রাবি প্রতিনিধি
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 9:10 AM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে দিনভর অনশন, ধস্তাধস্তি, উপ-উপাচার্যকে অবরুদ্ধ রাখা ও উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা। তবে রাত ৩টার দিকে তারা সেখান থেকে সরে যান।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জুবেরী ভবনে অবস্থান নেয়। এরপর সকলে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে। সেখানে তারা ‘শিক্ষা আর ভিক্ষা, একসাথে চলে না’, ‘অন টু থ্রি ফোর, পোষ্য কোটা নো মোর’সহ নানা স্লোগান দেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিক্ষোভকারীরা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাইন উদ্দিনের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে তিনি প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে জুবেরী ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আহত হন। পরে বিকেল সোয়া ৫টা থেকে উপ-উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘আগে আমি আমার প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে ফেরত চাই, তারপর আলোচনায় বসব। জিম্মি করে কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আজকে তারা যা করেছে তা কাম্য নয়।’ তিনি আরও বলেন, রাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের আচরণের ওপর নির্ভর করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রাত ১টার দিকে জানানো হয়, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) নিয়ে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে আজ জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা উপাচার্যের নির্বাহী ক্ষমতাবলে এ সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। পরে রাত গভীর হওয়ায় এবং উপাচার্যের সিন্ডিকেট সভার আশ্বাসে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে চলে যেতে শুরু করেন।
রাবি প্রতিনিধি
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 9:10 AM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে দিনভর অনশন, ধস্তাধস্তি, উপ-উপাচার্যকে অবরুদ্ধ রাখা ও উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা। তবে রাত ৩টার দিকে তারা সেখান থেকে সরে যান।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জুবেরী ভবনে অবস্থান নেয়। এরপর সকলে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে। সেখানে তারা ‘শিক্ষা আর ভিক্ষা, একসাথে চলে না’, ‘অন টু থ্রি ফোর, পোষ্য কোটা নো মোর’সহ নানা স্লোগান দেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিক্ষোভকারীরা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাইন উদ্দিনের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে তিনি প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে জুবেরী ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আহত হন। পরে বিকেল সোয়া ৫টা থেকে উপ-উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘আগে আমি আমার প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে ফেরত চাই, তারপর আলোচনায় বসব। জিম্মি করে কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আজকে তারা যা করেছে তা কাম্য নয়।’ তিনি আরও বলেন, রাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের আচরণের ওপর নির্ভর করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রাত ১টার দিকে জানানো হয়, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) নিয়ে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে আজ জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা উপাচার্যের নির্বাহী ক্ষমতাবলে এ সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। পরে রাত গভীর হওয়ায় এবং উপাচার্যের সিন্ডিকেট সভার আশ্বাসে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে চলে যেতে শুরু করেন।