পলিন
০৫ জুলাই, ২০২৫, 5:43 PM
মাস্তানির বেসিক রুল: পুলিশের সাথে কখনো মাস্তানি করা যাবে না। মাস্তানি করতে হবে পুলিশকে হাতে রেখে। আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে আমি অনেক কিছুরই সমালোচনা করেছি। কিন্তু, এই সময়কালে দেশের জন্য সর্বোচ্চ কাজ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ। কিছুদিন ক্রসফায়ারের অপকর্ম চললেও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের আঁখড়া হওয়া থেকে ১৫ বছর ধরে দেশকে রক্ষা করেছে তারা। এজন্যই বাংলাদেশের মানুষ ঘুমাতে পেরেছে। দেশটা অনেক আগেই সিরিয়া-আফগানিস্তান হয়ে যায়নি।
বাংলাদেশের জ#ঙ্গিদের সবচেয়ে বেশি রাগ তাই পুলিশের ওপর। শেখ হাসিনার পরেই তাদের অবস্থান।
জুলাই ষড়যন্ত্রের সময়ে, আগে অনেকবার এবং ৫ই আগস্টের পর পুলিশের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ হয়েছে। এবং এই আক্রমণ এখনো চলমান। ইউনূস ও তার মব আমেরিকা ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশের ওপর অত্যাচার করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর ক্ষমতালিপ্সুরা বারবার ভুল করেছে। তাদের খুনখারাবি এবং রাজনীতিতে অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে বারবার পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। ৫ই আগস্ট পুলিশ ম্যাসাকারেও সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে। সমস্যা হলো, পুলিশ বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করা যদিও জ#ঙ্গিস্থান কায়েমের প্রথম দিকের ধাপ, তাদের শেষ দিকের ধাপ কিন্তু সেনাবাহিনীকে খতম করা। বাংলাদেশের জ#ঙ্গিরা যদি সফল হয়, দুঃখজনক হলেও পুলিশের চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা হবে সেনাবাহিনীর।
এবার প্রথম লাইনে ফিরে যাই। পুলিশের সাথে কেন মাস্তানি করা যাবে না, তার কারণ হলো পুলিশ কাজ করে মানুষের ইন্টারফেসে। আপনি ছিঁচকে চুরি করেন, ডাকাতি করেন, ভদ্রলোক, নাকি মা'গী পাড়ায় যান, সব খবরই পুলিশের কাছে থাকে। আপনি যতোই চেষ্টা করেন, পুলিশ চাইলে- অপরাধ করে পার পাওয়া খুবই কঠিন।
তাহলে মব কেন পুলিশকে আক্রমণ করছে? কারণ, তারা এখন একটা ঘোরের মধ্যে আছে। বাংলাদেশে কমবেশি ২ লাখ ১৩ হাজার পুলিশ আছে। এর মধ্যে সুবিধাভোগী রাজাকার পুলিশ যদি ১৩ হাজারও ধরি, তাহলেও ২ লাখই জেনুইন দেশপ্রেমিক। এরা ব্যক্তি পর্যায়ে আওয়ামী লীগ করুক আর বিএনপি করুক, যখন সুযোগ আসবে, তখন আজ যারা মববাজি করছে, এক একটাকে গর্ত থেকে টেনে বের করবে। এদের হাতে পুলিশের রক্ত লেগে আছে। পুলিশ এদেরকে কোনভাবেই ছাড়বে না।
বাংলাদেশে যদি পুরোপুরি জ#ঙ্গি শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে হয়তো মবকে ধরতে পুলিশকে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু, আমেরিকার পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে সিরিয়া বা আফগানিস্তানের মতো দেশ বানানোর সম্ভাবনা খুবই কম। এতে কোনভাবেই তাদের স্বার্থ রক্ষা হবে না। তাদের দরকার অনুগত সরকার, যেটি ইউনূসকে দিয়ে সম্ভব, মাথাগরম জ#ঙ্গিদেরকে দিয়ে সম্ভব নয়। সুতরাং, দিনে দিনে পুলিশের শক্তি বাড়তে থাকবে। তাছাড়া জুলাই ষড়যন্ত্রের সময় মানুষকে ধোঁকা দেয়া হয়েছে। মানুষ প্রতারিত বোধ করছে। একটা পর্যায়ে তারাও মবের বিরুদ্ধে ক্ষেপে যাবে। মব একসময় দৌঁড়ে পালাতে বাধ্য হবে।
কিন্তু, মবের কয়জনের আর ইউনূসের মতো আমেরিকার ভিসা আছে? যারা পালাতে পারবে না, পুলিশের হাত থেকে তাদের বাঁচার কোনো উপায় নেই। ঠিকই মামলা দিয়ে ধরে আনবে। তারপর যথারীতি গরম পানির রিমান্ড।
সুতরাং, যারা মববাজি করছেন, তারা পাসপোর্টে আগে আমেরিকার ভিসা লাগান। যদি প্লেনে ওঠার সময় পান, তাহলে পালাতে পারবেন। আর সময় সে সুযোগ আপনাকে না দিলে আপনার পরিণতি হবে খুবই ভয়াবহ।
প্রিয় ইউনূসের মববাহিনী, মববাজি করে নিজের জীবনের ঝুঁকি বৃদ্ধি ছাড়া আদৌ কোনো লাভ হয় কী না, তা ভেবে দেখলেই ভালো করবেন। আপনি ইউনূস নন, আপনার অবস্থান পুলিশ ও গণমানুষের হাতের মুঠোয়। সময় সমাগত।
পলিন
০৫ জুলাই, ২০২৫, 5:43 PM
মাস্তানির বেসিক রুল: পুলিশের সাথে কখনো মাস্তানি করা যাবে না। মাস্তানি করতে হবে পুলিশকে হাতে রেখে। আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে আমি অনেক কিছুরই সমালোচনা করেছি। কিন্তু, এই সময়কালে দেশের জন্য সর্বোচ্চ কাজ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ। কিছুদিন ক্রসফায়ারের অপকর্ম চললেও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের আঁখড়া হওয়া থেকে ১৫ বছর ধরে দেশকে রক্ষা করেছে তারা। এজন্যই বাংলাদেশের মানুষ ঘুমাতে পেরেছে। দেশটা অনেক আগেই সিরিয়া-আফগানিস্তান হয়ে যায়নি।
বাংলাদেশের জ#ঙ্গিদের সবচেয়ে বেশি রাগ তাই পুলিশের ওপর। শেখ হাসিনার পরেই তাদের অবস্থান।
জুলাই ষড়যন্ত্রের সময়ে, আগে অনেকবার এবং ৫ই আগস্টের পর পুলিশের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ হয়েছে। এবং এই আক্রমণ এখনো চলমান। ইউনূস ও তার মব আমেরিকা ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশের ওপর অত্যাচার করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর ক্ষমতালিপ্সুরা বারবার ভুল করেছে। তাদের খুনখারাবি এবং রাজনীতিতে অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে বারবার পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। ৫ই আগস্ট পুলিশ ম্যাসাকারেও সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে। সমস্যা হলো, পুলিশ বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করা যদিও জ#ঙ্গিস্থান কায়েমের প্রথম দিকের ধাপ, তাদের শেষ দিকের ধাপ কিন্তু সেনাবাহিনীকে খতম করা। বাংলাদেশের জ#ঙ্গিরা যদি সফল হয়, দুঃখজনক হলেও পুলিশের চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা হবে সেনাবাহিনীর।
এবার প্রথম লাইনে ফিরে যাই। পুলিশের সাথে কেন মাস্তানি করা যাবে না, তার কারণ হলো পুলিশ কাজ করে মানুষের ইন্টারফেসে। আপনি ছিঁচকে চুরি করেন, ডাকাতি করেন, ভদ্রলোক, নাকি মা'গী পাড়ায় যান, সব খবরই পুলিশের কাছে থাকে। আপনি যতোই চেষ্টা করেন, পুলিশ চাইলে- অপরাধ করে পার পাওয়া খুবই কঠিন।
তাহলে মব কেন পুলিশকে আক্রমণ করছে? কারণ, তারা এখন একটা ঘোরের মধ্যে আছে। বাংলাদেশে কমবেশি ২ লাখ ১৩ হাজার পুলিশ আছে। এর মধ্যে সুবিধাভোগী রাজাকার পুলিশ যদি ১৩ হাজারও ধরি, তাহলেও ২ লাখই জেনুইন দেশপ্রেমিক। এরা ব্যক্তি পর্যায়ে আওয়ামী লীগ করুক আর বিএনপি করুক, যখন সুযোগ আসবে, তখন আজ যারা মববাজি করছে, এক একটাকে গর্ত থেকে টেনে বের করবে। এদের হাতে পুলিশের রক্ত লেগে আছে। পুলিশ এদেরকে কোনভাবেই ছাড়বে না।
বাংলাদেশে যদি পুরোপুরি জ#ঙ্গি শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে হয়তো মবকে ধরতে পুলিশকে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু, আমেরিকার পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে সিরিয়া বা আফগানিস্তানের মতো দেশ বানানোর সম্ভাবনা খুবই কম। এতে কোনভাবেই তাদের স্বার্থ রক্ষা হবে না। তাদের দরকার অনুগত সরকার, যেটি ইউনূসকে দিয়ে সম্ভব, মাথাগরম জ#ঙ্গিদেরকে দিয়ে সম্ভব নয়। সুতরাং, দিনে দিনে পুলিশের শক্তি বাড়তে থাকবে। তাছাড়া জুলাই ষড়যন্ত্রের সময় মানুষকে ধোঁকা দেয়া হয়েছে। মানুষ প্রতারিত বোধ করছে। একটা পর্যায়ে তারাও মবের বিরুদ্ধে ক্ষেপে যাবে। মব একসময় দৌঁড়ে পালাতে বাধ্য হবে।
কিন্তু, মবের কয়জনের আর ইউনূসের মতো আমেরিকার ভিসা আছে? যারা পালাতে পারবে না, পুলিশের হাত থেকে তাদের বাঁচার কোনো উপায় নেই। ঠিকই মামলা দিয়ে ধরে আনবে। তারপর যথারীতি গরম পানির রিমান্ড।
সুতরাং, যারা মববাজি করছেন, তারা পাসপোর্টে আগে আমেরিকার ভিসা লাগান। যদি প্লেনে ওঠার সময় পান, তাহলে পালাতে পারবেন। আর সময় সে সুযোগ আপনাকে না দিলে আপনার পরিণতি হবে খুবই ভয়াবহ।
প্রিয় ইউনূসের মববাহিনী, মববাজি করে নিজের জীবনের ঝুঁকি বৃদ্ধি ছাড়া আদৌ কোনো লাভ হয় কী না, তা ভেবে দেখলেই ভালো করবেন। আপনি ইউনূস নন, আপনার অবস্থান পুলিশ ও গণমানুষের হাতের মুঠোয়। সময় সমাগত।