ধর্ম ডেস্ক
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 5:53 PM
মুমিনের জন্য দিন-রাতের সবচেয়ে সুন্দর সময় রাতের শেষ প্রহর। এ সময় পৃথিবীর মানুষ ঘুমিয়ে থাকে এবং অন্য সবকিছুর মতো পাপের জগৎও বন্ধ থাকে। আর এ সময় আরামের ঘুম ছেড়ে আল্লাহর ইবাদত করা, মোনাজাতে হাত তুলে চোখের পানি ফেলা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের পছন্দের কাজ।
এ সময় জেগে থাকলে এবং আল্লাহর স্মরণে মশগুল থাকলে আল্লাহ তায়ালা রিজিকে বরকত দান করেন। শুধু ইবাদত-বন্দেগিই নয়, বরং দুনিয়াবি কাজের জন্যও এটি সবচেয়ে উপযুক্ত ও বরকতময় সময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ভোরবেলার কাজের জন্য বরকতের দোয়া করেছেন। হাদিসে এসেছে, হজরত সখর গামেদি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এ দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুভাগ বরকতময় করুন।’ এ জন্যই রাসুল (সা.) কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন।
বর্ণনাকারী বলেন, হজরত সখর (রা.)-ও তাঁর ব্যবসায়ী কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন, এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয় এবং সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন। (আবু দাউদ : ২৬০৬)
শেষ রাতের ইবাদতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি যেমন অর্জন করা যায়, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ ভালো। আল্লাহ তায়ালা জান্নাতবাসীদের পরিচয় দিয়ে পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘তারা শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনা করে’ (সুরা জারিয়াত : ১৮)। আসলে সকালের ঘুম অলসতার লক্ষণ, যা শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি সফলতা অর্জনেও প্রতিবন্ধক। হজরত ফাতেমা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুল (সা.) আমার ঘরে এসে আমাকে ভোরবেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলেন, তখন আমাকে পা দিয়ে নাড়া দিলেন এবং বললেন, ওঠো! তোমার রবের পক্ষ থেকে রিজিক গ্রহণ করো! অলসদের দলভুক্ত হয়ো না। কেননা আল্লাহ তায়ালা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের মাঝে রিজিক বণ্টন করে থাকেন (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব : ২৬১৬)। অন্য একটি হাদিসে প্রিয়নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ভোরবেলায় রিজিকের অন্বেষণ করো! কেননা সকালবেলা বরকতময় ও সফলতা অর্জনের জন্য উপযুক্ত সময়। (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ : ৬২২০)
পৃথিবীর ইতিহাসে যত সফল মানুষ এসেছেন, তাদের জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তারা শেষ রাতে ঘুমিয়ে থাকতেন না।
বলা যায়, সফলতার অন্যতম সিক্রেটগুলোর মধ্যে এটিও একটি। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য দুনিয়াবি কাজে সফলতা অর্জনের জন্যও ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠার বিকল্প নেই। যারা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে কিংবা রাতে কম ঘুমায়, অন্যদের তুলনায় তাদের মেধা, বুদ্ধি, কর্মক্ষমতা ও বিচক্ষণতাও অনেক বেশি ও স্বচ্ছ হয়। প্রিয়নবী (সা.)-ও তাদের জন্য রহমতের দোয়া করে গেছেন, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ ওই বান্দার ওপর রহম করুন, যে রাতের বেলায় উঠে নামাজ আদায় করে ও তার স্ত্রীকেও জাগায় এবং সেও নামাজ আদায় করে। যদি সে (স্ত্রী) নিদ্রার চাপে উঠতে না চায়, তবে সে (ভালোবেসে) তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়। আল্লাহ তায়ালা ওই মহিলার ওপরও রহম করুন, যে রাতে উঠে নামাজ আদায় করে এবং তার স্বামীকে ঘুম থেকে জাগায় এবং সেও নামাজ পড়ে। যদি সে (স্বামী) ঘুম থেকে উঠতে না চায়, তবে সে (ভালোবেসে) তার মুখে পানি ছিটিয়ে জাগিয়ে তোলে। (আবু দাউদ : ১৪৫০)
ধর্ম ডেস্ক
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 5:53 PM
মুমিনের জন্য দিন-রাতের সবচেয়ে সুন্দর সময় রাতের শেষ প্রহর। এ সময় পৃথিবীর মানুষ ঘুমিয়ে থাকে এবং অন্য সবকিছুর মতো পাপের জগৎও বন্ধ থাকে। আর এ সময় আরামের ঘুম ছেড়ে আল্লাহর ইবাদত করা, মোনাজাতে হাত তুলে চোখের পানি ফেলা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের পছন্দের কাজ।
এ সময় জেগে থাকলে এবং আল্লাহর স্মরণে মশগুল থাকলে আল্লাহ তায়ালা রিজিকে বরকত দান করেন। শুধু ইবাদত-বন্দেগিই নয়, বরং দুনিয়াবি কাজের জন্যও এটি সবচেয়ে উপযুক্ত ও বরকতময় সময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ভোরবেলার কাজের জন্য বরকতের দোয়া করেছেন। হাদিসে এসেছে, হজরত সখর গামেদি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এ দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুভাগ বরকতময় করুন।’ এ জন্যই রাসুল (সা.) কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন।
বর্ণনাকারী বলেন, হজরত সখর (রা.)-ও তাঁর ব্যবসায়ী কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন, এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয় এবং সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন। (আবু দাউদ : ২৬০৬)
শেষ রাতের ইবাদতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি যেমন অর্জন করা যায়, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ ভালো। আল্লাহ তায়ালা জান্নাতবাসীদের পরিচয় দিয়ে পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘তারা শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনা করে’ (সুরা জারিয়াত : ১৮)। আসলে সকালের ঘুম অলসতার লক্ষণ, যা শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি সফলতা অর্জনেও প্রতিবন্ধক। হজরত ফাতেমা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুল (সা.) আমার ঘরে এসে আমাকে ভোরবেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলেন, তখন আমাকে পা দিয়ে নাড়া দিলেন এবং বললেন, ওঠো! তোমার রবের পক্ষ থেকে রিজিক গ্রহণ করো! অলসদের দলভুক্ত হয়ো না। কেননা আল্লাহ তায়ালা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের মাঝে রিজিক বণ্টন করে থাকেন (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব : ২৬১৬)। অন্য একটি হাদিসে প্রিয়নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ভোরবেলায় রিজিকের অন্বেষণ করো! কেননা সকালবেলা বরকতময় ও সফলতা অর্জনের জন্য উপযুক্ত সময়। (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ : ৬২২০)
পৃথিবীর ইতিহাসে যত সফল মানুষ এসেছেন, তাদের জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তারা শেষ রাতে ঘুমিয়ে থাকতেন না।
বলা যায়, সফলতার অন্যতম সিক্রেটগুলোর মধ্যে এটিও একটি। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য দুনিয়াবি কাজে সফলতা অর্জনের জন্যও ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠার বিকল্প নেই। যারা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে কিংবা রাতে কম ঘুমায়, অন্যদের তুলনায় তাদের মেধা, বুদ্ধি, কর্মক্ষমতা ও বিচক্ষণতাও অনেক বেশি ও স্বচ্ছ হয়। প্রিয়নবী (সা.)-ও তাদের জন্য রহমতের দোয়া করে গেছেন, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ ওই বান্দার ওপর রহম করুন, যে রাতের বেলায় উঠে নামাজ আদায় করে ও তার স্ত্রীকেও জাগায় এবং সেও নামাজ আদায় করে। যদি সে (স্ত্রী) নিদ্রার চাপে উঠতে না চায়, তবে সে (ভালোবেসে) তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়। আল্লাহ তায়ালা ওই মহিলার ওপরও রহম করুন, যে রাতে উঠে নামাজ আদায় করে এবং তার স্বামীকে ঘুম থেকে জাগায় এবং সেও নামাজ পড়ে। যদি সে (স্বামী) ঘুম থেকে উঠতে না চায়, তবে সে (ভালোবেসে) তার মুখে পানি ছিটিয়ে জাগিয়ে তোলে। (আবু দাউদ : ১৪৫০)