোনো ভিন্নতা নেই। তারা সবাই বছর ঘূরে মর্ত্যে ফিরে আসা দেবী দুর্গার আরাধনা করতে চান পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে। আনন্দের এই সময়ে দেখতে চান পরিবারের হাস্যোজ্বল মুখ, হাটতে চান বন্ধুদের সঙ্গে বেড়ে ওঠা পুরোনো সেই মেঠো পথে।
পূজার দিনগুলোর অনুভূতি নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাত্রী সাহা বলেন, পূজা শুরু হচ্ছে এই অনুভূতি অসম্ভব মানসিক শান্তি দেয়, শৈশবের স্মৃতি ফিরিয়ে দেয়, মনে হয় আমি এখনো সেই বাচ্চা মেয়েটাই আছি। বিশেষ করে যখন মা সাথে থাকে মনে হয় মা দূর্গা আমার সাথেই আছেন। কিন্তু দশমী আসলে আবার আমার মন খারাপ হয়ে যায়। একদিকে মা আমাদের ছেড়ে কৈলাশে চলে যাবেন। অন্যদিকে আমাকেও ফিরতে হবে পরিবার ছেড়ে দূরের সেই যান্ত্রিক জীবনে।
পরিবার ছেড়ে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা করছেন অর্পন ধর। স্নাতক শেষ করে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী তিনি। দূর্গাপূজায় অপেক্ষার আনন্দ নিয়ে অর্পণ বলেন, ‘পূজার ছুটির অন্তত এক মাস আগে আমি টুকটাক ব্যাগ গোছানো শুরু করি। মহালয়া আসলেই মনেহয় কবে বাড়িতে যাব। এই অপেক্ষাই এক প্রকার আনন্দ। প্রতিবছর এসময় বাড়িতে অনেক আনন্দ হয়। সবার উপস্থিতিতে উৎসবটি এক অনন্য রুপ ধারণ করে।’
সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী যমুনা বসুর আকাঙ্ক্ষা আবার একটু ভিন্ন। তার ইচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্দিরে পুজো হলে তিনি সেখানেই থাকবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও কেন্দ্রীয় মন্দিরে জাকজমকভাবে পূজার আয়োজন করা হলেও আমাদের মন্দির প্রতিষ্ঠার পর আগে মহালয়ার অনুষ্ঠানও হতো না। এখন ধীরে ধীরে সব পূজা হয়। সামনে হয়তো দুর্গা পূজাও হবে। যদি ক্যাম্পাসে পূজা হতো তবে মাঝে মাঝে এখানেই পূজা কাটাতাম। যদিও বাবা-মায়ের সাথে পূজার সময় না থাকলে তাদেরও মন খারাপ হতো তবুও অন্তত ষষ্ঠী সপ্তমী ক্যাম্পাসেই কাটিয়ে দিতাম।'
ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দীপংকর সরকারের মতে পুজোর সবচেয়ে আনন্দের আবহ সৃষ্টি হয় অষ্টমীর দিনে এবং দশমীতে দেবী দুর্গার বিদায়ে সকলের মাঝে এক শূণ্যতার তৈরী হয়। তিনি বলেন, ‘পুজোর প্রতিটি দিনই তাৎপর্যপূর্ণ। তবে মহা অষ্টমীর দিনটিই সর্বাধিক আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে। এদিন পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে পূজা-অর্চনার গাম্ভীর্যের পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণ, অঞ্জলি প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সম্প্রীতির আবহ সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যায়। অপরদিকে, বিজয়া দশমীতে দেবীর বিদায়ের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে, যা আনন্দের মাঝেই এক ধরনের বিষন্নতা ও শূন্যতার অনুভূতি সৃষ্টি করে।’
এ দিকে নাট্যকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সায়ন্তিকা কর মৌলি পরিবার ছেড়ে থাকেন অনেক দূরে। তিনি সব সময়েই ছুটির অপেক্ষায় থাকেন। তবে দুর্গোৎসবে তার থাকে এক ভিন্ন আবেগ। মৌলি বলেন, ‘এতদিন পর বাড়িতে যাচ্ছি সেটার অনুভূতি অন্য রকম। এলাকার বন্ধুদের সাথে অনেকদিন কথা হয় না, বাড়িতে গিয়ে এবার বন্ধুদের সাথে ঠাকুর দেখতে যাবো। পরিবারকে সময় দিবো অনেক আনন্দ হবে।’
সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দৃশ্য কুমার দেব বলেন, ‘অন্যবারের তুলনায় এবারের পুজো টা আমার কাছে অনেকটাই আলাদা। কারণ, এই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যস্ত জীবন থেকে সাময়িক ছুটিতে পরিবারের কাছে অতিথি হয়ে যাচ্ছি। বড় হয়ে গেলে হয়তো আনন্দ টা কমে যায় সেটাই বুঝতে পারছি। পরিবারের সাথে সময় কাটাবো এটাই বড় পাওয়া।’
ঐশ্বর্য বিশ্বাস, রাবি
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 12:40 PM
ঘন বর্ষার অবসান ঘটিয়ে আকাশ এখন নীল। নাটাইবিহীন ঘুড়ির মতোই আকাশে উড়ছে তুলা সদৃশ সাদা মেঘ। মাঠের পাশে দেখা মিলছে সাদা কাশফুলের। পথের ধারের দুর্বাঘাসগুলোও শিশিরে ভিজতে শুরু করেছে। আকাশে বাতসে যেন মাতৃস্নেহের সরল স্নিগ্ধতা। শিউলি ফুলের সুবাস বার্তা দিচ্ছে, পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে সূচনা হয়েছে মাতৃপক্ষের। ঠিক এ সময়েই মর্তে আসেন দেবী দূর্গা। শুরু হয় সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপূজার। উৎসবকে সামনে রেখে পরিবারের কাছে ফিরেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গেই তারা কাটাতে চান আনন্দমুখর সময়টুকু।
মহালয়া থেকে সময় গুনতে গুনতে আজ পঞ্চমী। ঘটেছে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান সবার। আগামীকাল ষষ্ঠী দিয়ে শুরু হচ্ছে দেবীর আরাধনা। তোরজোর চলছে উৎসবের, প্যান্ডেলে-প্যান্ডেলে চলছে শেষ মূহুর্তের সাজসজ্জা। মন্ডপগুলোতে বইছে আলোকবাতির ঝর্ণা। কেউ মেতেছে নতুন পোশাক কেনায় কেউবা পুষ্পাঞ্জলী দেবার অপেক্ষায়। ধুপের গন্ধ, ঢাকের তাল, পুরোহিতের মন্ত্র ও শাস্ত্রের ছন্দ মিলিয়ে নাঁচে গানে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পাঁচ দিন ধরে চলবে দেবী আরাধনা। বাবা-মা, পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে দিনগুলোতে চলবে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে গিয়ে ঠাকুর দেখা। পাড়ার প্যান্ডেলগুলো যেন এই সময়ে হয়ে ওঠে মিলনমেলা। যেখানে ভাগভাগি হয় উৎসবের আনন্দ।
বছর ঘূরে ফিরে আসা এই উৎসবে পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে কাটানোর আকাঙ্ক্ষা যেন পরিবার ছেড়ে দূরে থাকা সকল প্রাণের। তাই-তো কেউ পরীক্ষার প্রস্তুতির বইয়ের পাতা ভাজ দিয়ে, কেউ এসাইনমেন্টের খাতা অপ্রস্তত রেখে, কেউ চায়ের দোকানের আড্ডা ফেলে,আবার কেউ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তুমুল উত্তাপকে ক্যাম্পাসে পরিমন্ডলে রেখেই উৎসবের আমেজে বাড়িতে ফিরেছেন। কেউ গিয়েছেন ইট-পাথরের শহরের গলির মাঝে তার ছোট্ট পরিবারের কাছে আবার কেউ ছুটে গিয়েছেন গ্রামে তার যৌথ পরিবার ও পাড়ার বন্ধুদের কাছে। জায়গার ভিন্নতা হলেও উদ্দেশ্যের কোনো ভিন্নতা নেই। তারা সবাই বছর ঘূরে মর্ত্যে ফিরে আসা দেবী দুর্গার আরাধনা করতে চান পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে। আনন্দের এই সময়ে দেখতে চান পরিবারের হাস্যোজ্বল মুখ, হাটতে চান বন্ধুদের সঙ্গে বেড়ে ওঠা পুরোনো সেই মেঠো পথে।
পূজার দিনগুলোর অনুভূতি নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাত্রী সাহা বলেন, পূজা শুরু হচ্ছে এই অনুভূতি অসম্ভব মানসিক শান্তি দেয়, শৈশবের স্মৃতি ফিরিয়ে দেয়, মনে হয় আমি এখনো সেই বাচ্চা মেয়েটাই আছি। বিশেষ করে যখন মা সাথে থাকে মনে হয় মা দূর্গা আমার সাথেই আছেন। কিন্তু দশমী আসলে আবার আমার মন খারাপ হয়ে যায়। একদিকে মা আমাদের ছেড়ে কৈলাশে চলে যাবেন। অন্যদিকে আমাকেও ফিরতে হবে পরিবার ছেড়ে দূরের সেই যান্ত্রিক জীবনে।
পরিবার ছেড়ে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা করছেন অর্পন ধর। স্নাতক শেষ করে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী তিনি। দূর্গাপূজায় অপেক্ষার আনন্দ নিয়ে অর্পণ বলেন, ‘পূজার ছুটির অন্তত এক মাস আগে আমি টুকটাক ব্যাগ গোছানো শুরু করি। মহালয়া আসলেই মনেহয় কবে বাড়িতে যাব। এই অপেক্ষাই এক প্রকার আনন্দ। প্রতিবছর এসময় বাড়িতে অনেক আনন্দ হয়। সবার উপস্থিতিতে উৎসবটি এক অনন্য রুপ ধারণ করে।’
সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী যমুনা বসুর আকাঙ্ক্ষা আবার একটু ভিন্ন। তার ইচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্দিরে পুজো হলে তিনি সেখানেই থাকবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও কেন্দ্রীয় মন্দিরে জাকজমকভাবে পূজার আয়োজন করা হলেও আমাদের মন্দির প্রতিষ্ঠার পর আগে মহালয়ার অনুষ্ঠানও হতো না। এখন ধীরে ধীরে সব পূজা হয়। সামনে হয়তো দুর্গা পূজাও হবে। যদি ক্যাম্পাসে পূজা হতো তবে মাঝে মাঝে এখানেই পূজা কাটাতাম। যদিও বাবা-মায়ের সাথে পূজার সময় না থাকলে তাদেরও মন খারাপ হতো তবুও অন্তত ষষ্ঠী সপ্তমী ক্যাম্পাসেই কাটিয়ে দিতাম।'
ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দীপংকর সরকারের মতে পুজোর সবচেয়ে আনন্দের আবহ সৃষ্টি হয় অষ্টমীর দিনে এবং দশমীতে দেবী দুর্গার বিদায়ে সকলের মাঝে এক শূণ্যতার তৈরী হয়। তিনি বলেন, ‘পুজোর প্রতিটি দিনই তাৎপর্যপূর্ণ। তবে মহা অষ্টমীর দিনটিই সর্বাধিক আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে। এদিন পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে পূজা-অর্চনার গাম্ভীর্যের পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণ, অঞ্জলি প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সম্প্রীতির আবহ সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যায়। অপরদিকে, বিজয়া দশমীতে দেবীর বিদায়ের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে, যা আনন্দের মাঝেই এক ধরনের বিষন্নতা ও শূন্যতার অনুভূতি সৃষ্টি করে।’
এ দিকে নাট্যকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সায়ন্তিকা কর মৌলি পরিবার ছেড়ে থাকেন অনেক দূরে। তিনি সব সময়েই ছুটির অপেক্ষায় থাকেন। তবে দুর্গোৎসবে তার থাকে এক ভিন্ন আবেগ। মৌলি বলেন, ‘এতদিন পর বাড়িতে যাচ্ছি সেটার অনুভূতি অন্য রকম। এলাকার বন্ধুদের সাথে অনেকদিন কথা হয় না, বাড়িতে গিয়ে এবার বন্ধুদের সাথে ঠাকুর দেখতে যাবো। পরিবারকে সময় দিবো অনেক আনন্দ হবে।’
সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দৃশ্য কুমার দেব বলেন, ‘অন্যবারের তুলনায় এবারের পুজো টা আমার কাছে অনেকটাই আলাদা। কারণ, এই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যস্ত জীবন থেকে সাময়িক ছুটিতে পরিবারের কাছে অতিথি হয়ে যাচ্ছি। বড় হয়ে গেলে হয়তো আনন্দ টা কমে যায় সেটাই বুঝতে পারছি। পরিবারের সাথে সময় কাটাবো এটাই বড় পাওয়া।’