CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২১ নভেম্বর, ২০২৫

জাকসু নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্যের পদত্যাগ

#
news image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্য ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা পদত্যাগ করেছেন। আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উপাচার্য বরাবর পদত্যাগপত্রে অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা উল্লেখ করেন, ‘সবিনয় নিবেদন এই যে, শিক্ষার্থীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত, জাকসু নির্বাচন, ২০২৫ নির্বাচন কমিশনের আমি একজন সদস্য। এই কাজ চলাকালে আমি আকস্মিকভাবেই অসুস্থ হয়ে পড়ি, কমিশন কার্যালয়ে থেকেই এভার কেআর হাসপাতালে সরাসরি ভর্তি হই। তাই বিগত বেশ কিছুদিনের নির্বাচন কমিশনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে, যেমন– ব্যালট পেপার, বাজেট চূড়ান্তকরণ ও অমর্ত্য রায়ের ভিপি পদ প্রার্থিতা বাতিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল না। এমনকি এ সংক্রান্ত কোনও প্রকার তথ্য আমাকে জানানো হয়নি এবং এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমাকে অবহিত না করে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনিকভাবে একচ্ছত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তথাপি, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সূত্র ধরে শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও নির্বাচনে ভোট গণনা পরবর্তী সময়ে আমি উপস্থিত হই, এবং অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে আমি একজন নির্বাচন কমিশন সদস্য হিসেবে যথাসাধ্য আমার কর্তব্য পালনের চেষ্টা করি।

‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, একটি ভীষণ রকমের দুর্বল প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা, অতিমাত্রার রাজনৈতিক সমীকরণ, এমনকি একজন শিক্ষকের অকাল প্রয়াণ, যিনি কোনোভাবে ভোট গণনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগই পাননি, তাকেও নির্বাচন ভোট গণনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার মিথ্যা অভিযোগ, এবং অদৃশ্য চাপ আমাকে এই কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করতে নৈতিকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন উল্লেখ্য যে, ৩৩ বছরের আকাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি জাকসু শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব গঠন অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষার্থে তৎপর না হয়ে কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য যখন ব্যবহৃত হয়, একজন নিরপেক্ষ শিক্ষক হিসেবে উক্ত কমিশনে সদস্য পদে বহাল থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার পদত্যাগ করেন। জাকসু নির্বাচন চলাকালে আসা অভিযোগগুলোর সুরাহা না করেই ভোট গণনা চালিয়ে যাওয়ায় পদত্যাগ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে অনুষ্ঠিত হয় জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোটের আগের দিন রাতে বাম সংগঠন ও ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থীরা ওএমআর মেশিন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের মালিক জামায়াত নেতা– এমন অভিযোগ তুললে নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওএমআরের পরিবর্তে ম্যানুয়ালি অর্থাৎ হাতে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে শিবিরের প্যানেলের সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট ওএমআর মেশিনে আর ব্যালট ছাপানোর প্রতিষ্ঠানকে বিএনপি নেতার বলে দাবি করে।

জাবি প্রতিনিধি

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫,  4:14 PM

news image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্য ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা পদত্যাগ করেছেন। আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উপাচার্য বরাবর পদত্যাগপত্রে অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা উল্লেখ করেন, ‘সবিনয় নিবেদন এই যে, শিক্ষার্থীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত, জাকসু নির্বাচন, ২০২৫ নির্বাচন কমিশনের আমি একজন সদস্য। এই কাজ চলাকালে আমি আকস্মিকভাবেই অসুস্থ হয়ে পড়ি, কমিশন কার্যালয়ে থেকেই এভার কেআর হাসপাতালে সরাসরি ভর্তি হই। তাই বিগত বেশ কিছুদিনের নির্বাচন কমিশনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে, যেমন– ব্যালট পেপার, বাজেট চূড়ান্তকরণ ও অমর্ত্য রায়ের ভিপি পদ প্রার্থিতা বাতিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল না। এমনকি এ সংক্রান্ত কোনও প্রকার তথ্য আমাকে জানানো হয়নি এবং এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমাকে অবহিত না করে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনিকভাবে একচ্ছত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তথাপি, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সূত্র ধরে শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও নির্বাচনে ভোট গণনা পরবর্তী সময়ে আমি উপস্থিত হই, এবং অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে আমি একজন নির্বাচন কমিশন সদস্য হিসেবে যথাসাধ্য আমার কর্তব্য পালনের চেষ্টা করি।

‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, একটি ভীষণ রকমের দুর্বল প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা, অতিমাত্রার রাজনৈতিক সমীকরণ, এমনকি একজন শিক্ষকের অকাল প্রয়াণ, যিনি কোনোভাবে ভোট গণনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগই পাননি, তাকেও নির্বাচন ভোট গণনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার মিথ্যা অভিযোগ, এবং অদৃশ্য চাপ আমাকে এই কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করতে নৈতিকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন উল্লেখ্য যে, ৩৩ বছরের আকাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি জাকসু শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব গঠন অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষার্থে তৎপর না হয়ে কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য যখন ব্যবহৃত হয়, একজন নিরপেক্ষ শিক্ষক হিসেবে উক্ত কমিশনে সদস্য পদে বহাল থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার পদত্যাগ করেন। জাকসু নির্বাচন চলাকালে আসা অভিযোগগুলোর সুরাহা না করেই ভোট গণনা চালিয়ে যাওয়ায় পদত্যাগ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে অনুষ্ঠিত হয় জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোটের আগের দিন রাতে বাম সংগঠন ও ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থীরা ওএমআর মেশিন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের মালিক জামায়াত নেতা– এমন অভিযোগ তুললে নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওএমআরের পরিবর্তে ম্যানুয়ালি অর্থাৎ হাতে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে শিবিরের প্যানেলের সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট ওএমআর মেশিনে আর ব্যালট ছাপানোর প্রতিষ্ঠানকে বিএনপি নেতার বলে দাবি করে।