আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৩ আগস্ট, ২০২৫, 6:54 PM
যুক্তরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীর গুজবের জেরে হয়রানি বাড়ছে। এসব ঘটনাকে ‘নির্দোষ ভুলের’ বদলে বিষাক্ত রাজনৈতিক বক্তব্যের বিপজ্জনক লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ গবেষক ড. শাবানা বেগম।
তার সতর্ক বার্তা এমন সময় এলো, যখন সাম্প্রতিক হয়রানির একটি ঘটনা তদন্ত করছে ওয়েলসের পুলিশ বাহিনী। ওই এলাকায় কিছুদিন আগে, একটি স্কাউট ক্যাম্পে অবৈধ অভিবাসী থাকার ভিত্তিহীন গুজবের জেরে সেখানকার শিশুদের ওপর বর্ণবাদী নিপীড়ন চালানো এবং তাদের ভিডিও করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে, গ্রেট ইয়ারমাউথের আইনপ্রণেতা রুপার্ট লোও একটি দাতাসংস্থার কর্মীদের ‘অবৈধ অভিবাসী ভেবে’ ‘ভুল করে’ পুলিশ ডেকেছিলেন।
ব্রিটিশ বাংলাদেশি জাতিগত সমতা ক্যাম্পেইনার এবং রান্নিমিড ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী ড. বেগম বলেছেন, অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের প্রতি যে বিষোদ্গার করা হচ্ছে, তা নির্দোষ ভুল নয়, বরং এটি বিষাক্ত রাজনৈতিক বক্তব্যের এক বিপজ্জনক লক্ষণ। এভাবে চলতে থাকলে ব্যাপক সহিংসতা ও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা উসকানি পেতে পারে। সংকট মোকাবিলায় সরকারকে এগিয়ে আসার এবং এর অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলো সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতির সন্তান ড. বেগম পারিবারিক ইতিহাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করেন। তিনি ‘ফ্রম সিলেট টু স্পাইটালফিল্ডস: বেঙ্গলি স্কোয়াটার্স ইন নাইন্টিন সেভেনটিস ইস্ট লন্ডন’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন, যা তার উচ্চতর গবেষণার উপর ভিত্তি করে রচিত।
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি ঘনীভূত হতে থাকা বিদ্বেষের ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা সত্যিই একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আছি এবং সরকারকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি এই ধরনের আচরণকে সামাজিক চুক্তি ভেঙে পড়া এবং অর্থনৈতিক বঞ্চনা মোকাবেলায় রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করেন।
ড. বেগম বলেন, যদি সরকার দেশের শিকরে প্রথিত বৈষম্য মোকাবিলা না করে, তাহলে আমরা আরও বেশি সহিংস গোষ্ঠী দেখতে পাবো, যা কেবল আরও হাঙ্গামা সৃষ্টি করবে।
বোর্নমাউথ এলাকায় সেফগার্ড ফোর্সের মতো সহিংস দলের উত্থানে উদ্বেগের বিষয়টি আরও প্রকট করে তোলে বলে মন্তব্য করেছেন ড. বেগম। চলমান সহিংসতার গুরুতর প্রভাব যুক্তরাজ্যের সকল অশ্বেতাঙ্গ মানুষের ওপর পড়তে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন, এই পরিস্থিতি কিছু রাজনীতিবিদ এবং সংবাদমাধ্যমের ভিত্তিহীন বা মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা অ্যাজেন্ডার প্রত্যক্ষ ফলাফল।
ড. বেগম বলেন, এভাবে চলতে থাকলে যুক্তরাজ্যের সকল অশ্বেতাঙ্গ মানুষের জন্যই খারাপ প্রভাব তৈরি হয়। কারণ স্থানীয়রা বিদেশিদের অভিবাসন বা আশ্রয়প্রার্থী মর্যাদা যাচাই না করেই তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয় এবং তাদের প্রতি আক্রমণাত্মক আচরণ প্রকাশ করে।
চলমান সংকটটি রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সাউথ ইয়র্কশায়ারের লেবার মেয়র অলিভার কপপার্ড যখন রাজনীতিবিদদের একটি পরিমিত পন্থা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন, তখন কনজারভেটিভ নেতা কেমি ব্যাডেনোকের মতো রাজনীতিবিদদের পালটা প্রতিক্রিয়া সংকট আরও ঘনীভূত করছে।
সম্প্রতি ব্যাডেনোক বলেছেন যে, তিনি বুঝতে পারেন কেন মানুষ এপিংয়ের বেল হোটেলের সামনে প্রতিবাদ করছে। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, এলাকার নারীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং তাদের মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত আছেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৩ আগস্ট, ২০২৫, 6:54 PM
যুক্তরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীর গুজবের জেরে হয়রানি বাড়ছে। এসব ঘটনাকে ‘নির্দোষ ভুলের’ বদলে বিষাক্ত রাজনৈতিক বক্তব্যের বিপজ্জনক লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ গবেষক ড. শাবানা বেগম।
তার সতর্ক বার্তা এমন সময় এলো, যখন সাম্প্রতিক হয়রানির একটি ঘটনা তদন্ত করছে ওয়েলসের পুলিশ বাহিনী। ওই এলাকায় কিছুদিন আগে, একটি স্কাউট ক্যাম্পে অবৈধ অভিবাসী থাকার ভিত্তিহীন গুজবের জেরে সেখানকার শিশুদের ওপর বর্ণবাদী নিপীড়ন চালানো এবং তাদের ভিডিও করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে, গ্রেট ইয়ারমাউথের আইনপ্রণেতা রুপার্ট লোও একটি দাতাসংস্থার কর্মীদের ‘অবৈধ অভিবাসী ভেবে’ ‘ভুল করে’ পুলিশ ডেকেছিলেন।
ব্রিটিশ বাংলাদেশি জাতিগত সমতা ক্যাম্পেইনার এবং রান্নিমিড ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী ড. বেগম বলেছেন, অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের প্রতি যে বিষোদ্গার করা হচ্ছে, তা নির্দোষ ভুল নয়, বরং এটি বিষাক্ত রাজনৈতিক বক্তব্যের এক বিপজ্জনক লক্ষণ। এভাবে চলতে থাকলে ব্যাপক সহিংসতা ও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা উসকানি পেতে পারে। সংকট মোকাবিলায় সরকারকে এগিয়ে আসার এবং এর অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলো সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতির সন্তান ড. বেগম পারিবারিক ইতিহাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করেন। তিনি ‘ফ্রম সিলেট টু স্পাইটালফিল্ডস: বেঙ্গলি স্কোয়াটার্স ইন নাইন্টিন সেভেনটিস ইস্ট লন্ডন’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন, যা তার উচ্চতর গবেষণার উপর ভিত্তি করে রচিত।
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি ঘনীভূত হতে থাকা বিদ্বেষের ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা সত্যিই একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আছি এবং সরকারকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি এই ধরনের আচরণকে সামাজিক চুক্তি ভেঙে পড়া এবং অর্থনৈতিক বঞ্চনা মোকাবেলায় রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করেন।
ড. বেগম বলেন, যদি সরকার দেশের শিকরে প্রথিত বৈষম্য মোকাবিলা না করে, তাহলে আমরা আরও বেশি সহিংস গোষ্ঠী দেখতে পাবো, যা কেবল আরও হাঙ্গামা সৃষ্টি করবে।
বোর্নমাউথ এলাকায় সেফগার্ড ফোর্সের মতো সহিংস দলের উত্থানে উদ্বেগের বিষয়টি আরও প্রকট করে তোলে বলে মন্তব্য করেছেন ড. বেগম। চলমান সহিংসতার গুরুতর প্রভাব যুক্তরাজ্যের সকল অশ্বেতাঙ্গ মানুষের ওপর পড়তে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন, এই পরিস্থিতি কিছু রাজনীতিবিদ এবং সংবাদমাধ্যমের ভিত্তিহীন বা মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা অ্যাজেন্ডার প্রত্যক্ষ ফলাফল।
ড. বেগম বলেন, এভাবে চলতে থাকলে যুক্তরাজ্যের সকল অশ্বেতাঙ্গ মানুষের জন্যই খারাপ প্রভাব তৈরি হয়। কারণ স্থানীয়রা বিদেশিদের অভিবাসন বা আশ্রয়প্রার্থী মর্যাদা যাচাই না করেই তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয় এবং তাদের প্রতি আক্রমণাত্মক আচরণ প্রকাশ করে।
চলমান সংকটটি রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সাউথ ইয়র্কশায়ারের লেবার মেয়র অলিভার কপপার্ড যখন রাজনীতিবিদদের একটি পরিমিত পন্থা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন, তখন কনজারভেটিভ নেতা কেমি ব্যাডেনোকের মতো রাজনীতিবিদদের পালটা প্রতিক্রিয়া সংকট আরও ঘনীভূত করছে।
সম্প্রতি ব্যাডেনোক বলেছেন যে, তিনি বুঝতে পারেন কেন মানুষ এপিংয়ের বেল হোটেলের সামনে প্রতিবাদ করছে। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, এলাকার নারীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং তাদের মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত আছেন।