CKEditor 5 Sample
ঢাকা ২১ নভেম্বর, ২০২৫

আইনি মোকাবিলাা পাশাপাশি রাজপথে  আন্দোলন জোরালো করার হুঁশিয়ারি

#
news image

দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘প্রাথমিক বৃত্তি নিয়ে বৈষম্য নয়, সাম্য চাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে আন্দোলন শুরু করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন। তারা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫-এ কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবিতে আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশজুড়ে আন্দোলন করে আসছে। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ‘বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫’ অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের দাবিতে অটল রয়েছেন। এবার রাজপথে আন্দোলন জোরদার করার মাধ্যমে দাবি আদায়ের হুঁসিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। রোববার রাজধানীর ধলপুর রোজ কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে আলাপকালে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ কিন্ডার গার্ডেন এসোসিয়েশনের মহাসচিব মো: মিজানুর রহমান সরকার।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ২৬ লাখ কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৫ম শ্রেনির সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। এরমধ্যে ১৬ লাখ পরীক্ষার্থী বেসরকারি এবং ১০ লাখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তবে সরকারি-বেসরকারি মিলে প্রতি বছর প্রায় ৮৩ লাখ পরীক্ষার্থী প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। তবে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের নেতারা জানান, গত ১৫ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, যা অসাম্য সৃষ্টি করেছে। ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এবং ২০২২ সালের বৃত্তি পরীক্ষায় এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সফলতা অর্জন করেছে। তারা বলছেন, বৃত্তি শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা নয়, এটি শিশুদের আত্মবিশ্বাস, সামাজিক মর্যাদা ও শিক্ষায় অগ্রগতির প্রেরণা। যখন কোনো শিশু তার বন্ধুরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, কিন্তু সে পারছে না বিদ্যালয়ের স্বীকৃতির ভিন্নতার কারণে, তখন তা তার মনোবল নষ্ট করে এবং বৈষম্যমূলক মনোভাব গড়ে তোলে, যা জাতীয় শিক্ষানীতির সাম্যের নীতির পরিপন্থী। বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলে শিক্ষার্থী ও পরিবারে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়, যার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা শুধু সাক্ষরতার পরিচায়ক নয়, এটি ভবিষ্যতের মজবুত ভিত্তি গড়ে দেয়। যদি সেই ভিত্তিতে বৈষম্য থাকে, তবে কিভাবে সমতার সমাজ গঠন সম্ভব? সংগঠনের নেতারা ইতোমধ্যে জারি করা পরিপত্র বাতিল করে কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষায় সমঅধিকার নিশ্চিত করার জন্য জোর দাবি জানান। তারা বলেন, ২০ আগস্টের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও এবং ঢাকায় মার্চসহ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
এরআগে গত ১২ আগস্ট রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫-এ কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, সংগঠনের সভাপতি কো-চেয়ারম্যান আব্দুল বাকী, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ ফারুক হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ, জেসমিন আক্তার, মহসীন মিঞা,  মাহমুদুল হক চৌধুরী,বিলকিছ আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হামিদুর রহমান, শিক্ষা সম্পাদক আবদুল আলীম, প্রচার সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সিকদার, সাহিত্য সম্পাদক হাসিনা আক্তার সহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষক অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ অংশ নেয়। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন বাংলাদেশ কিন্ডার গার্ডেন এসোসিয়েশনের মহাসচিব মো: মিজানুর রহমান সরকার। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৫ জুলাই ২০২৫ তারিখের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্মারক নং-৩৮.০১.০০০০.১০৭.৩৩.০০১.২০২৫ তারিখ ১৭ জুলাই২০২৫-এ জারিকৃত পরিপত্রের মাধ্যমে জানতে পারি যে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষায় যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী অবদান রাখা কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার পরিপত্রটি বৈষম্যমূলক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।  ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এবং ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বৃত্তি শুধু একটি আর্থিক অনুদান নয়-এটি একটি শিশুর আত্মবিশ্বাস, সামাজিক স্বীকৃতি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতির অনুপ্রেরণা। যখন একটি শিশু দেখবে তার বন্ধুরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে কিন্তু সে নিতে পারছে না শুধুমাত্র তার বিদ্যালয়ের স্বীকৃতির ধরণ ভিন্ন বলে, তখন তা তার মনোবলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটি শিশুদের মধ্যেই একটি বৈষম্যমূলক মনোভাব গড়ে তোলে, যা জাতীয় শিক্ষানীতির সাম্যের নীতির পরিপন্থী। বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের উপর যে মানষিক চাপ ও যন্ত্রণার সম্মুখীন হয় তার সকল দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা মানে কেবল স্বাক্ষরতা নয়। ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্ত ভিত গড়ে দেওয়া। সেই ভিত গড়ার প্রথম ধাপেই যদি বৈষম্য শুরু হয়, তাহলে আমরা কিভাবে সমতার সমাজ গড়বো। তিনি বলেন, শিক্ষা শিশুদের মৌলিক অধিকার। কোন শিশুকে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা আমাদের কারোরই কাম্য নয়। জুলাই বিপ্লবে বৈষম্যের বিরুদ্ধে অনেক শিক্ষার্থীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান বৈষম্য বিরোধী সরকার। বিধায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ আগস্ট, ২০২৫,  7:39 PM

news image

দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘প্রাথমিক বৃত্তি নিয়ে বৈষম্য নয়, সাম্য চাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে আন্দোলন শুরু করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন। তারা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫-এ কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবিতে আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশজুড়ে আন্দোলন করে আসছে। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ‘বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫’ অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের দাবিতে অটল রয়েছেন। এবার রাজপথে আন্দোলন জোরদার করার মাধ্যমে দাবি আদায়ের হুঁসিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। রোববার রাজধানীর ধলপুর রোজ কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে আলাপকালে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ কিন্ডার গার্ডেন এসোসিয়েশনের মহাসচিব মো: মিজানুর রহমান সরকার।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ২৬ লাখ কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৫ম শ্রেনির সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। এরমধ্যে ১৬ লাখ পরীক্ষার্থী বেসরকারি এবং ১০ লাখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তবে সরকারি-বেসরকারি মিলে প্রতি বছর প্রায় ৮৩ লাখ পরীক্ষার্থী প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। তবে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের নেতারা জানান, গত ১৫ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, যা অসাম্য সৃষ্টি করেছে। ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এবং ২০২২ সালের বৃত্তি পরীক্ষায় এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সফলতা অর্জন করেছে। তারা বলছেন, বৃত্তি শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা নয়, এটি শিশুদের আত্মবিশ্বাস, সামাজিক মর্যাদা ও শিক্ষায় অগ্রগতির প্রেরণা। যখন কোনো শিশু তার বন্ধুরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, কিন্তু সে পারছে না বিদ্যালয়ের স্বীকৃতির ভিন্নতার কারণে, তখন তা তার মনোবল নষ্ট করে এবং বৈষম্যমূলক মনোভাব গড়ে তোলে, যা জাতীয় শিক্ষানীতির সাম্যের নীতির পরিপন্থী। বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলে শিক্ষার্থী ও পরিবারে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়, যার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা শুধু সাক্ষরতার পরিচায়ক নয়, এটি ভবিষ্যতের মজবুত ভিত্তি গড়ে দেয়। যদি সেই ভিত্তিতে বৈষম্য থাকে, তবে কিভাবে সমতার সমাজ গঠন সম্ভব? সংগঠনের নেতারা ইতোমধ্যে জারি করা পরিপত্র বাতিল করে কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষায় সমঅধিকার নিশ্চিত করার জন্য জোর দাবি জানান। তারা বলেন, ২০ আগস্টের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও এবং ঢাকায় মার্চসহ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
এরআগে গত ১২ আগস্ট রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫-এ কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, সংগঠনের সভাপতি কো-চেয়ারম্যান আব্দুল বাকী, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ ফারুক হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ, জেসমিন আক্তার, মহসীন মিঞা,  মাহমুদুল হক চৌধুরী,বিলকিছ আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হামিদুর রহমান, শিক্ষা সম্পাদক আবদুল আলীম, প্রচার সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সিকদার, সাহিত্য সম্পাদক হাসিনা আক্তার সহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষক অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ অংশ নেয়। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন বাংলাদেশ কিন্ডার গার্ডেন এসোসিয়েশনের মহাসচিব মো: মিজানুর রহমান সরকার। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৫ জুলাই ২০২৫ তারিখের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্মারক নং-৩৮.০১.০০০০.১০৭.৩৩.০০১.২০২৫ তারিখ ১৭ জুলাই২০২৫-এ জারিকৃত পরিপত্রের মাধ্যমে জানতে পারি যে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষায় যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী অবদান রাখা কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার পরিপত্রটি বৈষম্যমূলক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।  ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এবং ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বৃত্তি শুধু একটি আর্থিক অনুদান নয়-এটি একটি শিশুর আত্মবিশ্বাস, সামাজিক স্বীকৃতি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতির অনুপ্রেরণা। যখন একটি শিশু দেখবে তার বন্ধুরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে কিন্তু সে নিতে পারছে না শুধুমাত্র তার বিদ্যালয়ের স্বীকৃতির ধরণ ভিন্ন বলে, তখন তা তার মনোবলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটি শিশুদের মধ্যেই একটি বৈষম্যমূলক মনোভাব গড়ে তোলে, যা জাতীয় শিক্ষানীতির সাম্যের নীতির পরিপন্থী। বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের উপর যে মানষিক চাপ ও যন্ত্রণার সম্মুখীন হয় তার সকল দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা মানে কেবল স্বাক্ষরতা নয়। ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্ত ভিত গড়ে দেওয়া। সেই ভিত গড়ার প্রথম ধাপেই যদি বৈষম্য শুরু হয়, তাহলে আমরা কিভাবে সমতার সমাজ গড়বো। তিনি বলেন, শিক্ষা শিশুদের মৌলিক অধিকার। কোন শিশুকে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা আমাদের কারোরই কাম্য নয়। জুলাই বিপ্লবে বৈষম্যের বিরুদ্ধে অনেক শিক্ষার্থীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান বৈষম্য বিরোধী সরকার। বিধায়