CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২১ নভেম্বর, ২০২৫

কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে রাবি শিক্ষার্থী

#
news image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্যকোটা পুনর্বহাল করার প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে বসেছেন এক শিক্ষার্থী।  দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন-১ এর সামনে তিনি অনশন শুরু করেন। 

অনশনে বসা ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. আসাদুল ইসলাম। তিনি সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আসন্ন হল সংসদ নির্বাচনে তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ভিপি (স্বতন্ত্র) পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিন্দ্বন্দিতা করছেন।

অনশনের বিষয়ে আশাদুল ইসলাম বলেন, যে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে এত রক্ত দেয়া লেগেছে, সেই কোটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারে না। পোষ্যকোটা সমূলে উৎপাটন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এটার সমাধান না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি অনশন চালিয়ে যাব। ১৭ বছরের স্বৈরশাসন আমরা শিক্ষার্থীরা দূর করতে পারলে এই পোষ্যকোটা সিন্ডিকেটও আমরা ভাঙতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় ৬৮.৫ মার্ক পেয়ে আমাকে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হওয়া লেগেছে। কিন্তু ওই একই বছর ৪০ মার্ক পেয়ে অনেকে পোষ্যকোটায় আইন-ইংরেজির মতো বিভাগে ভর্তি হয়েছিল। এই হিসেবে ৬০-৭০ মার্ক পেয়েও গ্রাম থেকে আসা অনেক শিক্ষার্থী ভালো ভালো বিভাগে ভর্তি হতে পারে না, কেউ আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায় না। আমি চাই, এই বৈষম্যের অবসান হোক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি, তার খোঁজখবরও রাখছি।

উল্লেখ্য, গতকাল ১০ টি শর্তে পোষ্যকোটা বহাল করা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হবার পরেই শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত ভিসির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করে৷ এরপর আজ জুম্মার নামাজ শেষে পুনরায় প্রতিবাদ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রাবি প্রতিনিধি

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫,  10:24 PM

news image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্যকোটা পুনর্বহাল করার প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে বসেছেন এক শিক্ষার্থী।  দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন-১ এর সামনে তিনি অনশন শুরু করেন। 

অনশনে বসা ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. আসাদুল ইসলাম। তিনি সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আসন্ন হল সংসদ নির্বাচনে তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ভিপি (স্বতন্ত্র) পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিন্দ্বন্দিতা করছেন।

অনশনের বিষয়ে আশাদুল ইসলাম বলেন, যে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে এত রক্ত দেয়া লেগেছে, সেই কোটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারে না। পোষ্যকোটা সমূলে উৎপাটন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এটার সমাধান না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি অনশন চালিয়ে যাব। ১৭ বছরের স্বৈরশাসন আমরা শিক্ষার্থীরা দূর করতে পারলে এই পোষ্যকোটা সিন্ডিকেটও আমরা ভাঙতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় ৬৮.৫ মার্ক পেয়ে আমাকে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হওয়া লেগেছে। কিন্তু ওই একই বছর ৪০ মার্ক পেয়ে অনেকে পোষ্যকোটায় আইন-ইংরেজির মতো বিভাগে ভর্তি হয়েছিল। এই হিসেবে ৬০-৭০ মার্ক পেয়েও গ্রাম থেকে আসা অনেক শিক্ষার্থী ভালো ভালো বিভাগে ভর্তি হতে পারে না, কেউ আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায় না। আমি চাই, এই বৈষম্যের অবসান হোক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি, তার খোঁজখবরও রাখছি।

উল্লেখ্য, গতকাল ১০ টি শর্তে পোষ্যকোটা বহাল করা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হবার পরেই শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত ভিসির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করে৷ এরপর আজ জুম্মার নামাজ শেষে পুনরায় প্রতিবাদ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।